গুচ্ছ কবিতা
মিলন মাহমুদ
ধূপগন্ধী মোড়ে
এই ছায়া নয়তো উপছায়া ;
নিশ্চল চোখের কোণে আটকে আছে
একটি শাদা ফুল, বসন্তের নেকলেস –
গৈরিক জামায় স্নিগ্ধ করতলের দুপুর
তুমি এই আছো — এই নেই সন্ধিক্ষণে
ধূপগন্ধী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে মহাকাল।
এই ছায়া নয়তো উপছায়া ;
মেয়েটি মধ্য পুকুর ঘিরে সাঁতার দেয়
অতলে ফিরে যাবো বলে তোমার জঙ্ঘায়
আমি ভর্তি হই ফালি ফালি চাঁদের পাঠশালায়
ঘূর্ণন হাওয়ার ভিতর অনুবাদ করি মুখ
যাপিত রক্তমাখা ঢেউ নীরবে বয়ে চলে!
বিকেল
এক বিকেলে শূন্য আসন পেতে আছি
নক্ষত্রের দরজায়, যেনো শতাব্দীর নির্লিপ্ত
ভিখিরি। ভাঙা আসবাব জড়ানো কদমের
ঘ্রাণে যেসব স্মৃতিপট আজ লেগে আছে দেহে;
তার ভিতর — কোন এক মু মু চৈতালি
বাতাসের কাছে নিজেকে করেছি সমর্পণ!
আমার চোখ জুড়ানো শস্যমুখর সেই জীবনের
কাছে, যা দিয়েছে মেপে — আমি গ্রহণ করেছি তা
দুু ‘হাত ভরে…
কবিতা কাছে আসে না
কবিতা অদূর ঝাউগাছ,
ঝিনুকের খোলস ওলটে সমুদ্রগামী জাহাজে
তোমার স্ফীত ভ্রমণ, তোমার নৈঃশব্দ্যের চাবি
তবুও কাছে আসে না, অতলান্ত ডুবে যাওয়া সারস
উড়ে উড়ে বিস্তার করে ধাঁধা!
কবিতা এক দুরূহ মুখ,
ফেনায়িত জলোচ্ছ্বাস অলিন্দের চৌহদ্দি ছেড়ে
আছড়ে পড়ে উঠোনে, পতনের টুপটাপ
রক্তজবার ঘ্রাণ কুড়িয়ে নেয় অন্ধ হোমার,
হয়তো কাছে আসে, তবুও ভীষণ অনুরাগে;
কবিতা অদূর ঝাউগাছ,
রুপালি মোমের মতো ঝরে পড়ে সন্ধ্যার পেঁচা!