You are currently viewing ওরা ফেরেনি কেউ – কিস্তি- এক ||   বিচিত্রা সেন

ওরা ফেরেনি কেউ – কিস্তি- এক || বিচিত্রা সেন

ওরা ফেরেনি কেউ

বিচিত্রা সেন

কিস্তি- এক

১.
বাড়িটির দিকে আবারও তাকালাম। কেমন মন খারাপ করা বিষন্ন ভঙ্গিতে যেন সে দাঁড়িয়ে আছে। সারা শরীরে তার অযত্নের চিহ্ন। অনেক বছর তার দিকে কেউ ফিরে তাকায়নি স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। কত হবে বাড়িটির বয়স? সত্তর কিংবা আশি বছর? খুব কি বেশি? একেবারে কমও নয়। কাঠের দোতলা বাড়ি। দোতলায় ব্যালকনিও আছে। বাইরে কাঠের সিঁড়ি। টিনের চাল্ এরকম প্রত্যন্ত গ্রামে এমন চমৎকার শৈল্পিক বাড়ি সত্যিই বিরল। বাড়িটির প্রতিটি দরজায় তালা লাগানো। তালাগুলোতে জং ধরে আছে। বহুকাল কেউ খোলেনি এ তালা সহজেই বোঝা যায়। কে খুলবে? বাড়ির মালিকরা তো কেউ আর নেই। নিজের অজান্তেই বুকচাপা একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
আপনি, কাকে খুঁজছেন এখানে? প্রশ্ন শুনে তাকালাম আমার ডানপাশে। মধ্যবয়সী একজন মহিলা প্রশ্ন করছেন আমাকে। কী বলবো আমি? আমি তো আসলে কাউকে খুঁজছি না। আমি তো শুধু বাড়িটাই দেখতে এসেছিলাম। আর প্রণাম জানাতে এসেছিলাম এই ভিটেকে। মহিলা আমার দিকে তাকিয়েই আছেন। অপেক্ষা করছেন আমার উত্তরের, আমি ইতঃস্তত করে বললাম,
-ইয়ে, মানে, এ বাড়িটার মালিক যাঁরা, তাঁরা এখন কোথায়?
মহিলা সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন, আমার প্রশ্নটা মনে হয় তাঁর মনঃপুত হয়নি। তবুও বিড় বিড় করে বললেন,
ওরা কেউ দেশে নেই। সবাই বিদেশে থাকে। আপনার আর কোনো কাজ আছে এখানে?
বুঝতে পারলাম, মহিলা আমার উপস্থিতিকে ভালো চোখে দেখছেন না। কারণ বাড়ির ভেতর এরকম একজন অচেনা যুবককে কেইবা সাদরে বরণ করে। আমি আর সময় নষ্ট করতে চাইলাম না। মোবাইল বের করে চারপাশ থেকে বাড়ির কয়েকটা ছবি নিলাম। অতনুকে দেখাতে হবে। অতনুই বারবার করে বলেছিল আমি যেন ওদের বাড়িটা একবার দেখে যাই এবং কিছু ছবি তুলে নিয়ে যাই। প্রিয়বন্ধুর এমন আবদার ফেলতে পারিনি কিছুতেই। তাই শত অসুবিধা মাড়িয়েও এই প্রত্যন্ত গ্রামে আমার ছুটে আসা। আমিও দেশে এসেছি পাঁচ বছর পর, আর অতনু তো একবারও দেশে এলো না। কী এক অভিমানে সেই যে দেশত্যাগ করলো, এরপর আর একবারের জন্য দেশমুখো হলো না।
দেশে থাকতে অতনুকে আমি চিনতাম না। ব্যাঙ্গালোরেই ওর সাথে আমার পরিচয়। যখন জানতে পারলাম অতনু চট্টগ্রামেরই ছেলে, তখন ওর প্রতি কেমন একটা টান অনুভব করেছিলাম। কারণ আমিও যে চট্টগ্রামের ছেলে। এইচ.এস.সি পাশ করে ইি নিয়ারিং পড়তে চলে গিয়েছিলাম ভারতের ব্যাঙ্গালোর শহরে। তারপর আর ফেরা হয়নি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ও শহরেই চাকুরী পেয়ে গেলাম। পড়া অবস্থাতেই প্রেমিকা জুটিয়ে নিয়েছিলাম। গুজরাটি মেয়ে, নাম পুনম। শেষ পর্যন্ত তাকেই বিয়ে করলাম। অতনুর সাথে পরিচয় একটা পার্টিতে। সুরেশ আগরওয়ালের বাড়িতে দেওয়া এই পার্টিতে অতনুকে প্রথম দেখি। এ কথা সে কথার পর জানতে পারি ও চট্টগ্রামের ছেলে। সম্প্রতি ভারতবাসী হয়েছে। বয়সের নৈকট্যের কারণেই হয়তো ওর সথে আমার জমে যায়। সেই থেকে এখনো আমরা প্রাণের দোস্ত। এবার চট্টগ্রাম আসবো শুনে অতনু খুব সংকোচের সাথে বলেছিল আমি একবার ও গ্রামের বাড়িতে আসতে পারবো কিনা। ও নাকি প্রতি রাতেই ওর গ্রামের বাড়িটা স্বপ্নে দেখে। অতনুর কাছ থেকে ওদের পরিবারের পুরো কাহিনি আমি জেনে নিয়েছিলাম। অতনুরা যেমন তেমন পরিবার নয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ওদের পরিবারের আছে বিশাল অবদান। সেই অবদানের কোনো স্বীকৃতি অবশ্য ওরা পায়নি। সেটা নিয়ে একটা তীব্র অভিমান আছে অতনুর মধ্যে। তবে সেটা সে প্রকাশ করে না কারো কাছে। আমাকেও ওর এই ক্ষতটা খুঁজে বের করতে অনেক সময় লেগেছিল।
বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে। অতনুদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম। এখন দু’মাইল হাঁটতে হবে। তারপর পাবো বাস স্টেশন। সূর্যকে মুখোমুখি রেখে আমি হাঁটা শুরু করলাম। শীতের বিকেল, তাই হাঁটতে ভালোই লাগছে। হাঁটতে হাঁটতে আমি ভাবছিলাম। ভাবছিলাম অতনুদের পরিবারের কথা। এই অজপাড়া গাঁ থেকে প্রায় একশ বছর আগে ব্যবসা করতে রেঙ্গুন গিয়েছিলেন অতনুর প্রপিতামহ। ভাবতেই অবাক লাগছে। অত বছর আগে তাঁর মাথায় কী করে গ্রাম ছেড়ে অন্য মুল্লুকে যাওয়ার ভুত চেপেছিল? তাও আবার ব্যবসার কাজে! আমি যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম যুবক নন্দলাল চৌধুরীকে। পাঠক, এবার আমাদের কাহিনী বর্ণনার সুবিধার্থে ফিরে যেতে হচ্ছে একশ বছর আগে।

