দুইটি কবিতা || রওশন হক
বাঁচা
রুজির আগুনে পুড়ে রান্নাঘরের আগুনের তাপ কমে আসে
মানুষ কুকুরের মতো নির্ভরশীল হয় ,
অদেখা ধর্মে বাড়ে বিশ্বাস ।
সময়ের সুখ আটকে যায় নিয়তির বাটখারায়
কিছু করবার থাকে না,
তাই তারা মন দেয় সঙ্গমে ।
জনতার চোখে চোখ রেখে তাঁরা সেক্সি পোজ দেয়
দেহ দোলায়, চুলা জ্বলে ,
দুধ কেনে , সাথে লিপস্টিকও
তাই দিনান্তে নিয়ম করে তারা সুখ খুঁজে না ।
তাঁরা স্বর্গ নরক চেনে না
তবে খুবলে খাওয়া কীট চেনে ,
নিয়ন আলোয় মা থেকে মাংসে রূপ নেয় ।
ঝলসে যাবার ভয়ে মরনে ভয় ,
তাঁরা শেষ হতে চায় না ,
শুধুমাত্র কেবল বোকা মানুষগুলো বাঁচতে চায় ।
বিশ্রুত আমি
আমি তো বিশ্রুত, অবাধ্য ,
ভালো হতে হলে শ্রুত হতে হয় ,
বাধ্য হতে হয় ,
আমার আঁচল ভরা ক্ষুধার্ত নাখাওয়া মানুষ ।
আমার বুকে সুগন্ধি নয় ছুঁয়ে থাকে মানুষের শোক ,
ভালোমানুষ নয় , শুধু মানুষ হবো ?
আমি তোদের মতো হবো না ।
কায়দা করে বেঁচে থাকব না , শেখা হয়নি ,
বিমূর্ত জীবনের খাতায় ক্ষোভগুলো পোড়ায় ।
যন্ত্রণা দেয়, ছায়ার মতো পিছনে হাঁটে ।
সামনে ছায়া আগে আগে হাঁটে
আমি পিছোতে থাকি ,
মানুষের সাথে, মানুষের খিদেতে আমিও নির্ঘুম থাকি ।
দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের ছায়াটাকে খুঁজি
দেয়ালে পাই , অলিগলিতে পাই , আলপথে খুঁজে পাই
সোফায়, বিছানায়, যেখানে তোর অজস্র শোকের পুঁজি ।
**********************