You are currently viewing তিনটি কবিতা: অন্তউড়ি মেঘদূত

তিনটি কবিতা: অন্তউড়ি মেঘদূত

তিনটি কবিতা

অন্তউড়ি মেঘদূত

 

প্রজাপতি ও ভালোবাসা 

ভালোবাসা যেমন অন্তরীক্ষ থেকে আসে,
ঠিক সেভাবেই প্রজাপতি ডানার অবতরন ঘটে,
প্রজাতি তার সুমধুর  ধ্বনিতে কাব্য প্রবর্তন করে; উড়ে যায় অন্তরীক্ষের বক্ষ দিয়ে।
সময়ের কোন ধারণাই নেই তার সম্পর্কে।
সে হল ধৈর্য এবং রূপান্তরের দূত;
ফুল থেকে ফুল অদ্ভুত থেকে অদ্ভুত।
প্রজাপতি তার পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে।
পূর্ব দিনগুলো ভুলে এক নতুন সূচনা  তৈরি করে।
সে রূপান্তরের রক্ষক, যে বিশ্বাস এবং কল্পনায় উড়ে বেড়ায়।
পরিবর্তনের ভয় নেই তার; তার তৈরি খাঁচা থেকে হয়তো সে ক্ষনিকের জন্য উড়ে যায়,
কিন্তু পরবর্তীতে সে আবারো ফিরে আসে নিজ স্থানে।
মানবতা
মানবতা কোন জাতি নয়।
না কোন মানুষ, না কোন ব্যক্তি।
মানবতা একটি প্রশ্ন ;নিজের কাছে।
তুমি কি দেবে?
তুমি কি ভাগ করবে তোমার আনন্দ -বেদনা?
খেলবে কি খেলার মেলা?
প্রত্যাহার করবে?
তুমি কি ছাড়িয়ে যাবে উপরে?
গুরুত্বপূর্ণভাবে—
তুমি কি ভালোবাসায় রাখবে প্রত্যয়?
আমরা নিজেরাই মানবতার প্রশ্নের প্রতিবাক্য।
কিন্তু, একে ওপরের উপর বিশ্বাস ছাড়া বৃত্তি;
ভিড়ের মধ্যে কাটিয়ে দেয়া বৃথা চাওয়া, একা।
প্রয়ানের দিন
যেদিন আমার প্রয়ান ঘটবে।
আমাকে আলোছায়ার ঘরে
নিয়ে যাওয়া হবে;
কাদবে না, বলবে না সে বিদায় নিয়েছে আমাদের থেকে।
মৃত্যুর সাথে বিদায় নেওয়ার কোনো সম্পর্কে নেই।
সূর্য অস্ত যায়, চাঁদ ডুবে যায় কিন্তু তারা কি আদৌ বিদায় নেয় আমাদের থেকে?
মৃত্যু  এবং সুখ প্রণয়ী হয়ে আসে।
তবে এটা সত্যি একতার মধ্যে প্রকাশিত।
মানববিজ শেকড়ের মত মাটিতে নেমে যায়
সেই জোসেফের কূপে।
এটি অঙ্কুরিত হয়ে অকল্পনীয়।
পূর্ন সৌন্দর্যে রূপ ধারণ করে।
মোহনা মৃত্তিকার বক্ষ থেকে আনন্দের চিৎকার দিয়ে বলে আমি আছি।
****======****======****