দু’টি কবিতা || দয়াময় পোদ্দার
বর্ষাকাল
চারিদিকে জল থই থই করছে- চতুর কৃষ্ণ
মনে হবে এই বুঝি ডাঙা, এই বুঝি কুল,
অথচ জল তোমাকে ডুবিয়ে নেবেনা,
ভাসিয়েও রাখবেনা।
ব্যাঙের ডাক শোনা যাবে- মনে সন্ধ্যা ঘনালেই,
তুমি, তাকে আষাঢ নামে ডাকলে
অথবা শ্রাবন, তার চোখ জলে ভেজা স্যাতসেতে,
বিপরীত শব্দে এসে যাবে ছলছল, মরীচিকা এই ফাঁদে
সেই কবে পা দিয়েছিলো- মারিচ ;
হেঁটে পার হওয়া যায়না, সাঁতরে গিয়েও ছোঁয়া যায়না কুল
কদমের পাতা চুঁয়ে না বলা কথারা টুপটাপ ঝরে পড়ে।
যে জলে ভেজেনা পায়ের পাতা, সেও ভিজিয়ে দিয়ে যায়-
ঝিঙেফুল!
প্রথম পৃষ্ঠা
সব ইতস্ততা ভর করে আছে
প্রথম পৃষ্ঠায়।
দ্রোহকাল পেরিয়ে আসার
অলিখিত ঢেউগুলো
কিংবা
আত্মহত্যা করার সুপ্ত ইচ্ছেরা,
তার উপরে ফুটে আছে ফুল, ঝরাপালক
মিষ্টি সুবাসের হাওয়া ;
পলাতকের বিম্বিত স্বরধ্বনি
যদি শুনে ফেলে কোন হরিণী উড়ান,
যদি একবার চোখ তুলে তাকায়-
সব অক্ষরেরা
কি উত্তর দেবো আমি- স্বাগত তোমাকে!
==================