বিষয় হচ্ছে- একুইশের খেইলটা ভাই আলাদা। চলতাছে নতুন ভাও। বুঝন লাগব, সময় কী চায়। যে তার নিজেরে সময় সময় নবায়ন অর্থাৎ রিন্যু করতে পারল না, এট্টু কাইব্য কইরা কই-একধারা মাডি ও বিষ্টির ভিত্রে দিয়া যাইতে পারল না, –তার ইন্তেকাল করা ভালো।/
মনে রাখবেন, প্রিয় অগ্রজ! জীবনের একটা অমোঘ ইমেজ হইল-/
লাউডগা সাপ /
পাতার রঙে, আগারই ভঙ্গিমায়/
উঠে আছে হাওয়ার ঠোঁটে/
দুই নম্বর-/
খাড়া রইদের নিচে /
মুড়েমুড়ে শুকাইছে রস/
অজান্তেই সোজা বালক অইয়া আছে। /
{আহা রে! মিয়া ভাই!/
পলাপলি খেলা শেষে জোছনারও মায়া ছেড়ে- (জোছনাও এক মায়া, নাইয়াপাড়ার মাইয়াডার নামও) শইলে ঘুমের লাহান কালা কাপড়ের খেতাডা জড়িয়ে নিজ্ঝুম আর নিজ্ঝুমতার আওয়াজ–বালক! তুমি মরে আসছ, বালক! মইরা আইতাছ-}/
প্রিয় অগ্রজ, আপনি ওই বালক। আপনি মরে আসছেন। আপনি কবি হোন, দ্রুত কবি হোনঅই যে চেঙ্গাছোবার ধারে দেখেন, সাপটারে- কেমনে ছোলম ফালায়। /
হাপের কথায় পড়ে আই। তার আগে চলেন একটু বায়োস্কোপ দেহাই। একটু বিষ্টি দেখবেন চলেন।বিষ্টি কী তা তো বোঝেন, মেঘবৃষ্টির দেশের মানুষ।/
–লিঙ্গ পুং, মাটি তার বউ। /
লাগলো না খটকা? আচ্ছা। মেঘ তো বোঝেন। কমু নাকি? বৃষ্টি হইলো মেঘের…/
অইডা! খাড়া বা তেরছা।/
এখন ঘোর বর্ষাকাল। একটা কচু ফুল এনে দেখাতে পারলে ভালো করতাম। তার আগাÑ পরাণ পরাগ। যেন বাইয়া পড়ে। /
এই দিশ্যে চৌখ মেললেন যিনি /
মাডি ও বিষ্টির ভিত্তে দিয়া গেলেন জনমভর– /
এ আষাঢ়ে, হেই শাওনে /
মাথায় মানকচুর পাতা/
তিনি নতুন। /
আপনি বরংÑ আটিগাঁয়ের রাস্তায় নেমে সোলোগান ধরুন-/
কবি আছে নি রে/
……………….
কোন সে কবি /
বিক্রমপুইরা।/
[পাঠদিশা: একুইশ>একুশ, খেইল খেলা, ভাও>হাবভাব, কাইব্য> কাব্য, একধারা>অনবরত, মাডি>মাটি, ভিত্রে>ভেতরে, রিন্যু>রিনিউ, খাড়া রইদ>মধ্যদুপুরের প্রখর রোদ, পলাপলি>লুকোচুরি, শইল>শরীর, লাহান> মতো, খেতাডা>কাঁথাটা, ছোলম>খোলস, চেঙ্গাছোবা>ফার্ন জাতীয় বুনো উদ্ভিদ, যা সাধারণত জমির আইলে বা চারকোণায় দেখা যায়, হাপ>সাপ, অইডা>ঐটা, বাইয়া পড়া> বেয়ে বা উপচে পড়া, দিশ্য>দৃশ্য, চৌখ> চোখ, ভিত্তে>ভেতরে, হেই>সেই, সোলোগান> স্লোগান]