You are currently viewing জারিফ আলমের কবিতা

জারিফ আলমের কবিতা

জারিফ আলমের কবিতা

নিজের সাথেই নিজের বিরোধ

অনেকটা অগোছালো তিমির থেকেই নেমে আসে
কণ্ঠ বিরোধী হাওয়া
প্রেমের খোঁপায় গেঁথে রাখো ফুল দারুণ উল্লাসে
দুর্মূল্য যতো পাওয়া।

ঝুলে থাকে সম্ভাবনা বিষমাখা ছুরির ফলায়
বিপন্নতা পাশে রেখে
দুঃখ ভাষা খুঁজে পায় আজ সকল শিল্পকলায়
কালিঝুলি মুখে মেখে।

খুলে যাক পরাস্বপ্নে এইসব হিংসার কপাট
জমেছে সেখানে খাদ
ছিঁড়ে গেছে ষড়তন্ত্রী; আমাদের প্রাথমিক পাঠ
আজ কেবলি অবাধ।

টুকরো হয়ে যাওয়া অতলান্ত সকৃতির কিংখাবে
ফাগুনের সুবাতাস
ক্যালেন্ডারে ঝুলে আছে; ব্যক্তিগত সুরের অভাবে
চেতনায় ঢুকে গেছে সন্ত্রাস।

বনসাই মায়া

বাস্তুচ্যুতির নামে দাগী আসামী করে পাঠাতে পারো
যে কোনো যুদ্ধে শান্তির প্রস্তাবে; আগ্নেয়াস্ত্র সমেত।
আলো খাদ্য হয়ে ওঠে নিদেনপক্ষে বেঁচে থাকার
সময় যখন গড়িয়ে যায় আফ্রিকার প্রত্যন্ত এলাকায়
নাঙা আর ভুখাদের জীবনে জয়নুলের চিত্রকর্ম তাই
প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে; মিছিলে জনসভায় পত্রিকায়।

ঝালে আর নুনে ভরে গেছে শান্তির নামে প্রস্তাবিত
উপাদেয় খাদ্যসামগ্রী। কঙ্কালসার কাঙাল মানুষেরা
তত্ত্বের খোল নলচের নিচে চাপা পড়ে গেছে তাই
কখনো ভূমধ্যসাগরে সকরুণ এই জীবন প্রণালীতে
স্বপ্নের সারসত্তা রেখে যায় জল ও জীবনের আশ্রয়ে।
অভিবাসাী নামে পরিচিত মানুষ বিক্রি করে দিচ্ছে
গচ্ছিত সকল বনস্পতি মায়ার সংসার।

একটি রপ্তানিযোগ্য ভালোবাসা

জন্মের পর নাড়ী কেটে খবর দিলো ধাই
বস্ত্রহীন এমন শিশু আমার জন্মে দেখি নাই।
খটকা লাগে খানিক আসলেই তো
এমন কেনো হবে; এমন করে কে এসেছিল কবে!
সবাই দেখে নিজের পোশাক ঠিকমতো আছে যথাস্থানে
শুধু পোশাক নাই শিশুটির।

*******************************