পিপুফিশু || আলী সিদ্দিকী
কিস্তি- ১৩
উগ্রবাদে ভষ্মিত ভূবন
পল আর আমি যখন জনের বাসার সামনে এসে গাড়ী দাঁড় করলাম হঠাৎ বৃষ্টিতে চারদিক অন্ধকার হয়ে এসেছে তখন। সন্ধে হতে এখনো ঘন্টা খানেক দেরী হলেও ধেয়ে আসা আঁধার যেন বয়ে নিয়ে এলো শীতল বাতাসের ঝাপটা। গাড়ী থেকে বেরিয়ে আমরা এক ছুটে ঘরের দরোজায় এসে দাঁড়ালাম। ঘরটা বেশ পুরনো। এক পলকে বোঝা যায়, বহুদিন কোন সেবাযত্ন পায়নি ঘরটা। পর্চের চতুর্দিকে জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে আছে। ফ্ল্যাট হুইল নিয়ে জনের গাড়ীটা কাত হয়ে আছে একপাশে । সব মিলিয়ে বাড়ীটায় দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট।
পল কলিংবেল টিপলো।
ও তোমরা, এসো ভেতরে এসো – সিন্ডি দরোজা খুলে শান্ত মুখে বললো।
আমরা জুতো খুলে ওকে অনুসরন করলাম।
ভেতরের ঘরে কম্বল মুড়ে শুয়ে আছে জন। আমাদের সাড়া পেয়ে সে আধশোয়া হয়ে বসলো। তার মুখটা ফোলা। চোখ দু’টো প্রায় কোটরাগত আর ভীষণ লাল। মুখের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে কালচিটে হয়ে আছে। ওকে একেবারে চেনা যাচ্ছে না।
গতকালও কাজ থেকে বেরিয়ে আমরা দু’জনে ইয়াম ইয়াম-এ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। কফি খেয়েছি। নানা বিষয়ে কথা বলেছি। একটা ক্যান্ডেলাইট প্রোগ্রামে জয়েন করতে জন তাড়াতাড়ি বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছিলো। আজ কাজে গিয়ে দেখি জন আসে নি। নটার দিকে বারবারা জানালো, জন কাল রাতে গুরুতর আহত হয়েছে। একদল লোক নাকি ওকে বেদম পিটিয়েছে। সে এখন হাসপাতালে।
শোনার পর থেকে আমি অস্থির হয়ে পড়ি। ব্রেক টাইমে পলকে ফোন করে জানাই। সে শুনে হতবাক।
বলো কি ? কারা করলো ? জন কেমন আছে ?
শোনো, আমি কিছুই জানি না, তুমি খোঁজ নাও। বিকেলে বাসায় থেকো। আমি তোমাকে পিক আপ করবো।
কাজ থেকে বের হয়ে সোজা পলের বাসায়। পল তখনও ফেরে নি। অগত্যা কিছুক্ষণ গাড়ীতে অপেক্ষা করলাম। একটু পরেই এলো পল।
কোন খবর পেলে ? আমি শোনার জন্যে উদগ্রীব হলাম।
সিন্ডি জানালো জন এখন বাসায়, পল বললো, অবস্থা রক্তাক্ত না হলেও সারতে সময় নেবে।
কারা মেরেছে আর কেনইবা মারলো ?
কাল নাকি যুদ্ধবিরোধী একটা ক্যান্ডেলাইট র্যালী ছিলো ওদের এলাকায়, পল জানালো, র্যালী শেষে গাড়ীতে ওঠার আগ মুহূর্তে কারা যেনো তাকে বেদম পিটিয়েছে। জন তাদের কাউকেই চিনতে পারেনি। অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলো সেখানে। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কারা মেরেছে এখনো ফাইন্ড আউট করা যায় নি।
আশ্চর্য !
জন একজন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী। একজন যুক্তিবাদী। যুদ্ধের বিরুদ্ধে যেমন মানুষ আছে, তেমনি যুদ্ধের পক্ষেও। পক্ষ-বিপক্ষ সারা দুনিয়াতেই আছে। প্রত্যেকেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু তাই বলে প্রতিপক্ষকে মারতে হবে ? এ সব তো তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশের প্রত্যহিক ঘটনা। প্রতিহিংসা আর বিদ্বেষই হলো সেখানকার রাজনীতির হাতিয়ার। তা বলে উন্নত গণতন্ত্রের এই দেশেও এমন ঘটনা ঘটাতে হবে ? সবই নষ্ট রাজনীতিকদের নোংরামি। তাহলে আর গণতন্ত্রের বড়াই করে কি হবে ?
