You are currently viewing সুবাইতা প্রিয়তি’র পাঁচটি কবিতা

সুবাইতা প্রিয়তি’র পাঁচটি কবিতা

সুবাইতা প্রিয়তি’র পাঁচটি কবিতা

বায়োডাটা

আমার শুধু হেরে যাওয়ার গরিমা,
জয়ী হওয়া আমার ধাঁতে নেই,
একমাত্র স্পার্মদের রেস ছাড়া আমি আর কখনো ফার্স্ট হইনি,
মাঝেমাঝে সিগারেট খেতে গিয়ে ঠোঁট পুড়িয়ে ফেলি,
লাঞ্চ করলে ডিনারের কথা ভুলে যাই,
গান হয় ঠিকই তবে তাল ওঠে না,
মন দেই তবে আধেকটা নিজেরই থাকে,
৩৬৫ দিনই না,অকারণ মন খারাপে কাটে।
শুধু জন্মদিনটা হাসি খুশি হয়ে অপেক্ষা করি;অপার্থিব কিছু ঘটবে বলে।

বাবেল ও এডেন

শৈত্য হাওয়া আমার পা বরফ করে,
আবার বোধহয়
হিমালয়েই ফেরত যাচ্ছে ।
এবার শীতের শেষে,
আমি ঠিক করেছি,
অতিথি পাখিদের সাথে উড়ে যাবো।
“কোথায়? “
-“এডেনে!আর কই!ওটাই
তো আসলে আমার স্থান ।
আমার ঘর।”

কয়েক ভোল্টের দর্শন

কয়েকটা আলটিমেটাম –
তবুও নাকে রাখোনি সতর্কতার কফি বীন।
খুব অতর্কিত, এই না মানা।
ডুম-ডুম ডুমস ডে আগেও এসেছিল কয়েকখানা,
নজরে রাখোনি তো আর্টিস্ট ।
কেন বিদেশফেরত গন্ধ তোমার পশমে?
যতই বলি-“সারেন্ডার!”
গুমরে ওঠে ইগোদের তলপেট,
রে-রে ওঠেই গোঁ-দের অল্টারনেট।
কী,কি এবং কেন বারবার,
আমাকে নার্গিস সাজিয়ে নজরুল হয়ে তুমি চলে চলে যাও?

অসম প্রেম

কপাল জুড়ে যাক তারাদের প্রার্থনাতে,
মসৃণ পবিত্রতা ঢেকে দিক সাদা ওড়নাতে
সকল মংগল কামনাতে।
তাজা ফুলেতে মিলে যাক জলছায়া-
যে ছেড়ে যাওয়ার সে তো যাবে
হাজার আড়ম্বরতা শেষে।
থাকুক রেখে যাওয়া থেকে যাওয়া
কাল্পনিক ভালোবাসা।
বুজে রাখি এটা।
এতে আমি ঠকিনি, ভালোবেসেছি
আমি হারিনি, ভালোবেসেছি,
আমি ভুল আর উর্ধ্বাকাশে ফোটাইনি তাঁর অহংকার।
আমি শুধু ধরে রেখেছি বিরল তাঁর  হাসিটা।

ঋগ্বেদে বেদনা

বেদানার দানাগুচ্ছের মতো
বেদনাগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ;
জট পাকানো, রক্তাভ।
গায়ে গায়ে লেগে ধাক্কাধাক্কি করে,
আমার ছোট্ট হৃদয়ে শক্ত খোসার মধ্যে
– জায়গা করে নিতে ।
পুরনো থেঁতলে যাওয়া
কালচে দানাগুলোকে মাড়িয়ে,
তাজা লাল বেদনা জায়গা করে নেয়।

**=*=*=*=*=*=*=*=*=*=**