রায়হান উল্ল্যাহ’র তিনটি কবিতা
মাটিকাব্য
মাটি থেকে আগমন
মাটিতেই নাড়াচাড়া
মাটিরই নাড়াচাড়া
মাটিতেই বেগবান
মাটিময় সংসার
মাটিপুত্র ঝংকার
মাটিতেই মিশে যাবে
বাঙময় মাটিগাথা
বর্ণময় মাটিখাতা
মাটিতেই চুষে খাবে
মাটিসূত্র বিকিকিনি
মাটিকাব্য রিনিঝিনি
বোশেখের হাহাকার
স্মৃতির মারবেল গড়ায়- একবিংশ শতাব্দীর এপ্রিলের বিখ্যাত বেলায়। মারবেল ছুঁয়েছে- গহীন আজান, বালকীয় গোল্লাছুট, গ্রামীণ মক্তব। মারবেল বাজায়-সবুজের ঢিং ঢং, বেহিসেবি বান্নি। মারবেল সুরেলা- ভয়ার্ত আমতলা, হাতের ইশারা, গহীনের ভয়। মারবেল ছান্দসিক- উদাসিন স্কুল, বোশেখের ঘণ্টা, কাঁসার সাদা-নীল কাঁপন, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। মারবেল ছুঁয়ে যায়- করমচা বাগিচা, উর্বরা উঠোন, মাটির দাপাদাপি। মারবেল রিনিঝিনি- সবুজ দলন, পশুদের জ্বালাতন, গন্ধাল ভাত। মারবেল নেশাতুর- তালের ঝুপঝাপ, জলের প্রসন্নতা, গ্রামীণ বৃষ্টি। মারবেল এঁকে যায়- অগুনতি মুখচ্ছবি, ভাবনার জীবন। মারবেল কেঁদে যায়- নিয়ন আলোয়, বেদনার হুতাসন। মারবেল দলে যায়- বোশেখের মন্ত্রণা।
এইচ বি রিতা’র কবিতা
আমার বন্ধু জগদীস
জগদীস আমার বন্ধু।
হিন্দুর ঘরে জন্ম হলেও সে ঠিকই
মুসলমানকে সালাম দিতে হয়।
কোরআনের বেশ কিছু নিয়ম-নীতি, সূ
এক সাথে আছি আজ প্রায় তেরটি বছর
ধর্ম নিয়ে বিরোধে জড়াতে হয়নি ক
ইফতার-ঈদ পালন করেছি বহুবার তার
আলোচনায় ধর্ম এসেছে বিশ্বাস ভা
পূজায় নিমন্ত্রণ করেছিল! যাওয়া
আমার অবশ্য কখনোই পূজা মন্ডপে যা
সে কথাও বন্ধু বেশ ভাল করেই জা
তবু, প্রশ্ন তুলেনি কখনো
সম্পর্ক বিপরীতমুখী হয়নি, টিকে
জীবনের অনেকটা সময় লড়াইয়ের মা
একদম একা
তখন নিঃস্বার্থভাবে সবদিকে সাহা
সাহস যোগানো মানুষটাই- জগদীস!
আমার পাশে থাকা হিন্দু মানুষটাই
আমি মানি কোরআন-সে মানে শ্রীমদ্
উভয়ই সৃষ্টিকর্তার একেশ্বরবাদ বি
‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন বাবা
তাঁর কোন প্রভু নেই, তাঁর চেয়ে
আকার নিরাকারে সৃষ্টিকারী একজনই
আজ তার হাত কেটে গেলে,
ফিনকি দিয়ে তাজা যে রক্তপ্রপাত
আমার কাটা হাতে তাই হবে
হিন্দু-মুসলিমের রক্ত একই রঙ; লা
বিনাশ হলে পুতে দেয়া শরীর-পুড়ে
গন্ধ একই হবে।
সভ্যতা বিকাশের সময়ে আজ ও আমরা
মানুষে মানুষে সহিংসতা, বিরোধ,
ধর্ম নিয়ে ফিতনা-মতভেদে উন্মা
বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে অন্তর্হিনিত রক্ত
মানবতা সভ্যতা।
বোঝাপড়ার বড় ঘাটতি আজ
শিক্ষার জ্ঞানীয় আলো থেকে বিতাড়িত আমরা ভুলে যাই,
একই বৃন্তে দু’টি ফুল হিন্দু আর
বাসব রায়-এর তিনটি কবিতা