২.

কয়দিন ধরে নন্দলালের মাথায় ভুত চেপেছে। তার আর গ্রামে ভালো লাগছে না। গ্রামে তাদের প্রচুর জমি-জিরাত আছে। আছে পুকুর ঘর-বাড়িও। কিন্তু কয়দিন ধরে তার মনে হচ্ছে সে শহরে যাবে। শহরে গিয়ে সে ব্যবসা করবে। কী ব্যবসা করবে সে জানে না, তবুও তাকে শহরে যেতেই হবে। রাতে টিমটিমে হারিকেনের আলোয় যখন মায়ের একমাত্র পুত্র মাকে এই প্রস্তাব দেয়, তখন মা তো আঁতকে ওঠেন, বলেন- তোর কি মাথা হারাপ ওইয়ে না?
নন্দলাল জানতো মা এমনই বলবেন। তাই মায়ের কথাকে খুব একটা আমলে না নিয়ে সে জেদ ধরে। বলে,
-তুঁই যিয়ান হইবা হ, আঁই শহরত যাইয়ুমই।
এরপর চলে মায়েছেলের তর্ক। চোখের মণি একমাত্র যাদুকে চোখের আড়াল করতে রাজি নন মা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলের জেদের কাছে হার মানেন মা। সিদ্ধান্ত হয় একসপ্তাহ পরেই শহরে যাবে ছেলে। ছেলেকে শহরে পাঠাতে নানারকম বোঁচকা বাঁধেন মা। নন্দলাল হাসে, জানে, মা তার ভালো থাকার ব্যবস্থা করছেন। তারপর একদিন সকলে দুই/তিনটা বোঁচকা নিয়ে পিতৃহীন নন্দলাল মাকে বাড়িতে একলা রেখে শহরের পথে পা বাড়ায়। গ্রামের পথ দিয়ে যখন দু-তিনটা বোঁচকা নিয়ে হন হন করে যুবক নন্দলাল হেঁটে যাচ্ছিলো তখন অনেকের চোখেই পড়েছিল। কেউ কেউ হয়তো অবাকও হয়েছিল নন্দলালের এরকম হাঁটা দেখে। কিন্তু নন্দলাল কারও দিকে তাকায়নি। তখন এ গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার একটাই অবলম্বন ছিল, আর সেটা ছিল নৌকা। বাস, ট্রেন এর নামও তখনো কেউ জানতো না এ গ্রামের। নন্দলাল মাইল দেড়েক হেঁটে নৌকায় উঠেছিল। তারপর সে নৌকা একেবারে চাক্তাই খাল দিয়ে ভিড়লো সদরঘাটে। নন্দলালের এই প্রথম শহরে আসা। সদরঘাটে নৌকা থেকে নেমে সে গাড়ির রাস্তায় উঠে এলো।
রাস্তায় যে খুব বেশি লোকজন তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু লোক বিভিন্ন জায়গা থেকে নৌকা করে এসে ভিড়েছে এখানে। নন্দলাল ডানে-বামে তাকিয়ে বাম দিকে যাবেই স্থির করলো। শহরে তেমন গাড়ি চোখে পড়লো না। তবে ঘোড়ার গাড়ির সাথে গরুর গাড়ি দেখে নন্দলাল কিছুটা অবাক হলো। শহরেও তাহলে গরুর গাড়ি আছে? নন্দলাল সামনে হাঁটতেই লাগলো। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর তার চোখে পড়লো একদল কিশোর রাস্তার ওপর ডাংগুলি খেলছে। নন্দলাল কী যেন ভাবলো। তারপর কী মনে করে কিশোরদের দলে ঢুকে একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলো,
-আইচ্ছা, বাংলাবাজার ইয়ান হডে?
ছেলেটা সামনের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বললো,