কেমন আছো জন ? আমি চেয়ার টেনে ওর বিছানার পাশে বসলাম।
মোটামুটি, আঃ ! কথা বলতে গিয়ে খঁকিয়ে উঠলো জন, চোয়ালে ভীষণ ব্যথা।
তুমি কাদের সন্দেহ করো জন ? পল জিজ্ঞেস করলো, একটু চিন্তা করে দেখো।
আসলে পল, আমি কাউকে চিনতে পারি নি।
কারা ক্যান্ডেলাইট র্যালীর অর্গনাইজ করেছিলো ?
আমাদের এলাকার কৈখার্সরা (একটা শান্তিবাদী গ্রুপ)।
তোমাকে কি কেউ হুমকি টুমকি দিয়েছিলো ?
না।
আশ্চর্য ! পল চিন্তিতভাবে স্বগোতোক্তি করলো।
আমি জনের একটা হাত ধরে বসে রইলাম। সিন্ডি ছোট্ট ট্রে তে করে চার কাপ ধুমায়িত কফি নিয়ে ঘরে ঢুকলো। তার মুখটা শুকনো। সে আর জন আজ কাজ কামাই করেছে। টেম্পরারী কাজ। কোন বেনিফিট নেই। এ দু’দিনের রোজগার মার গেলো। আজকাল সে জনের সাথেই থাকছে। তাই জনের বিপদ মানে তারও বিপদ। এখন ক’দিন যে জনকে এমন পড়ে থাকতে হয় কে জানে। তাহলে কি করে যে সে এতো বিল পে করবে ভাব যায় না। এসব ভাবতে ভাবতে আমি সিন্ডির মুখের দিকে তাকালাম। সে জনকে কফি কাপটা এগিয়ে দিলো।
থ্যাঙ্কস সিন্ডি, জন আবেগ দিয়ে বললো, তোমাকে কষ্টে ফেলে দিলাম।
নিজের কষ্টের কথা ভাবো আগে, সিন্ডি শান্ত গলায় বললো, জানোয়াররা তোমাকে পশুর মতো মেরেছে, তুমি শুধু পড়ে পড়ে মার খেয়েছো, এটা ভাবতে আমার ভীষণ খারাপ লাগে, রুদ্ধকন্ঠে বলে সে।
ওরা নিশ্চয় ভুল করে আমাকে মেরেছে, জন প্রশান্ত গলায় বোঝানোর ভঙ্গীতে বলে, তারা হয়তো যাকে খুঁজছিলো তার সাথে আমার মিল পেয়েছে।
তোমার এ ভাবনা সঠিক নয় জন, পল প্রতিবাদ করলো, তাই যদি হবে তুমি চিৎকার করার পরেও কেন ওরা তোমাকে মারছিলো, কেন বলছিলো, ’দেখাচ্ছি মজা’। আমার মনে হচ্ছে এটা যুদ্ধবাদীদের কাজ।
এ সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, নিজের কফিতে চুমু দেয় সিন্ডি, তোমার এ্যাক্টিভিটি ওদের ক্ষেপিয়েছে।
পুলিশকে দেয়া স্টেটমেন্টে তোমার এ সন্দেহের কথাটা বলতে হবে, পল জোরের সাথে বললো।
তাহলে কিন্তু সমস্যা বাড়তে পারে, জন চিন্তিত গলায় বললো।
বাড়লে বাড়বে, সিন্ডি নাছোড় কন্ঠে বলে,এই ভয়ে কি তুমি সত্যের মুখোমুখী হবে না ?
এ সময় ক্রিং ক্রিং করে কলিংবেল বেজে উঠলো।
আমি দেখছি, কফিটা নিয়ে সিন্ডি সামনের ঘরে চলে গেলো।
ও ক্ষেপে গেছে- জন সেদিকে তাকিয়ে থেকে বললো।
আমরাও কিন্তু ক্ষেপেছি জন, পল চিবিয়ে বললো, একটা নির্দোষ মানুষকে মেরে ওরা পার পেয়ে যাবে, তা হবে না।
বাইরের ঘরে কয়েকজনের কন্ঠ শোনা গেলো। সিন্ডি যেন কাউকে নিয়ে ভেতরে আসছে। আমি উঠে দাঁড়ালাম। পল কফির শেষাংশটা মুখে ঢেলে কাপটা একপাশে সরিয়ে রাখলো।
জন, অফিসার স্টুয়ার্ট এসেছেন – সিন্ডি স্টুয়ার্টকে দেখিয়ে বলে।
হাই গাইস ! মধ্যবয়েসী মি. স্টুয়ার্ট সবার দিকে একটু নজর ফেলে জনের কাছে এগিয়ে গেলেন।
জন শোয়া থেকে হাত বাড়িয়ে শেক করলো।
তা শরীরে ব্যথা কেমন ? মি.স্টুয়ার্ট একটা চেয়ার টেনে এগিয়ে গিয়ে বসলেন।
মুখ দেখে কি কিছু বোঝা যাচ্ছে না মি. স্টুয়ার্ট ? জন হাসিচ্ছলে বললো।
অন্যেরটা দেখা যায় কিস্তু ফিল করা যায় না – অফিসার দরাজ গলায় হাসলেন।
তা সত্যি, জন মুচকি হাসলো, তবে যারা আমাকে মেরেছে তাদের বুদ্ধিমান বলতে হবে -।
সে কেমন ? ঘাড় কাত করে পুরো ঘরের দিতে দাকাতে তাকাতে তিনি প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলেন।
এরকম পড়ে থাকলে তো ইনকাম টোট্যালি বন্ধ হয়ে যাবে, জন বিষন্নভাবে বলে, একজনকে প্রাণে মারার চেয়ে আর্থিকভাবে মারাটা বুদ্ধিমানদের পক্ষেই সম্ভব।
খাসা বলেছেন, হাসেন অফিসার, তা ওরা আপনাকে কেনইবা মারবে ?
