সমরেশ মজুমদার: কালের আয়নায়
রুখসানা কাজল
আমরা নকশাল আন্দোলন দেখিনি। কিন্তু তার ক্ষত এবং ক্ষতি দেখেছি। হারিয়ে যাওয়া নকশাল সন্তানদের বাবামায়ের চোখে দেখেছি সর্বংসহা নিঃস্বতা। তখন বিপ্লব বলতে বুঝেছি রক্ত, খুন আর মৃত্যুকে। কোনো কোনো ভোরে দূর নদীর চর অথবা গগনঝোলার মাঠে হঠাত কারও রক্তাক্ত লাশ পাওয়ার খবর আসত। সে খবরে কোনো কোনো বাড়িতে অসহ্য নীরব কান্নার বন্যা বয়ে গেলেও বাইরে থেকে কিছুই বুঝা যেত না। বড়দের আহাজারি, সাবধানী ফিসফিস শুনে ছোটদের কাছে নকশালের বাড়ি নামে পরিচিতি পেয়ে যেত শোকের বাড়িটা। মধ্যরাতে পুলিশি জীপের ধাতব শব্দ, সমবেত বুটের আওয়াজ, পাড়ার কোন বাড়ি তছনছ করে তল্লাস আর অবুঝ শিশুদের ভয়ার্ত কান্না শোনা যেত। নদীর কাছের মানুষরা ফিসফিস করত, অনেক রাতে তারা হঠাত হঠাত শুনতে পেত, শিস দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে গুলির শব্দ।
লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, ইশকুল কলেজের দেওয়ালে, শহরের মোক্ষম জায়গায় নারকেল গাছগুলোর গায়ে কারা যেন ইশতেহার সেঁটে রেখে যেত। ছোট ছোট কাগজ। কখনও হাতে লেখা। যে পাড়ায় পাওয়া যেত সে পাড়ার তরুণ, কিশোরের বাবামায়ের প্রাণ ভয়ে কেঁপে উঠত। পুলিশের শ্যেন দৃষ্টি, গুপ্তচর আর বিশ্বাসঘাতকদের ঈগল চোখ এড়িয়ে কি করে কারা সেঁটে গেল এই রক্ত ইশতেহার ! সাধারণ পাবলিকরা কি করে দেখে নিলো এই ছোট্ট বিপ্লববার্তাকে ! তবে কি তাদের মনেও দোলা লেগেছিল নকশালপন্থীদের আদর্শকে ঘিরে ? গ্রাম দিয়ে শহরকে ঘিরে ফেলে নকশালদের আন্দোলনকে সফল করতে হবে– শহুরে জনগনও কি ক্রমশ এই তত্বে বিশ্বাস রাখতে ভরসা করছিল ! নাকি ভয় পেয়ে এড়িয়ে যাচ্ছিল নকশালপন্থীদের !
পারিবারিক আবহে ভুটুর রক্তে ছিল বাম ঘরানার টান। পাড়ার শেষ মাথায় দুলুচাচাদের বাড়ি। সতেরো বছরের দুলু সেই যে হারিয়ে গেছিল নকশালবাড়ির স্রোতে আর ফেরেনি। অনেকেই বলে পুলিশের গুলি খর্চা করতে লাগেনি। বুটের পাড়া খেয়েই মরে গেছে দুলু। অইটুকু ত বুকের খাঁচা। তার মধ্যে ধুকপুক করা এত্তটুকুন প্রাণ। সে সময় পুলিশ এবং রক্ষিবাহিনী নকশাল বলে কাউকে ধরতে পেলে ”তোমার নেতা আমার নেতা মাও সেতুং, মাও সেতুং” বলে মোক্ষম চাপ দিত বুকে। সেই চাপে এক রাতের মধ্যেই উগরে ওঠা রক্তস্রোতের সঙ্গে দুলুর প্রাণ মিলিয়ে গেছিল মহাশূন্যে। এরপর পুঁতে দিয়েছিল মাটিতে। নাবালক হত্যা মামলায় ফাঁসতে চায়নি প্রশাসন। লাশ নাই ত মামলাও নাই। দুলু নিখোঁজ। দুলুর মা, ভুটুদের পরিদাদি মাটিতে পা ফেলতেন আস্তে আস্তে। তার দুলু যদি ব্যাথা পায় !
