You are currently viewing কথাশিল্পী কায়েস আহমেদ সংখ্যা

কথাশিল্পী কায়েস আহমেদ সংখ্যা

কথাশিল্পী কায়েস আহমেদ সংখ্যা

                          ও

             কিছু অপ্রিয় সত্য

মন-মানচিত্র নিয়মিত ডিসেম্বর ২০২১ সংখ্যাটি বাংলাসাহিত্যের বিস্মৃত কথাসাহিত্যিক কায়েস আহমেদ সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হলো। দীর্ঘ প্রায় তিন মাস ধরে আমরা কায়েস আহমেদ সংখ্যা প্রকাশের কথা ঘোষণা করেছি এবং বর্তমানে গদ্যসাহিত্যে যারা বিচরণ করছেন, বলা যায় যাদের পাঠক কথাসাহিত্যিক হিসেবে জানেন, তাদের প্রায় সকলের কাছেই আমরা কায়েস আহমেদকে নিয়ে-তার কাজ নিয়ে লেখার আহবান জানিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তাদের সিংহভাগই সাড়া দেন নি। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা পেশগত ভাবে এতো ব্যস্ত যে, কায়েস আহমেদ নিয়ে ভাবার মতো সময় নেই। যারা আমাদের আহবানে সাড়া দিয়েছেন-জাকির তালুকদার, মোস্তফা অভি, শাখাওয়াত বকুল ও দেবাশিষ ভট্টাচার্য- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

কায়েস আহমেদ চিন্তাচেতনায় বিদ্যমান বিভাজিত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলেন। স্টাবিলিশমেন্ট বিরোধী একজন কলমসৈনিক বিদ্যমান সমাজের সুবিধাভোগকারী লেখকদের পছন্দের নয় সে ব্যাপারে আমরা সচেতন ছিলাম। আমাদের জানা ছিলো যারা মুখোশ পরে সময় সময় রাষ্ট্র ও সমাজের আলোড়িত নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে সমাজে নিজেদের গুডউইল ধরে রাখতে অভিনয় করে প্রতিনিয়ত, তারা কায়েস আহমেদের কথাসাহিত্য নিয়ে কথা বলে নিজেদের ‘বাজার নষ্ট’ করতে চায় নি। একদিন এমন সময় তাদের ক্ষেত্রেও যে ঘটবে না সে নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।

হাসান আজিজুল হক আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘরানার হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রভাব ডিঙ্গিয়ে কায়েস আহমেদ নিজেকে প্রকাশিত কিংবা প্রস্ফূটিত করতে পারেন নি। তবে তিনি একটি স্বতন্ত্র স্বর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তার সেই স্বরটি ধরার জন্য, পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।  আমরা জানি যে, কায়েস আহমেদ স্বল্প সময়ের মধ্যে অতি অল্প সৃষ্টি দিয়ে যে মাইলফলক গেঁথে গেছেন বাংলা সাহিত্যে-আজকে তার স্মারকচিহৃ অপ্রকাশিত কিংবা অনির্ণীত থাকলেও একদিন তা আলোর সামনে আসবেই। এই আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলকে আমাদের এই সংক্ষিপ্ত আয়োজনে শরীক হতে আহবান জানাই।