You are currently viewing কবিতাই তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে সাধারণ্যের হৃদয়ে || ফারুক ফয়সল

কবিতাই তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে সাধারণ্যের হৃদয়ে || ফারুক ফয়সল

কবিতাই তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে সাধারণ্যের হৃদয়ে
ফারুক ফয়সল

এই তো জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম
আজ বসন্তের শূন্য হাত—
ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও
আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক।

সন্তানের জন্যে এক পিতার বাৎসল্য মোম হয়ে গলে পড়ছে। পবিত্র শিশির কণা হয়ে টুপ টুপ করে ঝরে পড়ছে। দিল্লীশ্বর বাবরের করুণ আকুতি ঈশ্বরের দরবারে, পিতার প্রাণের বিনিময়ে অসুস্থ পুত্রের জীবন যেন রক্ষা পায়! কবিতা— বাবরের প্রার্থনা। কবি শঙ্খ ঘোষ। সন্দেহ নেই তিনি তাঁর স্বকালের এবং সমকালের একজন অত্যন্ত শক্তিমান কবি। দুই বাংলায় বাংলা কবিতার সবচেয়ে আলোচিত এবং সমানভাবে জনপ্রিয়। যথার্থই তাঁকে রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ দাশের উত্তরসূরী মনে করার সঙ্গত কারণ আছে। উদ্ধৃত ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি একই নামে তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৭৭ সালে তিনি এই কাব্যগ্রন্থের জন্যে একাদেমি পুরস্কার পান। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিকে, কলকাতায় এমন তরুণ-তরুণী পাওয়া মুশকিল ছিল, যাঁরা তাঁদের ঠোঁটে তুলে নেয়নি—-
একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি
তোমার জন্যে গলির কোণে
ভাবি আমার মুখ দেখাব
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।

বলাই বাহুল্য কবিতার নাম ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’। ওই নামে কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’ পড়েন নি, এমন কবিতা পাঠক কি দুই বাংলায় পাওয়া যাবে, কিংবা বহির্বিশ্বে যেখানে বাংলা কবিতার পাঠক আছেন? আজো কি মনের কোণে তাঁরা দাউ দাউ জ্বালিয়ে রাখেন নি—-
পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ, রক্তে জল ছলছল করে
নৌকোর গলুই ভেঙে উঠে আসে কৃষ্ণা প্রতিপদ
জলজ গুল্মের ভারে ভরে আছে সমস্ত শরীর
আমার অতীত নেই, ভবিষ্যৎও নেই কোনোখানে।

কিংবা——
আর্তনাদ করে ওঠে, দুহাত বাড়িয়ে বলে: এসো
এসো সর্বনাশে এসো আগ্নেয় গুহায় এসো বোধে
এসো ঘূর্ণিপাকে বীজে অন্ধের ছোঁয়ায় এসো এসো
শিকড়ে গরল ঢেলে শিখরে জাগিয়ে দেব জ্বালা ।

এর পরেই লিখছেন——
ঘরবাড়ি ভিজে যায় অশান্ত ধানের মাঝখানে।
রবিউল বসে দেখে। এ রকমই মীড় বা গমকে
ভরে ছিল সময়ের স্বরগুলি একদিন, আজ
বাজনা রয়েছে পড়ে, ফিরে গেছে বাজাবার হাত।

কিংবা গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ! গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ প্রসঙ্গ ধরে অনিবার্য উঠে আসে বাঙময় নৈঃশব্দ। নি:শব্দ আর মৌনতার কবিতাগুচ্ছ শুধুই অনুভবের ভিতর দিয়ে আস্বাদনের! গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছের একটা অংশ ( ৪ ) আমরা দেখে নেইঃ