ধর্ষণের পর স্তনের অর্ধেকটা ছিঁড়ে নিয়েছিল পুলিশ গ্রাম্য এক নকশাল কৃষক নারীর। এতটুকুও খারাপ লাগত না দেখতে, যখন ভুটুদের ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিতে এসে ছোট শিশুটি তার খন্ডিত স্তনে মুখ রেখে দুধ খুঁজে নিত। কলেজে পা দিয়ে চে গুভ্যেরা পড়েছে। সে এক স্বপ্নযাত্রা ছিল ভুটুদের। ইউনিভার্সিটিতে এসে পেয়েছিল শাহরিয়ার কবিরের ‘ওদের জানিয়ে দাও’ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘চিলেকোঠার সেপাই’, শওকত আলীর ‘দক্ষিনায়ণের দিন’, মাহমুদুল হকের ‘জীবন আমার বোন’। এসবের পাশাপাশি আরও পেয়ে গেছিল, সমরেশ মজুমদারের উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, গর্ভধারিণীকে।
এই বইগুলো পড়ার আগে ভুটু কখনও ভাবেনি বিপ্লবে এমন রোমান্টিক মুড আসতে পারে। ঘটতে পারে যৌনতার মতো জৈবিক ব্যাপার। আসতে পারে সন্তান। পড়তে গিয়ে ভুটুদের নবলব্ধ তরুণ শরীরে শিউরে উঠবে শিহরণ। আদর্শের সঙ্গে বিপ্লব এবং প্রেমকে তারা অনায়সে রসায়ণ করে ফেলে।
সমরেশ মজুমদারের আগেও বাংলা সাহিত্যে রাজনীতি, বামপন্থা, আন্দোলন, ধরপাকড়, এনকাউন্টার, মেরে ফেলা কতকিছুই না পড়েছে পাঠক। হাতের কাছেই ত ছিল রুশ সাহিত্য। সেখানে দুরত্ব রেখে মিঠি মিঠি প্রেম খারাপ লাগেনি ভুটুর। তবে প্রেমের চাইতে তখন বিপ্লবের আগুনে তাপিত থাকত ওর মন।
নব্বুইয়ের এরশাদ আন্দোলন। তার আগে চুরচুর হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সোভিয়েত রাশিয়া। নেতাদের চোখে মুখে বিব্রত প্রতিভাস। ভুটুরাও বিহবল। তবু ভুটুদের উগ্র তারুণ্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সামরিক শোষককে খেদাতে। একেকজন যেন একেকটি স্ফুলিঙ্গ হয়ে ফুটে উঠেছিল রাজপথে, মিছিলে, মিটিংএ, সামরিক সরকারের ট্রাকের চাকার নীচে, রাইফেলের সামনে। ভুটুদের মনে শানিত হয়ে উঠেছিল বিপ্লবের অপর নাম রাজু পূরবী, রাখী সেজান এবং অনিমেষ মাধবীলতা। বিশেষ করে সব ছাপিয়ে সমরেশ মজুমদারের কালবেলা উপন্যাসের তীব্র প্রভাবে আকন্ঠ ডুবে গেছিল ভুটুরা ।
শেষপর্যন্ত সামরিক সরকারের পতন হয়ে গণতন্ত্র এসেছিল। কিন্তু তাতে কি হয়েছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বা ভুটুদের ? নেতারা দ্রুত দল পালটে ফেলছিল। দলও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছিল। ততোদিনে ভুটুদের বিপ্লবপ্রেম ঘষা পয়সার মত আবছায়া হয়ে গেছিল। ওরা দেখতে পেয়েছিল, বামনেতাদের কেউ কেউ শিল্পকারাখানার মালিক বনে গেছে। কেউ ব্যবসায়ি। কেউ কেউ আমলাদের চামচা। সংবাদপত্রের উদ্যোগদাতা আবার কেউ কেউ অভিমানে হারিয়ে গেছিল প্রবাসে। ভুটুদের মনের কোণে বোঁচকা বন্দি হয়ে পড়ে রইল শ্রেণী বৈষম্যহীন সমাজ বদলের আহত নিহত দিনলিপি। বিপ্লবের আদর্শিক রঙ মুছে বেরিয়ে এলো কঠিন কুৎসিত বাস্তবতা। একচুয়ালি, ক্ষমতা দখলের জন্য যে কোন স্বার্থ গ্রহন করতে তৈরি থাকে ডান অথবা বাম কিম্বা ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো।
