You are currently viewing পিপুফিশু- ১০ || আলী সিদ্দিকী

পিপুফিশু- ১০ || আলী সিদ্দিকী

পিপুফিশু || আলী সিদ্দিকী

কিস্তি১০

উন্মত্ততা ছড়ালো বিশ্বময় 

লিনোরা চলে গেছে ঘন্টা দুয়েক হলো। কিন্তু তার সুবাস যেনো সারা ঘরময় ছড়িয়ে আছে। অনুচ্চ শব্দে উচ্চারিত তার হাসিরাশি যেনো এখনো ঘরময় উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। তার ওষ্ঠাধর নিংড়ানো সজীব আকুলতা এখনো আমার ইন্দ্রিয়কে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। শারিরীক কামনা আমাদের আরো অনেকদূর হয়তো নিয়ে যেতো। কিন্তু কেন জানি আলিঙ্গনের উষ্ণতায় উদ্বেলিত দু’টি হৃদয়ের স্পন্দন জৈবিক কামনাকে ছাড়িয়ে গেলো। আর এতেই আমরা দু’জনেই দু’জনার হয়ে গেলাম। কখনো ভাবিনি এভাবে কারো সাথে জড়িয়ে যাবো। ছন্নছাড়া জীবনে কেউ এভাবে এসে ঢেউ তুলবে তাও ভাবিনি কখনো। ভেসে বেড়ানো জীবনের নৌকোটিকে কোথাও ভেড়াতে হবে এমন চিন্তাও আসে নি মাথায়। অথচ কোথা থেকে কি হয়ে গেলো। হাওয়াই দ্বীপের এক অতি সাধারণ সুন্দরী যুবতী এসে একপ্রকার জোর করে জাগিয়ে দিলো মনের অনুভূতি। জন-এর আহবানে যুদ্ধবিরোধী র‌্যালীতে না গেলে হয়তো লিনোরার সাথে আমার পরিচয়ের সুযোগ হতো না। আর লিনোরার পক্ষেও সম্ভব হতো না আমার জংধরা হৃদয় খুঁড়ে ভালোবাসা জাগানো। অবশ্য আমার মনে একটা খটকা লেগে আছে। আমেরিকার মেয়েরা খুব সহজেই সঙ্গী বদলে ফেলে। লিনোরা যে তেমন করবে না তার গ্যারান্টি বা কি। এ ক’দিনে যতটুকু বোঝার সুযোগ হয়েছে তাকে আমার অন্যধাঁচের মনে হয়েছে। ওর মধ্যে তারুণ্যের উচ্ছলতা আছে, উন্মত্ততা নেই। যা প্রায় সকল আমেরিকান মেয়েদের মধ্যে দেখা যায়। সে যথেষ্ট ধীরস্থির আর রিজনেবল। বিলাসিতার চেয়ে প্রয়োজনের দিকে নজর বেশী। অবশ্য সে বয়েসে যথেষ্ট পরিপক্ক, ব্যাচেলর শেষ করার পথে। সব মিলিয়ে লিনোরা আমার সকল প্রাপ্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠ পাওয়া। আর এজন্যে জনের কৃতিত্ব বেশী। মনে মনে জনকে ধন্যবাদ জানালাম। স্বল্প সময়ে সে আমাকে অনেক বেশী দিয়ে ফেলেছে।

অসময়ে শুয়ে শুয়ে এসব ভাবছি। দূপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। একটু সুপারমার্কেটে যাওয়া দরকার। তাছাড়া লন্ড্রী করাও এখনো বাকী। কাল সকালে নাকামেক্সন লেকে যাওয়ার প্রোগ্রাম পাকা করে গেছে লিনোরা। তার শখ নৌকায় ভেসে বেড়ানো। সেজন্যে আমার কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। উঠতে যাবো এ সময় কলিংবেলটা চিৎকার করে উঠলো।
দরোজা খুলে দেখি একহাতে হাফ ডজন বিয়ার ক্যান ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জন আর অল্প চেনা পল ক্রিস। জনদের পাব-এর আড্ডায় পল-কে বার দুয়েক দেখেছি। তাকে মনে হয়েছে অতিস্বল্পভাষী। পেশায় কম্পিউটার প্রোগ্রামার। ছোটখাটো মানুষ কিন্তু চোখ দু’টো ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত। মুখে লেগে থাকা সার্বক্ষণিক স্মিত হাসিটাও উপভোগ্য।
হাই ! চোখাচোখি হতেই পল হাসলো।
হাই ! আমি দরোজা ছেড়ে দাঁড়ালাম, কাম অন ইন -।
জনের চেহারায় একধরণের বিমর্ষতা। নিশ্চয় কোন দুশ্চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে ওর মাথায়।
ফোঁস করে একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে ভেতরে ঢুকলো সে। টি টেবলে বিয়ারগুলো রেখে ধপাস্ করে সোফায় বসে পড়লো। তারপর এমন চোখে আমার দিকে তাকালো যেন অপরাধ করে ফেলেছি। ভাবলাম, লিনোরা যে আমার কাছে এসেছে সেটা জেনে ক্ষুন্ন হয় নি তো জন ? আবার মনে হলো, ধুর ! জন এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। নিশ্চয় অন্য কিছু।
মনে হচ্ছে তুমি কিছু জানো না, হাত-পা ছড়িয়ে দিয়ে বললো জন।
কি জানি না ? আমিও বসলাম ওর মুখোমুখী। তাকালাম পলের দিকে।
টিভি অন করো। জন হতাশভঙ্গীতে হাত দোলালো।
রিমোট চেপে টিভি অন করলাম।
নিউজ চ্যানেলে দাও।
আমি এবিসি অন করলাম।
আরে, একি ? আমি টিভির পর্দায় ভেসে ওঠা দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠলাম।

