You are currently viewing তীর্থঙ্কর সুমিতের কবিতা

তীর্থঙ্কর সুমিতের কবিতা

তীর্থঙ্কর সুমিতের পাঁচটি কবিতা
 

প্রতিদিনের অন্তরালে

উঠোনে বটের চারাটা ক্রমশঃ বেড়ে উঠছে
জল না পেয়েও নির্লজ্জের মত
ছড়িয়ে যাচ্ছে তার শেকড়
ডালপালা, পাতা ——
আমার টালির চাল জুড়ে
তার অবাধ বিচরণ
বটের ফলে কত বট,
আগামীর সভ্যতার দাঁড়িয়ে

প্রতিদিনের অন্তরালে…

 

স্তম্ভ
 
 

কথাগুলো সাজানো রয়েছে…
যেমন ইচ্ছে বসিয়ে নিলেই
রূপকথার অনন্ত যাত্রায় গা ভাসাবে
সমুদ্র চিন্তন এখন পাহাড়ের ইতিহাসে।
দৈনন্দিন যত মুগ্ধতা কথনের প্রাচীরে
নতুনের সন্ধান মেলাবে
বিগত ফেলে আসা অশোকের শিলালিপি
একদিন কলিঙ্গের পথে

আগামীদিন আগামীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে।

 

আমরা সকলে
 
 

ট্রেন থামতেই একটা বিকেল পেলাম
গোধূলির বিকেল
সবুজে সবুজ অন্তরদৃষ্টি যতদূর যায়
ধুলোরাশির গ্রাম আমার জন্মভূমি
নিস্তব্ধতায় চোখ প্রতিদিন নতুনের সন্ধান
মেলাতে থাকে ক্রমশ…
বন্দরহীন মুহূর্তে,
হাত বদলের চক্রধরপুর

শেষ ট্রেনের যাত্রী আমরা সকলে।

 

রোদ্দুরের দিকে হেঁটে যাবে
 
 

কথারা একদিন বদলে যেতে যেতে
রোদ্দুরের স্পর্শ পাবে
দৈনিক চেতনায় উঠে আসা মৌনতা
বদলে যাবে অচিরে
মৌনমুখর যত ট্রাজেডি গাছ হয়ে…
চিরনতুন মুহূর্তেরা

রোদ্দুরের দিকে হেঁটে যাবে ক্রমশ

 

শতাব্দীর নৈঃশব্দ্যতা
 

স্বপ্ন বিভোর মুহূর্তেরা
কখন যেন অন্ধগলির চোরাপথে
ছুটে চলেছে একান্তে
চাঁদ জ্যেৎস্নার নিদারুন স্পষ্টতা
ফুঁটে উঠেছে অলৌকিক দর্শনলিপিতে
তোমার মুখে এখন শুধুই
ভালোবাসার তর্জমা
আর চোখে…

মায়ার চাদরে জড়ানো একবিংশ শতাব্দীর নৈঃশব্দ্যতা।

====================