You are currently viewing সাজ্জাদ সাঈফের কবিতা

সাজ্জাদ সাঈফের কবিতা

সাজ্জাদ সাঈফের কবিতা
 
নোঙ্গর বাহিত মেঘ
 
*
১.
 
প্রশ্নের কাছে ফিরে
একটু করে জানালা খোলা পেয়ে
ঢুকে গিয়েছিলো ঘরে চাঁদনী পসর!
 
এরকম বেঁচে থাকা সমীচিন নাকি বলো, এরকম নিজের খেয়ালে?
 
স্বপ্ন আমার বন্ধুর নাম
কত দূর দূর গ্রাম থেকে রোজ আসে, সবুজ, সম্ভাবনাময়!
 
আহা! সুরম্য সিড়ি জুড়ে গানেরও গুঞ্জন শুনে  
দ্বিধা ও প্রতিজ্ঞার কাছে আমাদের সমস্ত বাক্য
শুধুমাত্র স্বপ্ন কামনা করে;
 
চৌচির সব ক’টা জানালা
সব ক’টা ঝাপটা সয়ে নেয় বাতাসের!
 
*
২.
 
মৃত্যুকে থামতে বলি, কুহুডাক থেকে আসে অচিন পাতার ঝিরি, দূরের ভূবন থাকে গান ও গেরস্থ লিপি অধিকার করে। মৃত্যু পুরনো বন্ধুর ন্যায় সবকিছু খুঁটে দেখে, এমন নিরালা চাই আমাদের শেষ সাক্ষাতে; যেন-বা ঘুড়ি কারো কাটা পড়ে সাঁকো ছেড়ে চলে যায় কতদূর, কত গ্রাম পাড়ি দিয়ে অপার দুনিয়া ছুঁতে।
 
কিছু ধ্বনি বাকি র’লো, কিছু হাঁটা অংশত নিজের সাথে। মৃত্যুকে বলেছি ‘শোনো, এভাবে যাব না আমি, সবাই যেভাবে গেছে’, ফেলে গেছে ভিটা বাড়ি, অজস্র প্রশ্নকে ফেলে এভাবে যাব না শুধু জীবন যাপনে ঢেলে প্রাপ্তির পসরা! 
 
কিছু পাতা র’বে গাছে শীতের আঁচড় শেষে, কিছু ধ্বনি রয়ে যাবে সকলের প্রশ্নোত্তরে; আর সব উপেক্ষা মলিন করে  চলে যাব, জ্ঞাতসারে, সমকাল চূর্ণ করে আততায়ীদের!
 
 
*
৩.
 
বাগানে ডুবে আছে ঘাসের চৈত্রমাস।
এইসব রীতি ও সম্প্রীতি মেনে একই সাথে 
উভচর থাকি আলোয় আঁধারে একা। 
 
যে কোনো মিথ্যার কাছে নতজানু মুখেরা ভারী করে আছে চারপাশ, যে কোনো অনন্ত সন্ধান করে ঘরে ফেরা কবিতার গায় সমাজের চাবুকের দাগ স্পষ্ট, এতসব অগ্নিমূর্তি চোখ অনিদ্রাকে অধ্যাদেশ বলে জানে।
 
একইসাথে আবেগপূর্ণ গান বেজে চলে তারাদের জগতে। এর ধারে একাকীত্ব, এর ধারে আত্মনিগ্রহ বকুল হয়ে ঝরে। যেন এক পুলসিরাতের শুরু এই মানবজন্ম, নিষ্প্রাণ খুলির ভিতর মৃত সব পাখি ফেলে গেছে শিসের সমূহ স্মৃতি, তবু কেউ কেউ ফিরে চায় সুর, কেউ চায় অনন্তস্পর্শ গায়ে।
 
সুন্দরের প্রতি অভিমান হলে কবিতারা ভালো বন্ধু। 
স্বপ্নের ঘাসেরা এসে ফাতিহা কেরাতে সজীব, এ-রকম সব একলা হাওয়ার গান বুকে এসে বেঁধেছে মাচান। 
 
দেখতে দেখতে ভীড় হয়, তালি হয়; ধুলাবালি হয় ঘর, মানুষের প্রবঞ্চনার পর।
 
=================