রিজোয়ান মাহমুদের কবিতা
স্বাধীনতা কাস্তের চাঁদ
একটা বিচ্ছিন্ন পদাবলী আমাকে লেখতে হবে
যে কবিতা চিত্রকল্পে ভাঙা বাড়ির উঠোন
সুলতানের পোশাকে ফুলডাঁটা নিয়ে একটা শহর
কিশোরের হাফপ্যান্ট পরা দৌড় হবে বন্দুকের গুলি
সেলফোনে বোনের চিঠির এস এম এস হবে
হাবিজাবি ধুলো পথ ;
স্বাধীনতা পাখির ডাকের ভোর আর গোরের চিৎকার
আমার সকালে পড়া পুঁথি –
আমি সবটা দেখেছি, ঘরের বাইরে নতুন মায়ের রূপ
আমার বাবার রাঙা বউ, নাকের নোলক পিন্ধিছেন তিনি সগৌরবে।
আকাশের মেঘ বজ্রপাতে আলো ছিটকে পড়েছে
বাংলাদেশে – আনাচেকানাচে
আমি স্বাধীনতা নিয়ে বন্দুকে আগলে রেখেছি জীবন
যেখানে রক্তরা ফড়িং – বারুদে উড়ছে
বাবা কাঁধে জোয়াল ঝুলিয়ে একদম মাঠের সবুজে
কৃষকের কাস্তে থেকে চাঁদ নিঃশব্দ সকালে
নতুন মায়ের শাড়ি থেকে পাচ্ছি মেশকাত আম্বরের ঘ্রাণ
ভাইসব আব্রু ধরে রাখার দায়িত্ব সবটা আপনাদের।
স্বাধীনতা যেভাবে শুরু
স্বাধীনতা যদি হয় সর্বশেষ বিন্দু কোনো নাকফুল
সতীত্ব ও সকালের রঙ বেঁচে থাকে বিলকুল।
উদজান বোমা মারো, তবুও আমাকে পাশে টানো।
অনন্তের স্বরচিত নাম যুদ্ধের শহরে ঘুরেছিল
ঘুমঘোরে তোমাকে জড়িয়ে অন্ধকার শুয়েছিল।
তুমি কী অশাস্য আকারবাদী -আমি তো কিছু জানি
আমি কি নিয়তিবাদী তবু কেন উপাসনা কিছু মানি!
তুমি ব্যতীত উপাস্য নাই কোনো, শূন্য আমার মন্দির
আমি ছায়াসুর দেহের দরুদ আহা! পৃথিবী অস্থির।
**********************