তীর্থঙ্কর সুমিতের গুচ্ছ কবিতা
দাঁড়ি
কয়েকটা দাঁড়ি
সময়ের আপেক্ষিক আদ্রতায়
ভিজেছে মুহূর্তগুলো
কথার সাথে সাথে
মিশে গেছে কথার যন্ত্রণা
পরে আছে বিশ্লেষণের চিহ্নগুলো
কান্না ভেজা দিনে
অজস্র কথা
একে একে পা বাড়ায়
এই বোধ হয় নীল তিমিটা সাঁতরে যাবে আর একটা সাগরে।
না বলা কথা
সন্ধ্যার অস্তরাগে
নামিয়ে আনে একমুঠো বিষাদ
ফেলে আসা আত্মকথা
আমায় টেনে নিয়ে যায়
অনন্ত পৃথিবীর বুকে
অ এ অজগরের তাড়ায়
বেড়ে উঠছি প্রতিদিনের আমি
জল বাতাস
একের বিচ্ছিন্নতা
নিয়ে আসে সাজানো ‘আমি’ তে
উপভোগের আর এক নাম বিচ্ছিন্নতা।
ব্যর্থ
আরো কাছে
সময়ের দূরত্বে
ভেসে আসে নিকোটিনের গন্ধ
দিন পেরিয়ে রাত
মাস – বছর
ফেলে আসা উত্তাপ কিম্বা শীথিলতা
মনের সাথে যুদ্ধ
খেলায় অবসর প্রাপ্ত সময়
ইতিকথার ইতিহাস লেখে
হয়তো একই ভাবে বেড়ে ওঠে
আগামীর কোনো সৈনিক
এভাবেও ফিরে আসা যায়
দিন শেষে ব্যর্থ হাসি নিয়ে।
একেকটা অক্ষর
ভেসে আসে দুই – চারের হিসেব
কেউ সামনে
আবার কেউ…
রূপকের সাজে সেজে উঠছে সময়
কৃত্রিম চাদর
মুখ ঘোরালেই
মুখোশ বদলায়
এইতো চেনার সময়
নিজেকে একটু
পাল্টে যাওয়া ই মনে হয়
বেঁচে থাকার অপর নাম।
তাইতো খেলাবাটি ই তোমার – আমার
মানসিক চিহ্ন।
সে বতিতেই লেখা ছিলো
রাত্রিরের রূপকথা
কত আনন্দ চোখে মুখে
হাঁ করা পৃথিবী
আমায় একটা ঠিকানা দিয়েছিল
আলোর অভাবে আজ সে ঘুমন্ত।