সেটা জানলে তো স্বস্তি পেতাম, জন এবার স্বাভাবিক ভঙ্গীতে হাসলো, কিছু বলে কয়ে তো আর মারেনি -।
ওরা আপনাকে কিছুই বলে নি ?
একজন কোমরে লাথি দিতে দিতে বলছিলো, দেখাচ্ছি মজা, জনের একটা হাত বামদিকের কোমরে চলে গেলো। সবুট লাথি পড়ার সাথে সাথে সে কঁকিয়ে উঠেছিলো। ব্যথাটা যেনো এখনো জমাট বেঁধে আছে সেখানে।
একটা অপ্রিয় কথা বলতে হয় মি. জন, অফিসারের গলাটা কেমন যেন গম্ভীর শোনালো। আমি পল আর সিন্ডি উৎকর্ণ হলাম। খাটের একটা পায়া ধরে দাঁড়িয়েছিলো সিন্ডি। সে চকিতে তাকালো অফিসারের দিকে। পল পোকার কার্ড নিয়ে বার বার সাফল করছিলো, অফিসারের কন্ঠস্বরে হাত থামিয়ে সে ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো। আমি হাত-পা ঢিলেঢালা করে বসেছিলাম, অফিসারের কথা শুনে টান টান হলাম। জন যেনো ভ্রূ কোঁচকালো।
আমি কি মিস সিন্ডির সামনেই বলবো ? অফিসার জনের অনুমতি চাইলেন।
আমরা হবাক হয়ে মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম উনার কথা শুনে। কি এমন অপ্রিয় কথা তিনি সিন্ডির সামনে বলতে পারছেন না ? আমার মাথায় হঠাৎ বিদ্যুৎ খেলে গেলো। এ কি সিন্ডি সম্পর্কিত কিছু ? সিন্ডির কারনে জনকে কেউ মেরেছে ? এটাই কি বোঝাতে চাচ্ছেন অফিসার ? অফিসারের কন্ঠস্বরে আমার চিন্তায় ছেদ পড়লো।
ঘটনার সময়, প্রায় কাছেই মি.স্ট্যানলিকে দেখা গেছে, অফিসার প্রত্যয় মাখা গলায় বললেন, আমরা জেনেছি মি.স্ট্যানলি মিস সিন্ডির এক্স এবং মি.জন উনি আপনার বন্ধুও।
কি বলছেন আপনি ? জন সোজা হয়ে বসলো, স্ট্যানলি আমার অনেক দিনের বন্ধু। সে এমন কাজ করতে পারে না। তাছাড়া ওকে আশেপাশে দেখা গেলেই যে সে এ ঘটনায় জড়িত থাকবে তা আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন ?
