ঠোঁট বিহীন কথার সাঁতার
উৎপল দাস
১ অমূলদ বর্ণের গসিপ
দৃশ্যত একটি শব্দ শুনে ওত পেতে থাকে যে পাখিরা তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয় না এখন রুট-টু দৈর্ঘ্যের বিস্ময় ছড়িয়ে দিলে কিছুতেই বুঝতে পারে না তাদের অমলিন মন কেবল বিহ্বল চোখে তাকিয়ে থাকে, খাবি-খাওয়া মাছের মতো টোপ গিলে নিলেই গর্দান চলে যায়, সিংহভাগ জুড়ে মাৎসন্যায় কূটকচালি কিংবা নারদ রিপোর্টারকে এড়িয়ে যেতে পারলেও বিবেক তথাপি সংস্কারের কাছে মাথা নত করতে হয় সে বিকেলে সূর্য দেখা যায় না অথচ পদ্মও ইলিশ খুঁজতে ব্যস্ত নতুন কিছু অজুহাত ঠাকুমার ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে এভাবেই বেহাত হয়ে যাচ্ছে সুসম্পর্ক ও বোধগম্যতা
০ বর্ণান্ধ কথারা
আগুন নয় তবু আগুনের মতোই উষ্ণ ছায়া নিয়ে গ্রে ম্যাটার তুষ্ট করতে উদ্যত আমি কৌণিকে ঘুমিয়ে যাওয়া সায়ানাইডের ঠোঁট ফাঁক করে দেখি একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারি হয়েছে তাই চারহাত এক করার গণিত মিলাতে পারলাম না কিছুতেই, চোখ আদতে ভায়োলেন্স খুঁজছে, যে নারীটি সঙ্গমের পরে পরে গায়ে মাখে না ধূমকেতু রঙের সুবাস তাকে কেউ মনে রাখে না বলে খোঁপা সাজাও নয়তো এলোচুল বারবার মুখ খুলিয়ে দেয় একগুচ্ছ স্বাদকোরকের, গত রাত্রির হরোস্কোপ মূল্যায়ন করা বিড়ালটি ভ্যানগগের ছবির নীচে ভায়োলিন বাজাতে জানে, তার থেকে শিখে নাও কীভাবে জ্বর বর্ণের ডেরিভেটিভ গম্বুজ খিলানের মতো মাথা ঠাণ্ডা রাখে
১ অশৌচ পরবর্তী
আইসোলেটেড চরিত্রটি নির্বিকার ঘুম ভাঙা ভোরের আজান শুনে অন্তঃসারশূন্য কাগজ ফুলের মতো খসে পড়ে, জলের খুব কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েই রক্তবীজ রোপণ করা মন— যন্ত্রণা দাও-বিস্ময় দাও স্বভাব চিনে নিই বলতে বলতে রংচটা আয়নার সামনে দাঁড়ায়, অতঃপর ব্ল্যাকহোলের উদ্বিগ্ন ভাবাবেগ প্রথম ফ্লোয়েম কণার দিকে দুই অণু ডয়টেরিয়ামকে তড়িৎযোজী শৃঙ্খলে বেঁধে রাখে আর মধ্যরাতে কবরখানা হাতড়ে যে কয়েকটি মোমবাতি পাওয়া যায় সেগুলি লোডশেডিং-এর প্রতিস্থাপন হতে পারে না বরং অঘোর শঙ্খচূড় হয়ে দাঁড়ায় এবং স্বরবর্ণের মৌন মিছিলে পা ধুয়ে আসে সৈন্য-নাবিকের ঝিঁ ঝিঁ ইশারা
===========================