দুইটি কবিতা || গোলাম রববানী
বিষাক্ত টাঙ
আমাকে বিষাক্ত টাঙ ছোবল মেরেছে
অনবরত ছোবল মেরেই চলেছে
বিষাক্ত টাঙের ছোবলের সেই বিষে
বায়ুমন্ডল ভীষণ নীলবর্ণ রঙ ধারণ করেছে
আমি আমার নিজস্ব সত্তা ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করছি; কারণ আমি-ই মাটি; বাংলার জলবায়ু-
বাংলার আবহাওয়া- এই বাংলার প্রকৃতি: জল
দ্রোহ ও বিদ্রোহের প্রতিবাদী কে কোথায় আছ?
সত্যের সাহসী শব্দ কারিগর- শব্দচাষী আরও…
পারলে আলোর গতিতেই ছুটে এসো- বাঁচাও৷
কে কাকে বাঁচাই!
আমি নিজেই বিষাক্ত টাঙ-
নিজেই নিজেকে মেরেছি ছোবল …
যেনও ব্লাক মাম্বা আরও ফের-ডি-ল্যান্সের মতো
ঠোঁট আর অধরের ভাঁজে ভাঁজে ছোবলেরও বদলে
দিয়ে দিচ্ছি আলতো সংস্পর্শের শিহরিত চুম্বন
বাই দ্য ওয়ে কাম ব্যাক টু দ্য হ্যাভেন..
কাম ব্যাক টু দ্য হ্যাভেন
সো, ওয়েটিং ফর দ্য গডোট..
জীবন্ত কবিতা
জীবনের গল্পে ছিল যারা
আজকে কে কোথায় আছে তারা?
একটি ভুলে যদি যায় আপন ছেড়ে
কে কার উপর বিশ্বাস ধরে রাখে?
কতো কথা হতো, হতো কত লেনদেন
জীবনের খুব কাছে ছিল জীবন যারা
মন বলে যেনো ভালো নেই তারা রাতদিন
বুকের মাঝে পুষে আছে অনলধারা..
দেখা নেই শোনা নেই মুখটি বুঝি মনে নেই
কোন স্বার্থের বেড়াজালে তারা আটকে আছে
ছত্রিশ বছর সম্পর্ক একটি ভুলে ছুড়তে নেই
রক্তের সম্পর্কের চেয়ে বড় বাঁধন যে অন্তরে
ভোরের পাখি কলরবে গাইত মধুর গান
আযানের সুর সমবেত হতো সঙ্গীতে
স্বজন স্বজন সে-তো বড় আপন আপন
বিচ্ছেদ দিলে দিল কলিজা ক্ষয় বিসর্জনে
জীবন গল্পে খুব আপন ছিল যারা
কে কোথায় যে পড়ে আছে মায়া ছন্নছাড়া…
================