You are currently viewing এগেইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স: একগুচ্ছ কবিতা  ।। আলী আফজাল খান

এগেইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স: একগুচ্ছ কবিতা ।। আলী আফজাল খান

এগেইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স: একগুচ্ছ কবিতা  ।।

                  আলী আফজাল খান

তনু ||

একফোঁটা অশ্রু নিয়ে ঘুমাতে পারছি না
এই অক্ষরগুলো অক্ষম, ক্ষমা করো !
আজও চলছে রঙমহলে জলসা
আজও রঙিন পেয়ালা
বাবা-মা শিশু নিয়ে ঘুমাতে যাবে
যেমন ছিল, আছে , থাকবে – খোলসের ভিতরে
মিডিয়ার আফিম খেয়ে সব আজ অচেতন
রগ রগে থ্রি এক্সে উগরে উঠছে বিলবোর্ড
আকাশে উড়বে পায়রা কই?
শকুন আর শকুনে আকাশ কর্কশ
মানুষ তো নয়, ওরা দেখে যোনী
আমার বোন, আমার মা, আমার মেয়ে
এরা কি মানুষ?

 

শব্দশব।।

এমন শব্দ আছে যা কষ গড়ানো এবং ঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যা
কালো চশমার চোখে যে অদৃশ্য হয়ে যায়
ঘোলা ব্যথার আলো নিয়ে কেবল সানকিতে জন্মায়
চিরচিরচিরচিরচিরচিরচিরচির
শুকনো শুকনো
উজ্জ্বল সাদা পাথর আকৃতির
ব্যথার মরিচ এবং লবণ হাওয়াই
এখনো আছে উনুনের পোড়া কাঠের ছাই
ডুগডুগির আওয়াজে যে পরিযায়ী পাখি চলে গেছে
আগলানো দুর্গের ইটের জঙ্গলে
গানটি আসছে তার
দাফনের কফিন গাছ থেকে
“না” কেটে কেটে ধানডানার গান
যেখানে নীরবতার ওজনে চুনোমাছ
পা-জামার গাছগুলো আজ কাঁপছে
জ্যান্ত শঙ্খের জলছড়া
তারা পড়ে গেছে
তোমার দরজায়….
শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্রপাতি না ধানের গোলার প্রার্থনা,
কার কাছে ফিরবে শব্দ, ঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যা?

 

শরীর পোশাক।।

বহুদূর সমুদ্রের ওপারে
যে পথে অশেষ, একান্ত মৃত্তিকা – ক্লান্ত নীলহার
দু’দন্ড শ্রান্তি খুঁজি তোমার অভয় ছায়ার
নি:শব্দে ভুলে যাবো অগ্নি নিবাস
আমাদের লোকালয়ে পড়ে না শঙ্খ স্বাদ
বকুলতলায় ভোরের শিশিরে আমাদের স্মারক
যে আলো দেখেনি তুষার
আজন্ম রাত্রির পর -নীড়হারা শরতে
আমিতো খুলে দিব শরীর পোশাক
শুধু নক্ষত্র স্রোতে উদাম জল
যে আঁধারে দেখা যায় আঁধারের শরীর
প্রিয় ছায়ায় লাবণ্য কংকাল

 

দ্বিপদী পাখী সমস্যা।।


আমাদের সীমান্তে মানুষও পাখী
বন্দুকে শিকার করা হয়


ডানার ভিতর আগুন
যেখানেই উড়ি, জ্বলে যায়


পাখি যখন কাঁদে বনে লাগে দাবানল
অশ্রু, তুমিই কি জ্বালানী জলে জ্বলার?


খাঁচার ভিতর খাও দাও গান গাও
জানোতো এটাই জিন্দা কবর?


মধ্যাকর্ষনের আকাশে পাখীর সীমা
সীমানার ওপারে মহাকর্ষণ
শরীরে নাই এখন আর ত্বরণ
আমি ওজনহীন মহাশূন্যের মহাকর্ষ কণা
আমাদের মিলন কোনোকালে হবে না?
– আপেল, পাখী ও আকর্ষণ

 

মন যমুনায়।।

নিজের ভেতরের যে ব্রহ্মাণ্ড ফল্গু বেড়ে যায় কতদূর দেখতে পারো তারে?
জল আর জলের স্রোতে পাবে রাঙাচরণ চুপ করে বসো যদি মন যমুনায়
বেবাক বাতাস তার নিঙড়ানো টান রুয়ে দেয় আঁধারিয়ানায়
চুপ শূণ্য ব্রহ্মাণ্ডযোনি ঝাঁকিয়ে নেয় বাঁশিতে ফুঁকার দিন, বড়ো সহজ সাধনা নয়
ওই জ্যান্ত, ওই নড়ন, ওই ওম
শ্বাসের গরম, ক্ষুরের ইশারা
– ছুরি ও চুম্বন
রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ-স্পর্শ বহতার শরজমিনে তীব্র সহজিয়া নিজস্ব

*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*