আমেরিকা আকাশপথে ইরাকের ওপর হামলা চালাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল ছুটে গিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে সামরিক স্থাপনাগুলো। চোখের পলকে বিশাল বিশাল অট্টালিকা হয়ে যাচ্ছে ধুলিস্মাৎ। ইরাকের প্রেসিডেন্ট ভবনের ওপর বিকট শব্দে আছড়ে পড়ছে বোমা। আরো দেখাচ্ছে, কুয়েতে জমায়েত হওয়া আমেরিকান স্থল সেনাবাহিনী ঢুকে পড়েছে ইরাকের ভেতর। সীমান্তের কাছাকাছি দুয়েক জায়গায় তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হলেও এ্যাপাচি হেলিকপ্টারের সহায়তায় সে প্রতিরোধ সহজে চুরমার করে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন মেরিন সেনা। টিভি ক্যামেরা সম্মুখযুদ্ধের ধ্বংসস্তুপ আর দগ্ধীভূত ইরাকীদের লাশ দেখালো। আরো দেখাচ্ছে বৃটিশ সেনারাও ঢুকে পড়েছে ইরাকের ভেতর। ওদের লক্ষ্য হলো বসরা দখলে নেয়া।
আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম টিভির দিকে।
কি বুঝলে ? বিয়ারের ক্যান আমার দিকে এগিয়ে দিলো জন। আরেকটা দিলো পলকে।
কি আর বুঝবো, যা হবার তা-ই হচ্ছে, উঠে আমি ফ্রিজ খুললাম। কিছু আইস কিউব নিয়ে টেবিলে রাখলাম। সাথে স্পাইসি চিপস্ ।
এটা হবার কথা ছিলো না আতিক, একটু উষ্মা মাখা গলায় বললো জন, ইউনাইটেড ন্যাসন্সকে এভাবে অকার্যকর করে দিয়ে আমার দেশকে সারা বিশ্বের কাছে হেয় করে দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। সারাবিশ্বের কোটি কোটি যুদ্ধবিরোধী মানুষের শান্তির আকাঙ্খাকে পদদলিত করে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সুচনা করলো এ সরকার।
আমি ওর রাগে লাল হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বুঝতে পারছি ওর মধ্যে তুমুল ঝড় বয়ে যাচ্ছে। গত কিছুদিন ধরে সে ডিসিতে, নিউইয়র্কে, ফিলিতে এমন কি বৃটেনে গিয়েও যুদ্ধবিরোধী সমাবেশে যোগ দিয়েছে। তার একটাই বক্তব্য, সাদ্দাম যদি বিশ্বের জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তাহলে শুধু আমেরিকা কেন একা এ দায়িত্ব নেবে ? আর যেখানে কংগ্রেস যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, সেখানে প্রেসিডেন্ট কি করে যুদ্ধ ঘোষণা করলো ? এ তো যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পুরোপুরি লঙ্ঘন।

