হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
—————————
আলোর সরলরেখা
এক
গাছে পাতায় মাটিতে সবকিছু ঠিক ঠিক সাজানো জলের মতো। জানলা খুললেই তারা অদ্ভুতভাবে ঘন হয়ে আসে। কথা হয়। বুঝতে পারি তাদের হাত পা নাড়া। এইভাবেই কি আস্তে আস্তে ঘর ভেঙে যায়? বলতে বলতেই রোদ ওঠে। অন্ধকার থেকে একটা সরু সুতোর মতো আলো চৌকাঠ উঠোন পেরিয়ে আড়ালে চলে যায়।
দুই
এইসব দেখে সরে এসেছি। কথা বলতে হবে বলেই যে পটপরিবর্তন তা কিন্তু নয়। আবার যদি তাও হয় আমার ঠিক জানা নেই। জানতে চাইনি আড়ালের আলো। শুধু বুঝেছি আড়াল থাকলে যাবতীয় জল ভেঙে গিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। পড়ে থাকে কিছু কাঠ যা পূর্বজন্মের মতোই অচেনা।
তিন
জানতে জানতে যেভাবে বাড়ি ফিরে এসেছি তাতে আস্ত একটা সরলরেখা। কোথাও কোনো রাগ নেই। হঠাৎ করে বলতে চেয়ে গলা বাড়ানো নেই। নিজের মনে করে সাজিয়ে রাখি। জানলা দিয়ে দিই। সরলতা চলে গিয়ে সে এখন ভীষণ একগুঁয়ে। মেঝেয় বসে সে এখন আর দুলতে দুলতে পড়ে না। কথা বললেও চুপ থাকে। অনেকটা একমনে হেঁটে গিয়ে ফিরে আসার সময় হাত পা নাড়ে। বুঝতে পারি সে বলতে চায় না, নিজেকে আকর ভেবে নিয়ে সবাইকে ডাকে।
==================