রফিক জিবরান-এর কবিতা
‘বলাকা ব্লেড’ ফেলানি
আমাদের মহল্লাতেও—
ফেলানি ছিল একজনা ।
নানাবিধ গ্যাড়াকলে ‘মেয়ে শিশুটিকে ফেলে দিতে দিতে আর ফেলা হয়নি’
বলেই হয়তো সে ’বলাকা-ব্লেড ফেলানি’ হয়ে উঠেছিল।
সফল জেনারেলদের মতই পৃথিবীতে টিকে থাকার
নিজস্ব সমরকৌশল উদ্ভাবন করেছিল ফেলানি।
যেমন, নিজের বুদ্ধি আর দুই টাকার ঐতিহাসিক বলাকা ব্লেডের ধার
একত্রিত করে- একাধিক আগ্রাসী বীর্যবানের লিঙ্গ কর্তনে সফল হয়েছিল।
এখন মনে হয়, সীমান্তেও আগ্রাসন রুখতে
গুলিবিদ্ধ ফেলানীর পরিবর্তে ‘বলাকা ব্লেড ফেলানী’দের দায়িত্ব দেয়ার সময় হয়েছে।
আাপনিই বলুন, আগ্রাসনকারীদের ক্ষমতার দণ্ডকে খোঁজা করে দিতে
আর কী কী করণীয় আছে?
কিছু অন্ধকার উড়ে আসে ইতিহাসের সাথে
ধোঁয়ারা উড়ে যায়,
তোমার কল্পনারা কখনো ঢাকা পড়ে গ্রহদের ছায়ায়।
ছায়াদের ভালবাসে সকলেই নিজেস্ব আলোর পদযাত্রায়।
অবশ্য, কোনো নক্ষত্র ছিল না বলে নিজের সামান্য ছায়ার সাথে
হাঁটতে হাঁটতে দুপুরের রোদে পদ্মার বুকের গভীরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
একদা কাজলা দীঘির মোড়ে, লালপরীদের
দালান বাড়ির ভেতর আমাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
শুধু সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল পথের অন্বেষা নিয়ে—
এখন তাকিয়ে দেখি—
কিছু অন্ধকার উড়ে আসে ইতিহাসের সন্ধ্যা দৃশ্যের সাথে—
শিকার
নাটোর থেকে মাধনগরের পথে তুমি দেখবে—
ঠিকরে পড়ছে সূর্যছটা চলনবিলের সকালে,
সাদা বক— দলবেঁধে অথবা একা ধ্যানস্থ বসে আছে।
একলা কোনো বকের বসে থাকার একান্ত মূহূর্তটি তুমি-
মস্তিষ্কে, নিউরনের তাকিয়ায় তুলে রাখবে, অথবা
ভাবতে থাকবে একা কেন বসে আছে বক—
তুমি হয়তো ভাববে শিকারীর মন অতলে থাকে।
হয়তো আছে অন্য কোনো মানে—
একটা বোয়াল উপরে তাকিয়ে আছে
বকটির ছায়াশরীর লক্ষ্য করে—
তারপর একা বক উড়ে যাবে— তোমার শিকারী বকের কাছে,
অথবা চলনবিলের আলো, অন্ধকারে।
১২০১২০২২