অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ সমাগত। মন-মানচিত্র আজ তার বিশ্বভ্রমণ শুরু করলো। অনেকে বলেন, এতো এতো ওয়েবম্যাগ থাকতে আরেকটি কেন? প্রতিদিন মানুষ জন্ম নিচ্ছে, মৃত্যুবরণও করছে। নতুন ব্যবসা যেমন খুলছে তেমনি বন্ধও হচ্ছে। অনেক কবিতা লেখা হচ্ছে, টিকছে নগণ্য, কিন্তু নতুন কবিতা জন্ম নিচ্ছে। এভাবেই চলছে মানবজীবন। কলকাতার কল্যাণীস্থ এক বন্ধু বললেন, করোনা জীবনধারা যেমন তছনছ করেছে তেমনি ভার্চুয়াল দরোজা খুলে দিয়ে মানুষকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে এবং এই ভার্চুয়াল জগতটি নিজের প্রয়োজনেই টিকিয়ে রাখবে মানুষ। এটাই সত্য।
মন-মানচিত্র সুনির্দ্দিষ্টভাবে নিজের গতিপথ নির্ধারণ করেছে – কবিতা ও কথাসাহিত্যের অন্তর্জাল হিসেবে। কবিতা ও কথাসাহিত্যের সকল শাখার মাধ্যমে মন-মানচিত্র সৃষ্টিশীলতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাবে। এটাই মন-মানচিত্র’র স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
কবি মাসুদ খানের কাব্যভাবনা, অন্বেষা, দর্শন ও স্বতন্ত্র কন্ঠস্বরকে সমন্বিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে পাঠকের কাছে কবিকে যথাযথ তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। মন-মানচিত্র দ্বিমাসিক। প্রতি দুইমাসে একজন সাহিত্য ব্যক্তিত্বকে আমরা বিশ্ব বাংলাভাষীদের সামনে তুলে ধরবো।
আমরা বহুমাত্রিকভাবে মন-মানচিত্রকে সাজানোর চেষ্টা করেছি। প্রথমবারে সেটি শতভাগ অর্জিত হয়নি তা আমরা নিশ্চিত বলতে পারি। ক্রমান্বয়ে মন-মানচিত্র তার কাঙ্খিত অবয়ব লাভ করবে এবং কবিতা ও কথাসাহিত্যের এক গুণগত মানসম্পন্ন প্ল্যাটফরম হিসেবে গড়ে উঠবে।
ভাষার কোন সীমান্ত নেই। আমরা সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মেধা ও মননশীলতার প্রতিনিধত্ব করি। আমরা মতাবদ্ধতা ও মতান্ধতার বিপরীতে মনুষ্যত্বের বিকাশ চাই।