তিনটি কবিতা/ টোকন ঠাকুর
পোকা ও প্রজাপতির গল্প
এখনো কবিতা পড়ো মানে তুমি মনে মনে ভাবো
আচমকা এক ফুরফুরে বিকেলে প্রজাপতি সম্মেলন হবে।
সেই সম্মেলনে তুমি স্বাগতিক, তোমার ব্যস্ততা থাকবে।
তুমি ফুলদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে করতে
ঘাসের বক্তব্য শুনতে শুনতে, হয়তো বা ভুলে যাবে-
একজন কবি এসে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে দেখছে,
পোকা থেকে তুমি প্রজাপতি হয়ে কতটা বদলে গেলে?
এখনও কবিতা লেখা হয় মানে সেই লোকটিই কবি-
যে কীনা পোকা হতে পারেনি বলে প্রজাপতি হতে পারছে না
চরম পরিস্থিতি
ক্ষুধার্ত বাচ্চাদের জন্য আমি কী করতে পারি?
যদি ঘনজঙ্গলে যাই
বাঘিনীর খপ্পরে পড়ি (হায়)
বাঘিনী যদি আমাকে থাবায়, খায়
তখন, দুধ হয়েপৌঁছুতে পারি
মা-বাঘিনীর স্তনের বোঁটায়
বন পর্যটকই একদিন মনোযোগ দেবে
পড়ে থাকা কঙ্কালে, আমার হাড়ে
ওই যে বাঘিনী আসছে
এইবার, যেকোনো মুহূর্তেই, ক্ষুধার্ত বাচ্চারা
জঙ্গলে কবিতা লিখতে আসা আমাকে
খেয়ে ফেলতে পারে
ভূগোল মাস্টার
এই আকাশ আমার পিতা
মাটি আমার মা
আমি তাদের সন্তান, ঐ দিগন্ত
কিন্তু ভূগোলমাস্টার বলছেন–
দিগন্ত একটি ধারণামাত্র