হি ইজ এ ওয়ার মঙ্গার জন, পল শান্তকন্ঠে বললো, কথায় আছে না, চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।
তাই বলে এই সেদিন ঘটে যাওয়া ভিয়েতনামের বিপর্যয় থেকেও কি আমরা শিক্ষা নেবো না ? জেদের বশে সশব্দে বিয়ারের মুখ খুললো সে।
তুমি ভুলে যাচ্ছো জন, পল বোতলটা উপুড় করে গ্লাসে ঢাললো, তারপর কয়েকটা আইস কিউব ছেড়ে দিয়ে জেগে ওঠা বুদবুদের দিকে তাকিয়ে রইলো, ইতিহাস থেকে কেউই শিক্ষা নেয় না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সাদ্দামের কাছে ডব্লিউএমডি বলতে কিছুই নেই, এসব একটা অজুহাত, বিয়ার গলায় ঢেলে মুখটা ঈষৎ বিকৃত করলো জন, গালফ্ ওয়ারের পর থেকে যার ওপর সার্বিক অবরোধ আরোপ করে রাখা হয়েছে, সে কিভাবে মারণাস্ত্র সংগ্রহ করবে ?
সিগারেট খেতে পারি আতিক ? পল আমার অনুমতি চাইলো।
অসুবিধে নেই, আমি উঠে জানালাটা খুলে দিলাম।
থ্যাঙ্কস ! পল সিগারেট ধরালো, শোন জন, ইরাকের তেল লুট আর ইসরাইলকে নিরাপদ করা ছাড়া এ যুদ্ধের অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। মানুষ যতোই চিল্লাক কোন কাজ হবে না।
আরো একটা উদ্দেশ্য আছে, জন গ্লাসে শেষ চুমুক দিয়ে আরেকটা বোতলের দিকে হাত বাড়ালো।
কি ? সিগারেট ধরানোর জন্যে লাইটার টেনে নিলাম।
বিশ্বসভ্যতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মেসোপটোমিয়াকে ধ্বংস করে দেয়া, গম্ভীর হয়ে বললো জন, দুয়েকদিনের মধ্যে দেখবে বাগদাদ মিউজিয়াম লুট হয়ে গেছে।
তুমি কি করে বুঝলে ? পল অবাক গলায় বললো।
তোমরা ভুলে যাচ্ছো হোয়াইট সুপ্রিম্যাসির আড়ালে আসলে ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্বই কাজ করছে, সোজা হয়ে বসে একটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে লাগালো জন।
তার মানে ? আমি ক্লিয়ার হলাম না।
মানে হলো সোজা, রহস্য করলো জন, কমিউনিজমকে কবর দেয়ার পর গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ কে ?
আপাতঃদৃষ্টিতে কেউ না, পল বললো।
তোমরা আসলে চিন্তা করো না ! আক্ষেপের স্বরে বললো জন, আসলে গণতন্ত্রটা কি ? ডেমোক্রেসি ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফুঃ ! ডেমোক্রেসি হলো সারভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্ট। আর ফিটেস্ট কারা ? রাষ্ট নিয়ন্ত্রক মুষ্টিমেয় ধনীরা। তো ওরা মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে রাখবে কি দিয়ে ? ধর্ম দিয়ে। মার্কস ঠিকই বলেছে, ধর্ম হলো আফিম। এখন কোন আফিমটা উত্তম ? আমারটা না তোমারটা ? তুমি বলছো তোমারটা, আমি বলছি আমার। এখন আমি যখন বলশালী তখন তোমার কথা শুনবো কেন ? তোমাকে আমারটাই শ্রেয় বলতে হবে। বলবে না ? তাহলে ঘাড় মটকানি খাও। এই হলো চিরায়ত লড়াইয়ের নতুন রূপ। বুঝলে ? জন আমাদের দিকে তাকালো সরু চোখে।
বুঝলাম, পল এসট্রেতে সিগারেটের শেষাংশ টিপে দিয়ে ঘাড় বাঁকা করে তাকালো জনের দিকে, তুমি এথিয়িস্ট হয়ে গেছো।
নতুন করে হলাম কোথায়, হাসলো জন, বরাবরই ছিলাম, আমার বাবার মতো।
তোমার বাবা কমিউনিস্ট ছিলেন ? আমি কয়েকটা চিপস্ মুখে দিলাম।
বোকার মতো প্রশ্ন করো না আতিক, জন ক্ষুন্ন গলায় বললো, এথিয়িস্ট হলেই কেউ কমিউনিস্ট হয়ে যায় না। মার্কসের রাজনৈতিক দর্শন প্রকাশিত হবার আগেও পৃথিবীতে অনেক এথিয়িস্ট ছিলো।
তা তুমি কি সারাক্ষণ এসব নিরামিষ বিষয় নিয়েই পড়ে থাকবে ? পল ওকে খোঁচা দিলো।
