শিশির আজমের কবিতা
অন্ধকার সাবমেরিনের ফটোগ্রাফ
তুমি আমার ভোরের নৌকগুলি দেখেছো, আমার ইলেকট্রিক তালপুকুর?
জ্বলন্ত শেয়ালেরা রাস্তা পার হচ্ছে, দুপাশের কাঁকড়াজল
আর ক্ষীরবাতাসের ধাক্কায় তাদের সামান্য আলো সামান্য ভার
দেয়ালে লাগে। জানালায় দাম্পত্যহীন শরীরের কম্যুনিজম।
ফ্রয়েড আজীবন অসুস্থ ছিলেন – এই তথ্য জানার পর তুমি কী
বা সত্যিকার কী হয়ে উঠতে পারো, এ কি আমি জানতাম,
তুমি জানতে? দ্রুতগামী ট্রেনের অন্ধকার মাংসময় উপত্যকায়
তোমাকে দেখেছি, দীর্ঘ ভাঙা সাঁকোয় বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছো।
আমিই বা কী – এই ধর্ম ও ইহলৌকিকতা কুয়াশার শ্বাসপ্রশ্বাসে সঞ্চারিত।
খুঁজে পেয়েছি তোমার মিশরীয় মেঘটুকু
আর আমার জেদী কুকুর, ভাবা যায় না, ক্রমে গাঢ় ও কোমল,
আমার অশিক্ষিত চাঁদের নিচে, কি জৈবপারমানবিকতা!
জবাগাছ
বিকেলের দেয়ালের পাশে
ব্লু ইউনিফর্ম আর জবাগাছ
জবাগাছের বিষয়ে
আমরা তেমন কিছু জানি না আসলে
সে
কিছু হারায়ে ফেলছে হয় তো
অথবা হারাইনাই
কিন্তু চাইতেছে কিছু হারাইতে
বড়দির রক্তের পাশে
কাম্ অন্ জ্যাক, জ্যাক কেরুয়াক
কোন এক রাত বিষ্ফোরিত হলে
তার তেজ বা তেজস্ক্রিয়তা
ছড়িয়ে পড়বে
লক্ষ লক্ষ রাতের ওপর।
ইউটোপিয়া
এমন একটা রাষ্ট্র আমাকে দিন
যেখানে সবার ক্ষেত আছে
নদী আছে
আগামীকাল আছে
প্রত্যেকেরই সূর্য আছে আলাদা আলাদা
আলাদা বাগান
আলাদা কাঁটাঝোঁপ
কিন্তু কবিতা একটাই
হ্যা
দামী দামী বিখ্যাত লোকদের সঙ্গে
অভিজাত রেস্তোরায় গিয়ে বসলেই
আমার কিন্তু হাগু পায়
রতিক্রিয়ার সময় তুমি কোন কথাই বলো না
ছোট ছোট কামড়ে
তুমি খাইতে থাকো নীল আপেলটা।
সাঁতার কাটো
জলের ওপর শরীর
পিছলে যায়,
সূর্য
তোমার পাতলা শরীরে
পিছলে যায়।
শেষমেশ ওরা সবাই
চায়
পরম সত্তার আশ্রয়।
**==**==**==**==**