তিনটি কবিতা
সজীব মনোয়ার
অহেতুক পদ্য-১
তোমাকে জানাবো সব, এমন চুক্তি তো নাই কোনও
তবু যদি জানতে চাও, মন দিয়ে ভালো করে শুনো-
সমস্ত অতীত ছেঁড়া, ফালা ফালা, ব্যথায় কোঁকড়ানো।
অহেতুক পদ্য-২
মাফ করে দিও যাবতীয় পাগলামী,
স্বভাবসিদ্ধ সমস্ত আবদার
আর করবো না, আর ডাকবো না আমি
তোমার মধুর সর্বনাশের নাম।
যত গান ছিল সব হয়ে গেছে গাওয়া,
ছেঁড়া ছেঁড়া সব দৃশ্য দিয়েছি গেঁথে,
যত্নে রাখিও, শুকায় না যেন মালা,
সম্ভব হলে জল দিও ভালোবেসে!
অহেতুক পদ্য-৩
কোথাও তোমার চিহ্ন থেকে গেল,
মাথা আর বুকে একটা ব্যথা থেকে গেল।
যাওয়ার লক্ষণ, কারণ যেহেতু নাই,
সকাল-বিকাল গুলো ব্যথায় কাতরই থাকলো।
কোথাও খাপ না খাওয়া ব্যাপারটা থেকেই গেল,
প্রেমে, প্রতিশোধে আর জেদে বেসামাল,
অহেতুক এক গাঢ় দুর্দশা থেকেই গেল।
কোথাও দাঁড়ানো তাই, যেহেতু, গেল না,
এ বিকারগ্রস্ত চলাচল থেকে গেল,
এক গল্প থেকে অন্য ছোট, ছেঁড়া গল্পে
এই ভ্রমণ-পিপাসা থেকে গেল।
এক রাত বৃষ্টি, এক ঋতু বর্ষাকাল,
এক বিকাল শরৎ, এক বাতাস বসন্ত ঘুরে
এলো এক কুয়াশা জীবন, বিকারগ্রস্তের।