“”অন্ধকারও প্রেরণা হতে পারে””- আমি কিছু ” স্বরচিত অন্ধকার” তোর জন্য রেখে যাব – যাতে করে তুই আলো চিনে নিতে পারিস এই সাদা-কালো আর বিচিত্র রঙের গোলকধাঁধায়। একদিন ক্লাস নিতে-নিতে বলেছিলাম- “কিছু না’ই পারো, নিষ্পাপ কিছু দাগ রেখে যাও”। সবকিছু ফিঁকে হয়ে এলেও পৃথিবী তোমায় মনে রাখবে-। তুইও মাস্টারী ফলাতে গিয়ে বলেছিলি- –আমি একনিঃশ্বাসে অনেকক্ষণ জলে ডুব দিয়ে থাকতে পারি, আর পারি একবৈঠকে তোকে পড়ে শেষ করতে ! এ কী কম ! আমি নির্জন বুঝেছিলাম- ” আমি ছাড়া তোর আজন্ম বৈষ্ণব পদাবলীও সম্পূর্ণ হবে না” । পৃথিবী ঘুমিয়ে যাবার পরেও তাসবীহ্ হাতে করে আমাকে জেগে থাকতে হবে অসীমকাল – চরাচরে ঝড়,জল,বিছুটি বাতাস হবে- ছায়ার সঙ্গে ছায়ার কথা চলবে – জলের ওপর জল আছড়ে পড়বে -ঢেউয়ের মাথায় আলো-আঁধারির প্রাচীন চক্র চলতেই থাকবে — আত্মজ প্রেম -মানুষের মাথার ভেতরে পোকার নড়াচড়া অব্যাহত থাকবে আবহমান, ঝিঁঝিঁর ডাক, রং- বেরঙের মেঘ স-ব ঠিকঠাক রয়ে যাবে – আমার হয়তো চিরটাকাল ঘরের মেঝে, পর্দা, ঝুমবৃষ্টির ছাঁটে অবিরাম স্থির ভিজবে- একটি ছোটোনদী-একটি নৌকো- এই স্বপ্ন ভিজবে ষড়ঋতু না-মেনে—-একটানা— শখের রঙিনপাপোসগুলো শুকোতে দিয়ে আর তুলতে মনে থাকবেনা আমার ,কোনও ঝুম বর্ষার দিনে-!
তাসবীহ্ – অদিতি শিমুল
- Post author:monmanchitra
- Post published:July 12, 2021
- Post category:কবিতা / চলতি সংখ্যা
- Post comments:0 Comments
Tags: অদিতি শিমুল