আমি আর পল সিন্ডির দিকে তাকালাম। তার মুখটা একেবারে পাংশু হয়ে গেছে। সে অন্যমনস্কভাবে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলো। জন এক নজর ওকে দেখে মি.স্টুয়ার্টের দিকে মুখ ফেরালো।
এই ছবিগুলো দেখুন, বলে অফিসার একটা প্যাকেট থেকে কয়েকটা ছবি বের করে বিছানার পাশে রাখলেন।
আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম ওগুলোর ওপর। কিন্তু সিন্ডি নড়লো না। তার চেহারায় কোন বিকার দেখা গেলো না।
সে যেন নিশ্চিত যে, স্ট্যানলি এ কাজ করিয়েছে। ছবিগুলো দেখে আহতভঙ্গীতে জন তাকালো সিন্ডির দিকে। আমি আর পল দেখলাম স্ট্যানলি কিছুলোকের সাথে কথা বলছে। আরেকটাতে হাত তুলে দূরে কি যেন দেখাচ্ছে। তারপর দেখা গেলো সে লোকগুলো জনকে পেটাচ্ছে। শেষেরটাতে গাড়ীর খোলা দরোজায় বসে স্ট্যানলি হাসছে আর সিগারেট টানছে।
ব্যাপারটা একেবারে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেলো।
ছবিগুলো সিবিএস ফার্মেসীর সিকিউরিটি ক্যামেরায় তোলা, উঠে দাঁড়ালেন মি. স্টুয়ার্ট, আমরা স্ট্যানলি ও তার সহযোগীদের খুঁজছি। ওরা গা ঢাকা দিয়েছে, তিনি দরোজার কাছে চলে গেলেন, আসি মি.জন, গুডনাইট গাইস্ ।
তুমি জানতে ? পুলিশ অফিসার বেরিয়ে যেতেই সিন্ডির দিকে তাকিয়ে তীব্রকন্ঠে বলে উঠলো জন। ওর চেহারা এখন দেখার মত। ফোলা, রক্তাক্ত মুখটা হিংস্র হয়ে উঠেছে। চোখ দিয়ে আগুন ঠিকরাচ্ছে।
সিন্ডি চুপ করে একবার জনের দিকে তাকিয়ে মাথা নীচু করলো। তার চোখ থেকে টুপ টুপ করে জল গড়িয়ে পড়লো।
তোমার চুপ থাকাটা প্রব্লেম বাড়াবে সিন্ডি, পল উঠে ওর কাছে এগিয়ে গেলো। ঘরের অনুজ্জ্বল আলোয় সিন্ডির চোখের অশ্রুবিন্দু ঝিলিক দিয়ে উঠলো।
আমি জানতাম না, বাকরুদ্ধ গলায় বললো সে, তবে সে গত কিছুদিন আমাকে খুব জ্বালাতন করছিলো।
তুমি তো আমাকে কিছু বলো নি – অভিযোগ করলো জন।
তোমার ব্যাপারে সে আমাকে কিছু বলে নি কখনো, সিন্ডি ফাঁৎ করে নাক টানলো, সে শুধু টাকা চাইতো -।
তুমি টাকা দিয়েছো ?
না দিয়ে উপায় ছিলো না জন, সিন্ডি কান্নাভেজা গলায় বললো।
উপায় ছিলো না ? অবাক কন্ঠে বলে জন, সে তোমাকে কেন ব্ল্যাকমেইল করছে ?
চুপ করে থাকে সিন্ডি।
ঘরে নীরবতা নেমে আসে।
বাইরে কোথাও কুকুরের ডাক শোনা গেলো।
সড়ক দিয়ে তীব্র শব্দ তুলে কোন স্পোর্টস কার চলে গেলো।
সিন্ডি মাথা নুইয়ে আছে।
তিনজোড়া চোখ বিদ্ধ করছে তার অস্তিত্ব।
কিছু বলো সিন্ডি, পল অনুরোধ করলো।
তোমার কথা বলা দরকার সিন্ডি, আমি উঠে ওর কাছে গেলাম।
পারবো না, আমি বলতে পারবো না জন- বলে ছুটে বেরিয়ে গেলো সে।
পরক্ষণে গাড়ী স্টার্ট দেয়ার শব্দ হলো।
আমরা বোবা হয়ে গেলাম।
কি এমন গোপন বিষয় আছে যা সে প্রকাশ করতে পারলো না ? অথচ এতোদিন চলাফেরা করছি কোনদিন তাকে অসংলগ্ন কোন আচরন করতে দেখিনি। সারাক্ষণ তাকে উৎফুল্ল দেখেছি। একেবারে সাধারণ বিষয়েও অনন্যসাধারণ হাসিটুকু সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সে কখনো কার্পণ্য করে না। উদ্ভিন্ন যৌবনের ঔজ্জ্বল্য সে অবারিতভাবে আমাদের আড্ডায় বিতরন করেছে অনায়াসে। অনেক সময় লিনোরা থেকেও সিন্ডিকে আমার কাছে বেশী মোহনীয় মনে হয় উদ্দামতার জন্যে। সত্যি মেয়েটা খুবা ভালো – এমন একটা ধারণা আমি পোষণ করে এসেছি। কিন্তু এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে কোথায় যেনো একটা ফাঁক রয়ে গেছে।
তোমরা ওকে আটকাও পল, জন আর্তনাদ করে উঠলো, ও এক্সিডেন্ট করে ফেলবে।
বলার সাথে সাথে লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেলো পল ।
আমি কিংকর্তব্য বসে রইলাম জনের পাশে।
জন হাত বাড়িয়ে আমার একটা হাত টেনে নিয়ে বসে রইলো চুপচাপ।
সময় যেনো হঠাৎ স্থির হয়ে গেছে।
******************************