-ওইত্তো, ওই দেহা যার যে ইয়ান বাংলাবাজার।
নন্দলাল বাংলাবাজার ঘোষবাড়িতে যেতে চায়। তাদের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় থাকে ওই ঘোষবাড়িতে। ওরা হয়তো নন্দলালকে চিনবে না। কিন্তু পরিচয় দিলে নিশ্চয় একটা ব্যবস্থা হবে। সত্যি সত্যি নন্দলালকে নিরাশ হতে হয়নি। সেদিন নন্দলালের আশ্রয় জুটেছিল ঘোষবাড়িতে। ঘোষরা ওখানকার আদি বাসিন্দা। অনেক বড় বাড়ি তাদের। সামনে বড় পুকুর। নামেই শহর। বাড়িতে ঢুকলে মনে হয় এটা একটা গ্রামের বাড়ি। চট্টগ্রাম শহর এখনো একেবারে অনুন্নত। একটা বাড়ি থেকে আরেকটা বাড়ি অনেক দূরে জেটিকে কেন্দ্র করে কিছু পেশা গড়ে উঠেছে। বাংলাবাজার থেকে জেটি একেবারেই কাছে। কীভাবে যেন পনেরো বিশ দিনের মাথায় নন্দলাল জেটিতে একটা কাজ জুটিয়ে ফেললো। খাওয়া দাওয়া ঘোষবাড়িতেই চলছিল। বিশাল পরিবার ঘোষরা। চাক্তাইতে তাদের চারটা দোকান। আত্মীয়স্বজনে বাড়ি সবসময় রমরমা। কে আসছে কে যাচ্ছে এত খবর রাখার মতো সময় যেন পরিবারের কারোই নেই। প্রতি বেলায় বেলায় পাত পড়ছে। আত্মীয় অনাত্মীয় অনেকেই খেয়ে নিচ্ছে। পরিবারের কর্তা এখনো জীবিত। তাঁর তিন ছেলের বউ সারাক্ষণ রান্না ঘরেই থাকে। এক দঙ্গল নাতি-নাতনী সারাক্ষণ উঠোনে খেলছে। বাড়ির একপাশে অতিথিশালা। সেখানেই নন্দলালের জায়গা হলো। দু’বেলা ভাত আর সকাল বেলার নাস্তা বাড়ির রান্না ঘরে গিয়েই করতে হয়। রান্নাঘরটা ভারী অদ্ভুত। বিশাল একটা ঘর। দুপাশে দুটি দরজা। সারাক্ষণ লোকে গিজ গিজ করে ওখানে। নন্দলাল জেটিতে কী কাজ করে কেউ তা জানে না, কারণ নন্দলাল কাউকে সেটা বলেনি। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই নন্দলাল ঘোষবাড়ি ছাড়লো। শুধু ঘোষবাড়ি না, বলতে গেলে সে চট্টগ্রাম শহরই ছেড়ে গেলো। কীভাবে কী করেছিল নন্দলাল সেটা কখনো কারো কাছে বলেনি, তবে সে জাহাজে চড়ে সোজা রেঙ্গুন চলে গেলো। নন্দলাল একা নয়, এরকম অনেকেই তখন চট্টগ্রাম শহর থেকে রেঙ্গুন যেতো। শুধু চট্টগ্রাম কেন, খোদ পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসে লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত চট্টগ্রাম হয়ে রেঙ্গুন গিয়েছিলেন। নন্দলাল যখন রেঙ্গুন গিয়েছিল তখন তার খুব একটা অসুবিধা লাগেনি। কারণ রেঙ্গুন তখন বাঙ্গালি অধ্যুষিত। নন্দলাল সেখানে গিয়ে প্রথমে একটা চুনা ফ্যাক্টরীতে কাজ নিয়েছিল। ওই ফ্যাক্টরির মালিক কিছু কলোনীর মতো করে দিয়েছিল। সেইরকম একটি কলোনীতে ছোট একটা ঘর নিয়ে থাকতো নন্দলাল। বেশ ভালোই কাটছিলো তার দিনকাল। মায়ের কথা মনে হলে বুকের ভেতর মোচড় দিত ঠিকই, তবে বড় ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্নে নন্দলাল সেই ব্যথাকে বুকেই পুষে রাখতো।