বিশ্বের ওপর চেপে বসা একটা দানব নিয়ে কথা বলাটা তোমার কাছে নিরামিষ হয়ে গেলো পল ? রুক্ষ্ম গলায় বললো জন, তোমরা কখনো কোন বিষয়ে সিরিয়াস হও না।
সরি জন, পল দুঃখিত গলায় বললো, আসলে একটু বোরিং লাগছিলো তাই দুষ্টুমী করছিলাম।
অল রাইট, অলরাইট- উঠে পায়চারী করতে লাগলো জন, আসলে এখন একটা কিছু করার সময়। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না দেখে খুব অস্থির লাগছে। শুধু দাম্ভিকতার বশবতী হয়ে মানুষ নির্বিচারে খুন করবে নিরস্ত্র নিরীহ মানুষদের আর মানুষ হয়ে আমরা তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো, তা কি করে হয় ?
কিন্তু জন, আমি ওকে সান্ত্বনা দিতে চাইলাম, তুমি তো এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করেছো, এরচেয়ে বেশী আর কি করার আছে তোমার ?
বললাম তো, করার আছে অনেক কিন্তু পারছি না, এটাই কষ্ট- জন বিষন্ন গলায় বললো।
চলো মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখি – পল অতুৎসাহে বলে দাঁড়িয়ে গেলো।
প্রতিক্রিয়া ? হো হো করে হেসে উঠলো জন, পল তুমি একটা বুদ্ধু ! তুমি এখনো বুঝতে পারছো না আমেরিকানরা নিজেকে ছাড়া কিছুকে নিয়েই ভাবে না। ওরা হাজারো রকমের  ট্যাক্স আর বিলের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। পে চেক থেকে পে চেকে ওরা ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছে। সিস্টেম আমাদের আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলেছে।
তাহলে ? জনের কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে অস্ফুটে বলে পল।
তাহলে আর কি, জীবন যেমন চলছে চলতে দাও, যাদের বিবেক আছে তাদের দংশিত হতে দাও – কটাক্ষ করে জন। সে টিভিটা অফ করে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়, আমি বরং সিন্ডির কাছে যাই্, ওকে দেখলে আমার সেক্স করতে ইচ্ছে হয়। আর সেক্স করলে যদি ভেতরের আগুন একটু নেভে, সেটাই বড়ো প্রাপ্তি হবে।
তা যা বলেছো – পল আলতো করে হাসলো, সেক্সের চেয়ে মহৌষধ আর কিছু নেই। এটার উপরই বিশ্বচক্র ঘুরছে অনন্তকাল।
দারুণ বলেছো, পলের কথায় আমি চমৎকৃত হই, দশ কথার এক কথা।
তুমি যে খুব লাফ দিচ্ছো, জন বাঁকা করে হাসলো, হস্তমৈথুন ছাড়া আর কিছু জুটছে বলে তো মনে হয় না। ও হ্যাঁ, যেন হঠাৎ মনে পড়েছে এমন ভঙ্গীতে বললো জন, তোমার তো ইদানীং হাওয়াই সুন্দরী জুটেছে। কিসুমিসু হয়েছে কিছু ?
আমি লজ্জাবোধ করলাম। লাগাম ছুটলে জনকে রোখা দায়। তাছাড়া সে এখন নিজেকে ভারমুক্ত করার চেষ্টা করছে। চটুল কথা না বললে মনের গুমোট কাটতে চায় না। ভাবলাম, বলছে বলুক। আমি লজ্জাবোধ তাড়িয়ে বললাম, তোমার সিন্ডির ডান বুবস্ দেখতে ছোট মনে হয় – ।
তুমি কবে ধরে দেখলে ? পল হাসি ঝরায়।
দেখেও বোঝা যায় , আমি আড়চোখে তাকালাম জনের দিকে।
আচ্ছা ! জন কপট ভঙ্গী করে, তোমার হাওয়াই টার্কি কিন্তু বেশ দোদুল দোলায়।
পল, তুমি কি বলবে জন ওটা ধরেই বুঝতে পেরেছে ?
ওকে এ ব্যাপারে বিশ্বাস না করলে ভালো হয় আতিক, পল দরোজার দিকে এগোয়।
তবে রে – জন ছুটে যায় পলের দিকে।
পল হো হো করে হাসে আর ছুটে বেড়ায় ঘরময়। জন তার নাদুসনুদুস শরীরটা নিয়ে ছোটে পেছন পেছন। মুহূর্তে ঘরময় চোর পুলিশ চোর পুলিশ খেলা শুরু হয়ে গেলো।
আমাদের হাসির হল্লায় মনের গুমোট কেটে গেলো।
তিন বর্ণ মিলে মিশে একাকার হয়ে গেলো।

************************************