You are currently viewing শিশির আজম-এর একগুচ্ছ কবিতা

শিশির আজম-এর একগুচ্ছ কবিতা

শিশির আজম-এর একগুচ্ছ কবিতা

রায়ের বাজার বধ্যভূমি

হাজার বছরের গল্প
সেগুলো কখনো পুরনো হয়না
পৃথিবীর মারাত্মক উষ্ণতায়
সেগুলো কি পুড়ে যাবে

মানুষের সঙ্গে মানুষের শেষ অব্দি সম্পর্ক থাকেই
মানুষ ও জন্তুজানোয়ারতো একই
সবার ভিতর জানলা আছে
দাঁত আছে
কাকে ভালবাসবো তাহলে
উত্তরে বলবো
মানুষ ও জন্তুজানোয়ারের ভাষা এক

তারাদের সঙ্গে উড়তে উড়তে মাটির শরীর ভেঙে পড়ে
বায়ুমন্ডলের অচিহ্নিত খাঁদে
তাহলে দেখতে হবে সেই খাঁদে
আরো কি কি ঝিলিক রযেছে

যারা আছে স্বপ্নের ভিতর
যাদের জীবন স্বপ্নের রাস্তার সেতু
তারা বনে

তাদেরই একজন এসে পড়েছে রাস্তায়
রাস্তার কুকুর
তার কন্ঠনালি নিয়ে টানাটানি
কুকুরকে বরাবরই মানুষ বন্ধু মনে করে
কুকুর কী খায় মানুষ দেখছে
মানুষ দেখছে কুকুর কী খায়

কুকুরজীবন অনেক মহৎ কাজের সমষ্টি
আমার মা ভালবাসেন এদের
যিনি ভালবাসেন এদের
তিনি আমার মা
তিনি হাত নেড়ে শালিখ খেদান
শালিখেরা ফিরে আসে

তখন আকাশে বজ্রের ঝলক
দেখা গেল সেই কন্ঠ
কথা বলছে বৃষ্টিতে
বৃষ্টিতে কথা বলেই চলেছে

জানতামনা আমরা
দেখিনি কখনো আমাদের রং
আঁধারের কণাগুলি
আকাশ থমথমে

বুদ্ধিজীবীদের প্রতি

চিরআশঙ্কাপ্রবণ ক্ষমতাধর বুদ্ধিজীবীগণ
দেখুন এই মেয়েটিকে
গতকাল উঠে এসেছে ও অন্ধকার গর্ত থেকে
আজ ওর মাথা টগরখোঁপায় ফণায়িত
আপনারা দেখছেন আরো আরো গর্ত
কেবলই গর্ত
আগের মতোই
যেখান থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা নেই
মেয়েটিকে চেনাই যায় না
আপনারা হিউমার করেন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রূপকল্প নিয়ে
আজব রূপকল্প
মেয়েটিকে আপনারা দ্যাখেননি
মেয়েটিকে আপনারা দেখতেই পাননি

অপারেশন সার্চ লাইট

সে ভাল-মন্দ কিছুই না
সূর্য পুড়ে চলেছে
দেয়ালের স্তব্ধতায়
সে কাশে আর বাতাস ঘুরে যায়
নিজের দিকে

কোথায় স্মৃতি
কোথায় ভবিষ্যৎ
যা তোমার মনে হয়েছে
তা-ই ঠিক

যেকোন প্রশ্নই গড়ে ওঠে
সত্যকে ঘিরে
সত্য হল একটি শূন্যস্থান
যেখান থেকে
রূপকথারা
বাতাসে মিশে
ছড়িয়ে দেয়
অশান্তির বীজ

বুদ্ধিজীবিসকল

যা-ই হোক
শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছি
আমি মারা যাবো
তোমাদের আতঙ্কিত হবার দরকার নেই

**********************************