এলো-বচন
মুহাইমীন আরিফ
১
রোদকে স্নান করাতে মেঘজালে বৃষ্টি জমে।
২
নগ্ন ধানের রূপ থালার জলভাতে।
৩
বনের গেওয়া শোধ নেয় বারুদের কাঠি হয়ে।
৪
তোমার দুরবিনে — আকাশ-উঠোনে আমি ও চাঁদ সেমিকোলন!
৫
ইউক্লিড, জীবদেহের পরিমিতিই নিখুঁত জ্যামিতি!
৬
নয়-দশ মাসের বিশুদ্ধ শ্বাস; দূূষিত হয় বাকি সময়ে।
৭
ছায়ার শরীর আঁকে—সূর্য, জোছনার চাঁদ আর সোডিয়াম বাতি।
৮
‘আয়ু’ রেলগাড়ির যাত্রী, স্টেশনগুলো তার ‘জন্মদিন’!
৯
আর্দ্রতার স্পর্শে নোনাজলেরদানা জল হয়ে যায়।
১০
যা কিছু সুন্দর অথবা কুৎসিত, সবই চোখের খাদ্য।
১১
বহুরূপী জলের ধারায় রাজনীতিকের ডুবসাঁতার!
১২
বাবার গলায় মাফলার যেন লাটিমে দড়ির প্যাঁচ।
১৩
নদীর টিয়ারঙের বুকখোলা পোশাক সেলাই করে দেয় সেতু।
১৪
আনাড়ি মুচির বানানো জুতো দেহে যন্ত্রণা ছড়ায়।
১৫
একথালা রোদ আর একথালা জোছনাই আহার। কখনও- কখনও আহার্য চুরি করে নেয় কালো মেঘ।
১৬
বাড়িই হয় রাস্তার শেষ; আর শেষ-শ্বাসবায়ুটানে গোর।
১৭
মউলির চোখ ফুল নয়, মৌ-বিষ্টা খোঁজে।
*********************************