যদি বলি হাত ধরো, ভয় পাও। সবারই হাতের
ভিতরে আরেক হাত জেগে ওঠে, আরো আরো হাত
কোন হাত কার কেউ জানে না তা আর, পথ চলি
শতভুজ বহুমুণ্ডে, আড়ে আড়ে চেয়ে দেখি, শুনি
যদি কেউ গান গায় চিত্ররথ হংস বিশ্বাবসু
গোমায়ু তুম্বুরু নন্দী যদি গেয়ে ফেরায় আমাকে
আমার নিজের কাছে, আসমুদ্র হিমাচল ছুঁয়ে
যদি তুমি হাত ধরো, একই হাত। কিন্তু দূরে কাছে
তোমার সমস্ত গানে ডানা ভেঙে পড়ে আছে বক
বিতস্তা বা চন্দ্রভাগা শতদ্রু বিপাসা ইরাবতী
তার সব স্রোত নিয়ে ধুয়ে দিতে পারেনি সে-লাল—
প্রতি রাত্রে মরি তাই, প্রতি দিনে আমি হন্তারক।

কবি, শুধু কবিই বা বলছি কেন, লেখক, চিত্রশিল্পী, কন্ঠশিল্পী, এমন কি হতে পারে একজন ভাস্কর, যে কোন সৃজনশীল মানুষ তিনি তো এই সমাজেরই একজন। তাঁরা এ সমাজেই জন্মান, বেড়ে ওঠেন এ সমাজের বাও বাতাস গায়ে লাগিয়ে। এ সমাজেই জীবিকা করেন। এ সমাজেই বাঁচেন। তাহলে তিনি কি সমাজ থেকে দূরে থাকতে পারেন? সমাজের নিতিনিত্য আগুন আঁচ তাঁর গায়ে লাগে বলেই তিনি সমাজ, দেশ নিয়ে অস্থির হন। কবিতায় তিনি তাই মানুষের কথা, মানুষের বঞ্চনা, না পাওয়ার কথা, প্রতারিত হওয়ার কথা বলেন। শিল্পী তাঁর শিল্পকর্মেও প্রতিবাদের ছবি আঁকেন। শিল্প-সৌকর্য্য বজায় রেখেই, নন্দনতত্ত্ব মাথা থেকে না সরিয়েই মানুষের লড়াইয়ে সামিল হন কবি।তাই দেখি, শঙ্খ ঘোষ
মানুষ ও সমাজ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের কাছে দায়বদ্ধ। ১৯৯০-১৯৯৩ সময়কালে রচিত কবিতাগুলি নিয়ে ১৯৯৩ সালেই প্রকাশিত হয়েছিল ‘লাইনেই ছিলাম বাবা’ কাব্যগ্রন্থটি। এই কাব্যগ্রন্থের ‘বেলেঘাটার গলি’
কবিতাটি পড়া যাক——
যা দেখি সব চমকপ্রদ, মুন্ডু আছে মাথায়
চৌরাস্তায় চিৎ হয়েছি ছেঁড়া জরির কাঁথায়
চক্ষুও নেই কর্ণও নেই হাত নেই নেই পা-ও
একটাদুটো পয়সা পেলে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাও
পিঠের নীচে ইটের খোঁচা বুকের উপর ফলা
আকাশ তবু পালিশ তবু নদী রজস্বলা
হুকুম দিলে খুলতে পারি বুকের কটা পাঁজর
বলতে পারি, বাজো বাঁশি, আপন মনে বাজো—
আর তাছাড়া সবটা কথা কেমন করে বলি
বাইরে লেনিন ভিতরে শিব বেলেঘাটার গলি!

আরো পড়া যাক ‘ন্যায় অন্যায় জানিনে’——

তিন রাউন্ড গুলি খেলে তেইশজন মরে যায় লোকে এত বজ্জাত হয়েছে!
স্কুলের যে ছেলেগুলি চৌকাঠেই ধ্বসে গেল অবশ্যই তারা ছিল সমাজবিরোধী।

ওদিকে তাকিয়ে দেখো ধোয়া তুলসীপাতা
উলটেও পারে না খেতে ভাজা মাছটি আহা অসহায়
আত্মরক্ষা ছাড়া আর কিছুই জানে না বুলেটেরা
দার্শনিক চোখ শুধু আকাশের তারা বটে দেখে মাঝে মাঝে।

