You are currently viewing যেখানে দাঁড়াই, দেখি, ভুল দাঁড়িয়েছি! শক্তি চট্টোপাধ্যায়

যেখানে দাঁড়াই, দেখি, ভুল দাঁড়িয়েছি! শক্তি চট্টোপাধ্যায়

যেখানে দাঁড়াই, ভুল

 

যেখানে দাঁড়াই, দেখি, ভুল দাঁড়িয়েছি!

শিশুকাল থেকে এই দাঁড়ানোর জন্যে করে ত্রস্ত হাঁকুপাঁকু

কেমন দাঁড়াতে শেখা ঐ মঞ্চে, ডুবোঘরে, মাঠে-

মানুষের পাশাপাশি, মানুষের দূরত্বে ও কাছে,

কেমন দাঁড়াতে শেখা সরীসৃপ, লতার মতন!

দুঃখ? দুঃখবোধ নিয়ে বিলাস করেন গল্পে রাজা

ধনকুবেরের দুঃখে কাঁদে দেশ, দিল্লির কোকিল-

কাক নয়, পক্ষী নয় আর কাঁদে ব্রাহ্মণ শকুনি।

 

যেখানে দাঁড়াই, দেখি, ভুল দাঁড়িয়েছি!

 

(শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা)

 

যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো’র কবি, জীবনানন্দ- উত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি এবং হাংরি জেনারেশনের অন্যতম কন্ঠস্বর ছিলেন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। দারিদ্র্যের সাথে লড়েছেন, বারবার পেশা বদলেছেন কিন্তু কোথাও স্থির হতে পারেন নি। কোথাও থিতু হতে না পেরে জীবিকার জন্য উপন্যাস লিখতে শুরু করেন।  তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। সমীর রায় চৌধুরী , দেবী রায় ও মলয়রায় চৌধুরীর সাথে মতান্তরের কারনে হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করে তিনি কৃত্তিবাসে যোগ দেন। তিনি প্রায় পঞ্চাশটি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ করেন। কৃত্তিবাসের কবি হাংরি আন্দোলনবিরোধী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে শক্তির নামও সাহিত্যমহলে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম উপন্যাস কুয়োতলা কিন্তু পরবর্তীকালে লিরিক্যাল কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার উপন্যাস অবনী বাড়ী আছো? দাঁড়াবার জায়গা ইত্যাদি কৃত্তিবাস থেকে প্রকাশিত হয়।  রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে লিখেছেন প্রচুর ফিচার। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ হে প্রেম, হে নৈশব্দ’ প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।  তিনি লেখক মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন।  জন্মেছিলেন নভেম্বর ২৫, ১৯৩৩ সালে এবং মৃত্যু হয় ২৩ মার্চ, ১৯৯৫।

আজ তাঁর ৮৯তম জন্মদিন। মনমানচিত্রের পক্ষ থেকে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।

===================