আধো অন্ধকারে নক করে কেউ , ‘হাই’–
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের তানে আমি অসহায়
আমার শরীর বেয়ে হেঁটে যায় সবুজ সরীসৃপ
বুকবতী সমুদ্রের খাঁজ , চোখমারা বদ্বীপ।
ঝাঁপ দিতে যাবো ভেবে পেছনে তাকাই,
প্রবল স্রোতের টানে যদি যাই ভেসে
গাদাগাদি শরনার্থীর ভিড়ে ইঞ্জিন নৌকায়
যদি ঠাঁই মেলে, দীর্ঘ ক্ষুৎ- পিপাসায় যারা মরে
আমিও তাদের সাথে চলে যাবো অরণ্যের গুপ্ত কবরে।
স্বজনের ইমেইল ভেসে যাবে ইথারে ইথারে
কোথায় আগুন লাগে দাউ দাউ, কার সংসারে
কে ঝুলেছে সিলিং ফ্যানে,
পঞ্চাশ ঘুমের বড়ি কে খেয়েছে মিশিয়ে শ্যাম্পেনে
আমার পরোয়া নেই, ভার্চুয়াল কাঁখের বাঁক
আমার হৃৎপিণ্ডে জ্বলে দাউদাউ আঁগ।
ভাবি, শঙ্খচূড় হই, নীল বিষ ছড়িয়ে দিই নিটোল শরীরে
সে যদি নেউলে হয়, মুখে পুরে উচ্ছ্রিত ফণা,ধীরে ধীরে
আমার সমস্ত জৌলুশ নিস্পন্দ বিবর্ণ করে
নিশ্চিন্তে লাশ হবো, আমি তার অনন্ত বিবরে।
মধ্যরাতে, এভাবে ডেকো না আর মনোরঞ্জনা
বিষদাঁত ভেঙে দিতে, থেঁতলে দিতে অলংকৃত ফণা
আমার অরণ্যে আমি বেশ আছি, মাটি ও ঘাসের অন্তর্বাসে
কামাখ্যার যোগিনী, আমাকে পুড়িয়ো না যাদুযজ্ঞে, আগ্নেয় শ্বাসে।