তীর্থঙ্কর সুমিতের গুচ্ছ কবিতা
সূর্যের দেশ
মুখগুলো আজ মুখোশ হয়েছে
স্বপ্ন বেচছি চারবাজারের হাটে
নিয়ন আলো পথের মাঝে প্রতিদিনের সঙ্গী
ফেলে আসা অতীত বর্তমান পেরিয়ে
ভবিষ্যতের পথে পা …
হারানো ছেলেবেলার গল্প আজ
ঠাকুমার ঝুলিতে ঝোলা ভর্তি
তবুও ফেরা হয়না
অস্তাচলের সূর্যের দেশে।
বিভূতিভূষণের উদ্দেশ্যে
পথের পাঁচালি আজও হৃদ মাঝে
পুঁই মাচায় উঁকি দেয় জ্যোৎস্না
হেঁটে চলি দিগন্তের দিকে
খোলা মাঠ ই আদর্শ
যেখানে অপু – দুর্গা
আর ভোরের শিশির
এক যুগ কেটে গেলে ইতিহাস ধারালো হয়
প্রণাম তোমায়।
তবুও তুমি
“আমি সেই নারীকে ভালোবাসি যার অতীত আছে”
তবুও তুমি ____
বিষাদে এনেছো ভালোবাসার ছোঁওয়া
তাইতো আজও মেজদিদিরা দরজার এপ্রান্তে বিরহের হাসি মাখে
পরিনীতারা হারিয়ে গিয়েও ফিরে আসে
কিছু কথা বলা যাক সময় এসেছে
শুনছো দেবদাস
মহেশ আজও আছে প্রতিটা ঘরে
তাইতো রামধনু ওঠে সন্ধ্যাকাশে
শ্রীকান্ত আজ …
তবুও তুমি।
ইতিতেও সূচনা
একটা দাঁড়ি টানতেই হয় এবার
দাঁড়ি টানলেই কথা শেষ হয়ে যায়না
শুধু কথার পুনরুত্থান ঘটে
বাঁকা নদী ভালোবাসার টানে মোহনায় মেশে
বালুকা বেলায় অপেক্ষা করে রাতের মুগ্ধতা …
হারানো সুরে লেখা হয় কালবৈশাখীর যন্ত্রণা
তুমি বট গাছ হও,কিন্তু জোৎস্না স্পর্শ করনা
জোনাকিরা এখনও অপেক্ষায় …
নতুন সকাল
বহুদিন পর আবারও যে পথ ধরে
বেড়িয়ে পরলাম সবুজের দেশে,
নীলকে পিছনে ফেলে
ক্রমশঃ ক্রমশের দিকে
সরলরেখা বরাবর শুধুই…
যেখানে নদী শেখায় ভালোবাসার গান
পাখি শেখায় উচ্ছ্বাসের সুর
সবুজ জানায় আমন্ত্রণ
ছেঁড়া চিঠি আজ খাম ছেড়ে আকাশের পথে
এসো মুগ্ধতা কুড়োই ভোরের আলোয়।
ভালোবাসার মালা
কত কথা …
যে ভাবে পথ বেঁকে যায়
রাস্তাকে ছোঁবে বলে
আকাশের দিকে তাকিয়ে অভুক্ত চিল
উড়ে যায় অন্য ঠিকানায়
ভোরের আলো গাছেদের প্রাণে জেগে ওঠে
ভালোবাসার সমীকরণ
যে পথ রোজ দেখি, সে পথ আমার নয়
যে নদী রোজ বয়ে যায় অন্যের ঠিকানায়
সে নদী আমার নয়
তবুও কোথায় যেন রাস্তা, পথ, নদী সব
এসো ভালোবাসার মালা গাঁথি বিনিসুতোয়।
**************************