পুলিশ কখনো কোনো অন্যায় করে না তারা যতক্ষণ আমার পুলিশ।

এভাবেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে যদি হয় শাসক, তো শাসকেরই বিরুদ্ধে লড়াই তাঁর। কবিতা
হয় তখন অস্ত্র। সমষ্টিকেও ছেড়ে কথা কন না। লাঞ্চিত, অপমানিত, দলিত বঞ্চিত মানুষ, মার খাওয়া সাধারণ মানুষকে আহ্বান করে নিজ নিজ বিবেককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন। নিজেকেই জিজ্ঞাসা করতে বলেন ‘তুমি কোন্ দলে’?

বাসের হাতল কেউ দ্রুত পায়ে ছুঁতে এলে আগে তাকে প্রশ্ন করো তুমি কোন্ দলে
ভুখা মুখে ভরা গ্রাস তুলে ধরবার আগে প্রশ্ন করো তুমি কোন্ দলে
—- —- —— ———- —— ——- — ——-
কে মরেছে ভিলাইতে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে কে ছুটেছে কার মাথা নয় তত দামি
ঝন্ ঝন্ ঝন্ ঝন্ নাচ হবে কোন্ পথে কোন্ পথ হতে পারে আরো লঘুগামী
বিচার দেবার আগে জেনে নাও দেগে দাও প্রশ্ন করো তুমি কোন্ দল
আত্মঘাতী ফাঁস থেকে বাসি শব খুলে এনে কানে কানে প্রশ্ন করো তুমি কোন্ দল
রাতে ঘুমোবার আগে ভালোবাসবার আগে প্রশ্ন করো কোন্ দল তুমি কোন্ দল

শঙ্খ ঘোষের কবিতায় জল শব্দটি এসেছে ঘুরে ফিরেই নানা ভাবে। কিন্তু কখনোই শব্দের সরাসরি বাচ্যার্থে নয়।শব্দের চারিদিকে বা বৃত্তের ভিতরে যে অর্থ তৈরি হয়, তাকে ছাড়িয়ে আরো বহুদূরে নিয়ে তার নানা অর্থের কাছে দাঁড় করিয়ে দেয়। জল কবিতাটিই পড়ার জন্যে নেয়া যাক——

জল কি তোমার কোনো ব্যথা বোঝে? তবে কেন,
তবে কেন
জলে কেন যাবে তুমি নিবিড়ের সজলতা ছেড়ে?
জল কি তোমার বুকে ব্যথা দেয়? তবে কেন,
তবে কেন
কেন ছেড়ে যেতে চাও দিনের রাতের জলভার?

এখানে জল আক্ষরিক তার আক্ষরিক অর্থকে ছাড়িয়ে অন্য এক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে শব্দকে।

অতঃপর আমরা শঙ্খ ঘোষের কোন্ কবিতা পড়ব? দেশান্তর, কবি, নাকি, আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি?
তাঁর যে অসংখ্য কবিতা! কবি জীবনের প্রথম বেলায় লিখেছিলেন দিনগুলি রাতগুলির কবিতাগুলি। আহা কী গভীর মায়ায় শব্দগুলি প্রেম হয়ে যেন অনুরাগের, আদরের বিছানায় শুয়ে আছে! ছন্দের কবি ছন্দ নিয়ে গদ্য বই লিখেছেন ছন্দের বারান্দা ( ১৯৭২), ছন্দময় জীবন ( ১৯৯৩ ), এছাড়াও কবিতার মুহূর্ত, কবির অভিপ্রায়, কবির বর্ম সহ নির্বাচিত গদ্যলেখা ( ২০১৫ ) গদ্যসংগ্রহ-১০ ( ২০১৮ ) শব্দ আর সত্য, ‘কবিতা লেখা কবিতা পড়া’ সহ প্রায় অর্দ্ধশত গদ্য রচনার বই লিখেছেন। ছোটদের জন্যেও তিনি বিপুল লিখেছেন। বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকার ভিত্তিক সংকলন আছে পাঁচটি।
শঙ্খ ঘোষ এক বিরল সাহিত্য ব্যক্তিত্ব। ছয় দশকের তাঁর নিরলস বাংলা সাহিত্য-যাপন সময়। কবিতা, গদ্য, সমালোচনা, শিশু-কিশোর রচনা সহ বিপুল তাঁর রচনা ভাণ্ডার। এর বাইরেও তিনি রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ, এ আমির আবরণ, কালের মাত্রা ও রবীন্দ্রনাথ, দামিনীর গান তাঁর উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক গ্রন্থ।