ভুটুরা জানল, আদর্শ আসলে একটি বিমূর্ত ধারণা। বাংলা সাহিত্যে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ইত্যাদি আদর্শকে পুঁজি করে অনেকেই সাহিত্য রচনা করেছেন। তাদের লেখা চরিত্রগুলোকে মানুষ বলে মনে হত না । কিন্তু শাহরিয়ার কবির, শওকত আলী, মাহমুদুল হক এবং সমরেশ মজুমদার তাদের উপন্যাসে বিপ্লবী যে চরিত্র এঁকেছেন তাদেরকে মানুষ বলেই মনে হয়েছে। শাহরিয়ার কবির এবং শওকত আলীর নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে জানা যায়, মাহমুদুল হক সম্পর্কেও কিছুটা রাজনৈতিক সমর্থনের আভাস পাওয়া গেলেও সমরেশ মজুমদার হচ্ছেন সেই লেখক যিনি রাজনীতির ঘরে বসে সাহিত্য রচনা করেননি। উত্তরাধিকারের অনিমেষ কালবেলায় এসে যে বিপ্লবী চরিত্র পেয়েছিল তাতে সমরেশ ছিলেন না। সামান্য হলেও ছিল তাঁর এক সহপাঠি বন্ধুর ছায়া। অনিমেষকে তিনি দিয়েছিলেন এক নিজস্ব ছায়ারঙ। মাধবীলতাকে ইতিবাচক প্রেম আর নেতিবাচক এক জীবন যাপন। এখানে এসেই ভুটুরা থমকে গেছিল। ওদের অন্তরাত্মা বলেছিল, বিপ্লবের নাম যদি এই মাধবীলতা হয় তো আমরা তাতে নেই। কেননা শুধুমাত্র বস্তিবাসী মাষ্টারনি হয়ে থাকলে বিপ্লব কোথায় !
সেক্ষেত্রে ভুটুরা একটি বিশাল ইউটার্ণ নিয়েছিল।
এখানে সমরেশ মজুমদারের কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ ভুটুদের প্রজন্ম। মিথ্যে কল্পনার গ্যাসবেলুন ছেড়ে তিনি তরুণদের চৈতন্য লুপ্ত করার চেষ্টা করেননি। বাস্তব চিত্র দেখে ভুটুদের মতো চুনো বামকর্মীরা প্রেমিকসহ চলে এসেছিল মুক্তবাজার অর্থনীতির অর্থকরী পেশায়। বাঁচতে গেলে পয়সা লাগে। অই যে লোকে বলে না, পুইস্যা চাই পুইস্যা। মিথ্যে ত নয়। ভুটুদের ছেলেমেয়েরা অর্ক হয়ে উঠলে সমাজ বা রাষ্ট্রের কি এমন পরিবর্তন বা উপকার হবে ? প্রশ্নগুলো ভুটুদের মনে নোঙ্গর ফেলেছিল। তাছাড়া এটা বাংলাদেশ। স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি ক্ষুদ্র ভূমিখন্ড। একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই নকশালপন্থীদের ভূমিকা নির্ধারিত হয়ে গেছিল। “দুই কুকুরের লড়াই” বলে একদল নিস্পৃহ থাকলেও অন্যদল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লড়াই করেছিল। এই ব্যাপারটিও ভুটুদের মনে সংশয়ের প্রবাহ সৃষ্টি করেছিল। ওরা চাক্ষুষ করছিল, নেতাদের কেউ কেউ বিভ্রান্ত। কেউ কেউ ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে চাইছে। শক্ত সিঁড়ি পেয়ে তারা দুলুদের ভুলে গেছে। দলের ফান্ড বাড়াচ্ছে, নিজেদের আখের গোছাচ্ছে।
তাছাড়া সমরেশ মজুমদারের কালবেলা, কালপুরুষ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ একটি রাজ্য মাত্র। ট্যা ফুঁ করতে গেলে কেন্দ্রের প্যাদানি খেতে হয়। সেভাবেই অতি নির্মম উপায়ে পশ্চিমবঙ্গের নকশাল আন্দোলন দমন করা হয়েছে। অন্যদিকে আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এখানে সরকার যেমন রাষ্ট্রের সার্বভৌম মুখপাত্র তেমনি আন্দোলনকারী বা বিপ্লবীরাও ছিল স্বাধীন। তাই সমরেশ মজুমদারের উপন্যাসগুলো সর্বতোভাবে প্রভাব ফেললেও ভুটুরা কেউ অনিমেষ বা মাধবীলতা হয়ে উঠেনি।
