বদরুজ্জামান আলমগীর
নিরাসল বুদ্ধিমত্তা
এতোটাই চাষবাস করেছে মানুষ
এতোদূর এগুলো মানুষ
স্মৃতির লগি বেয়ে তারা যে দেখে
তাদের ফেলে আসা ঘুঙুর, দখিনা দুয়ার
কাঁধ থেকে নামিয়ে ঘাম মোছে মানুষ
চোখের ছানি খুলে দূরে তাকায় মির্জা গালিব
পথে নামিয়ে রাখে কাঁধের ঈশ্বর।
আজ আবার চোখ কুঁচকে শৈশবের দিকে ফিরে
চায় এতোদূর এগুনো মানুষ- পালকি কাহার
নিজের বানানো ঈশ্বর- কৃত্রিম বুদ্ধির তলোয়ার
ও ক্ষুর আর অদৃশ্য ক্ষমতার ভ্রূকুটি হাসি
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ফুলাভা,ত্রাহি।
মাছি
মরে যাবার পর মাছি ভনভন হাওয়ার গঞ্জে ওড়ে
জীবনের বাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে ফসকে যাওয়া চাবি
ধূলিঝড়ে লবেজান স্মৃতির চৌকাঠে শতায়ু কারবারি
এ আনন্দের, এ-যে বেদনার এক পরিচ্ছন্ন তরবারি।
মাও সেতুঙও একটি মাছি নাকি, মাছি কী নূর হোসেন
যারা জীবদ্দশায় যতোটা বাঁচে, তার থেকে এক মোচড়ে
অধিক বাঁচে মৃত্যুর পরে, বন্ধ হওয়া জানালাটি খোলেন?
বিচ্ছুরণের হৃৎপদ্মে ফুটতে থাকে কালের কেশরধ্বনি
হারানো কবুতর ভাঙা জলের পাটিসাপটার চালে
ছায়াটি খোঁজে, শৈশবের ওমে খানিক ক্ষরণে মজে
পাতালের নমঃশূদ্র আকাশে একাগ্র মধুসংগ্রহের খনি।।
রডোডেনড্রন
গুলিস্তান থেকে সদরঘাট ও মিরপুর দশ নাম্বার
গোল চক্কর দাবড়ে সাঁড়াশিতে কুকুর ধরছে পুলিশ
পুলিশ নদীভাঙা মানুষদের তুলে নিচ্ছে ট্রাকে
ভিখারি উচ্ছেদে নেমেছে সরকারি দলের পাইক
খেক খেক হাসে আর লাঠি চার্জ করে প্রবঞ্চক,শঠ।
সন্ধ্যার পর ছিন্নমূল মেয়েরা ঘুঘু পাখি কলগার্ল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ডালে বসে স্তন ও ঠোঁটে
জ্বালে শিশুর উদ্যান, রডোডেনড্রন বিষের বালু
ঈশান ও নৈঋতে তারা কালবোশেখীর বীজ ও সন্ত্রাস
ছিন্নমূল জন্মের খোয়াব রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঘিরে বলে,হল্ট!
*******************************************