সেই কলোনীর কলতলাতে প্রথম দেখা ওসানির সাথে। অপরূপ সুন্দরী ওসানি প্রথম দেখাতেই নন্দলালকে পাগল করে দিয়েছিল। অন্য দশজন বাঙালি যুবকের চেয়ে আলাদা ছয় ফুট লম্বা, সুঠামদেহী নন্দলালও ওসানির নজর কেড়েছিল। তিন/চার দিন চোখে চোখে কথার পর একদিন সাহস করে নন্দলাল ওসানির পিছু নিল। ওসানি কলতলা থেকে জল ভরে নিজের ঘরের দিকে যাচ্ছিল। নন্দলালকে পিছে পিছে আসতে দেখে ওসানি ঘাড় ঘুরিয়ে জানতে চাইলো,
– কি রে, বাঙালি বাবু আমাকে তোমার মনে ধরেছে?
নন্দলাল সিদ্ধান্ত জানাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি। মাথা নেড়ে জানালো হ্যাঁ। ওসানি বলেছিল,
-তাহলে আসো, আমার ঘরে আসো।
ঘরে যেতে নন্দলালের খুব ভয় করছিল। কিন্তু ততক্ষণে আর পিছু ফেরার উপায় নেই। ভগবানকে স্মরণ করে সে ওসানির পিছু পিছু তার ঘরে গেলো। কাঠের দোতলা বাড়ি। চারপাশে ব্যালকনি দেওয়া। মনোরম বাড়িটায় কেমন যেন এক প্রশান্তি বিরাজ করছে। ওসানির ঘরে ওর পঙ্গু বাবা, আর মা। মা সারাক্ষণ পঙ্গু বাবার দেখাশোনাই করে। ওসানিকে ঘরে বাইরে সব সামলাতে হয়। ওখানে গিয়েই নন্দলাল জানতে পারে ওসানিদের চুনা ফ্যাক্টরী আছে। বাবা পঙ্গু হয়ে যাওয়ার পর ওটার দেখাশোনা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে ওসানির জন্য। কোনো ভণিতা না করেই ওসানি প্রস্তাব করেছিল নন্দলাল যদি দেশের মায়া ছেড়ে ওসানিকে বিয়ে করে রেঙ্গুন শহরে থেকে যায় তবে সে ওই চুনা ফ্যাক্টরির মালিক হতে পারবে। দেশের মায়া বলতে নন্দলালের কাছে একমাত্র মা। এমনিতেও তো সে মাকে ছেড়ে আছে। এমন লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। মায়ের ব্যাপারটা বিয়ের পরে ভাবা যাবে। নন্দলাল প্রস্তাবটাতে রাজী হয়ে গেলো। তবে শর্ত দিলো বিয়ের পর সে একবার গিয়ে মাকে সব গুছিয়ে দিয়ে আসবে। শর্ত অনুযায়ী দুজনেই দুজনার কথা রাখলো। নন্দলাল হলো চুনা ফ্যাক্টরির মালিক। চুনা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে করতে সে ব্যবসাটা ভালো বুঝে গিয়েছিল। বিয়ের পর সমস্ত মেধা-শ্রম সে ঢেলে দিলো ব্যবসার কাজে। অনেক বাঙালি যুবক এরকম শর্ত মেনে বিয়ে করে পরবর্তীতে রেঙ্গুনিবালাদের ঠকালেও নন্দলাল সে পথে যায়নি। সে ওসানিকে সত্যি ভালোবেসেছিল। বিয়ের একবছর পর দেশে আসলো নন্দলাল। সাথে নিয়ে আসলো প্রচুর টাকা পয়সা। (চলবে)

*******************************