এতসব পরিচয় আর খ্যাতিকে ছাপিয়েও তাঁর কবি পরিচয় বাঙালি মানসে স্থায়ী হয়ে বসে গেছে। মূলতঃ কবিতাই ছিল তাঁর আরাধ্য, কবিতাতেই তাঁর বাস। কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর মনের ভিতরে গুঞ্জরিত ভাবনাগুলিকে ভাষা দিয়েছেন কবিতায়। কবিতার জন্যে, বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্যে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, আকাদেমি পুরস্কার সহ বহুবিধ পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের জন্যে ছাড়াও, ১৯৯৯ সালে রক্তকল্যাণ অনুবাদের জন্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে বিশ্বভারতী তাঁকে দেশিকোত্তম পুরস্কার প্রদান করে। ২০১০ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১৫ সালে শিবপুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইন্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি শঙ্খ ঘোষকে ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৮৯ সালে ‘ধুম লেগেছে হৃদকমলে’র জন্যে রবীন্দ্র পুরস্কার এবং ১৯৯৮ সালে গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছের জন্য ‘সরস্বতী সম্মান’ সহ অগণিত পুরস্কার ও সম্মানে তিনি সম্মানিত ও স্বীকৃত।
তবুও এত পরিচয়, সাহিত্যের নানা শাখায় এত অবদানের এত স্বীকৃতি ও সম্মানের পরেও সব ছাপিয়ে উঠেছে তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা। সাধারণ মানুষের হৃদয়ে তাঁর নাম খোদিত হয়ে আছে। এমন কি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়েও, কবিতা না পড়েও কবি শঙ্খ ঘোষকে সাধারণ মানুষ জানতেন, ভালোবাসতেন। একটা ঘটনার কথা লিখে আমরা প্রসঙ্গটির ইতি টানতে পারি।

কবি-অধ্যাপক দিলীপ বন্দোপাধ্যায়ের ‘শ্রী শঙ্খ ঘোষঃ আমার মাস্টার মশাই, আমাদের সি জি স্যার’ লেখায় তিনি শঙ্খ ঘোষের মৃত্যুদিনের একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবেঃ
একুশে এপ্রিল দু’হাজার একুশ। শঙ্খ বাবুর মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বন্ধুদের বিশেষত যাদবপুরের সতীর্থদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া। সারাদিন কেটে গেল স্যারকে নিয়ে নানা কথায়, নানাজনের সঙ্গে। বন্ধু মধুমিতার সাথে তাঁর মাকে দেখতে গেলে মাসিমা বললেন, “শঙ্খ ঘোষ মারা গেছেন, শুনেছিস?” মধুমিতা বলল, “হ্যাঁ মা।” এরপর ঊনআশি বছরের টিপিকাল সাধারণ গৃহবধূ, কোনওদিন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়া না মাড়ানো, শঙ্খ ঘোষের কবিতা না-পড়া মাসিমার হতাশ গলা—
“কেমন মনে হইতাসে না, মাথার উপর হইতে একটা ছাত চইলা গেল? কোথাও কিছু অন্যায় হইলে এই একটাই লোক কিছু কইত, যার কথার দাম আছে।” দিলীপ বন্দোপাধ্যায় লেখাটি শেষ করেছিলেন এভাবে, “এতদূর আস্থা আর কেউ অর্জন করতে পারেন নি। আপনি পেরেছেন। আপনার অনুজ কবিতাপ্রয়াসী হিসেবে, আপনার ছাত্র হিসেবে এ আমার গর্ব।”

**************************