একই সঙ্গে ওরা পড়েছিল, গর্ভধারিণী। এক শুদ্ধ স্বপ্নযাত্রার অনির্দেশ্য কাহিনী। অনেকটাই বাস্তবমুখী। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ভুটু চিনত, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে নিজের পাকিস্তান সমর্থিত পিতাকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মরার জন্য প্রস্তুত হন আব্বা। সে যাত্রায় তার আব্বা পথে এসেছিল। বেঁচে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষিত অশিক্ষিত নকশালকে ভুটু চিনেছিল অতি শৈশব এবং কৈশোরে। অলস বিবশ কোন সন্ধ্যায় তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কথা শুনিয়েছিল। ভুটুর এক মামাতভাই স্বচ্ছল শিক্ষিত পরিবারের সন্তান, চেয়ারম্যানের ছেলে চেয়ারম্যান হওয়া বংশে তিনি নকশাল সন্তান ছিলেন। পরবর্তিতে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে যোগ দেওয়া সেই এককালের নকশালপন্থী, কালোমেঘে ঢেকে যাওয়া ডুবন্ত গলায় বলেছিলেন, জনগণ বুঝল না আমাদের উদ্দেশ্য। আমরাও পারিনি জনগণকে বুঝাতে। কথাটি সত্য।
বাম আন্দোলন নিয়ে যতগুলো বই পড়া হয়েছে, তাতে নকশালপন্থীদের সঙ্গে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন দেখেনি ভুটু। বরং ভয়মিশ্রিত শংকা এবং ভালোবাসা দেখেছে। কিন্তু এসব পুঁজি করে ত বিপ্লব হয় না। তাই ত গর্ভধারিনীর বিপ্লবীদের রাস্তা বাস্তবের নকশালদের মত খর্ব হয়ে গেছিল। ভুটুরা সমরেশ মজুমদারের কল্যাণে জেনেছিল, এইই বাস্তবতা।
আর এখানেই সমরেশ মজুমদারের ক্যারিশমা। তিনি নির্ভয়ে নিরপেক্ষ কলমে এই বাস্তবতাকে তুলে এনেছিলেন। ভুটুরা গ্লাসনস্ত পেরেইস্ত্রিকার ধাক্কায় লেনিনের স্ট্যাচু ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে দেখেছে। গর্ভধারিণীর বিপ্লবীদের মতো ভুটুরাও বুঝে উঠতে পারেনি, গলদটা ঠিক কোথায় ঘটল !
সমরেশের গর্ভধারিণী উপন্যাসেও যৌনতা এসেছে। এবার আর অস্বাভাবিক লাগেনি। প্রবচন আছে ঘি এবং আগুন কাছাকাছি থাকলে একজন আরেকজনকে নিয়ে গলবেই। সে বিপ্লবী ঘি আগুন হলেও গলবে, পুঁজিবাদী বা গণতান্ত্রিক কিম্বা বর্তমান যুগের কল্যাণকামী গণতন্ত্রের ঘি আগুন হলেও গলবে। পরিণত বয়সে এসে ভুটুর মনে হয়েছে, সমরেশ মজুমদারের লেখায় ‘বিপ্লব এবং যৌনতা’ ছিল বলেই কি পাঠক এমন আহলাদিত হয়ে তাঁর লেখা পড়েছে ? সে কারণেই কি একটি বয়সে এসে এই বইগুলো সেভাবে আর নাড়া দেয়নি ভুটুদের ?
তবে ভুটুরা স্বীকার করে, সমরেশ মজুমদার বাংলা সাহিত্যের ন্যাকা নৈতিকতার ঘোমটা ভেঙ্গে জীবনের জারিত সত্যকে তুলে ধরেছিলেন। সেই ত আপোষের পাপোশ হয়ে বেঁচে থাকা। মধ্যবিত্ত সুখে দহন থাকলেও সাহস কোথায় সর্বাত্মক বিপ্লব সংগঠিত করার ? তাই কি অনিমেষকে কেন্দ্র করে মৌষলকাল লিখতে গিয়ে সমরেশ কিছুটা রঙ মেখেছিলেন ? রাজনীতির রঙ !
গত ৮ মে, সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুতে ভুটু আরও একবার আয়নায় ফেলে নিজেকে যাচাই করে দেখেছে। কোথাও যেন মায়া জেগে রয়েছে। ভুল কি শুদ্ধ সেটা বড় কথা নয়। নকশালরা চেষ্টা করে গেছে। বাঙ্গালীর চেতনার জগতে প্রতিবাদের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গেছে নাম না জানা অসংখ্য শহিদ নকশালসহ দুলুচাচা, অনিমেষ মাধবীলতারা।
——————————————