You are currently viewing রওশন রুবী’র কবিতা

রওশন রুবী’র কবিতা

রওশন রুবী’র কবিতা

আমার আকাশ

আমার একটা আকাশ আছে, দিগন্তহীন মাঠ

ষড়ঋতুর একুশ হাসে, হাসে শ্যামল ঘাট

এ আকাশটা অনেক মেঘের ছিল আনাগোনা

কাজল-মাটির নোলক নথে হয় গো জানা-শোনা

 

নিঠুর এলো বিঁধলো বুলেট ঝরে পলাশ শিমুল

গন্ধ লুটায় পড়লো আমার সুগন্ধী সব বকুল

 

একুশ নিলো সিঁথির সিঁদুর শাঁখা-পলার ডাক

রঙ হারালো সোনার বাংলা কৃষ্ণচূড়ার শাখ

মায়ের এলোচুলের কাঁপন বোনের হাহাকার

রঙ ভেজা রঙ রক্ত স্রোতে একুশ বলাকার

 

তাই যে আমার আকাশ হলো নীল বেদনার ছাপ

দিগন্তহীন সবুজ আমার সূর্য খোলার ঝাঁপ।

 

কে আছো শান্তিপুরে যাবে

 

অনন্তনগর যাত্রা শুরু করবে বলে-

হুইসেল তুলেছে।

কে আছো শান্তিপুরে যাবে; যাবে নাকি কেউ?

উঠে পড়, উঠে পড় তবে; হাওয়ায় উঠছে ঢেউ।

স্টেশন ছাড়বে এখুনি, উঠে এসো, উঠে এসো।

না ভিড়ুক তরী, না নাচুক ঘোর,

দেনা-ধার, বীমা-লোন, তৃষা-ক্ষুধা চর্চিত হোক।

ব্যাঙেরা জ্বর নিয়ে জলে, মহামারি গিলে চলে,

হাসপাতালে যাবে না বলে কবি

সবক’টা নদীমুখে শব্দ ছড়িয়েছেন,

খেয়েছেন ভুলে-স্বেদ্ধ-শিমুল, ঢেকুর তুলেছেন।

জেগে উঠে তিনিও জানাবেন-

অপরিমেয় কল্পনায় ভেসেছেন নন্দিত- কল্যাণে…

 

নিশাগামী বেকুবের দল, যারা হয়েছে হাত বদল,

এই চৈত্রের অবসরে উঠে পড়,

উঠে পড় নারী ও নর;

আরগুমেন্ট পাঠ পর শান্তিপুরের ট্রেন

কনটেন্ট জমা দিয়ে ওভারব্রিজে।

রশিদ ব্যাপারির পানমুখ, সওয়ারীভ্যান,

একচিলতে ভেঁজাকাঠ পোড়াহাসি,

ঝুলে থাকা কাক কাক শরীর

ছুঁয়ে যাচ্ছে আগামীর দিকে দু’প্রান্তর দুরন্ত দুলিয়ে।

 

যে উঠেনি সে গুণে যাক ভুল মাপে ভূমি;

নিশ্চিত ছুটে যাই শান্তিপুরে তারা ও আমি তুমি।