You are currently viewing একজন ‘ক’ ও তার ভাববাদিতা প্রসঙ্গে – এনামুল কবির

একজন ‘ক’ ও তার ভাববাদিতা প্রসঙ্গে – এনামুল কবির

কথাটা কদিন আগের, এখানে বক্তা তেমন অপরিচিত কেউ ছিলেন না এবং বিষয়ও ছিলো সুনির্দিষ্ট; তেমনই এক আলোচনা ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রশ্ন-উত্তরপর্ব ঘিরে এই লেখাটার জন্ম। এছাড়া কে না জানে বিভ্রান্তি থেকে না যতটা সচেতন বা দূরে থাকা, এর প্রতিরোধও হলো আমাদের জন্য সমান জরুরি কাজ। কেউ কিছু বললো আর লোকেরাও তা মুখ-হাঁ করে শুনে গেলো, এতে বিচারহীন- যা ইচ্ছে তা বলা বা প্রচারের যেমন সুযোগ সৃষ্টি হয়, তেমনই অর্থহীন ও অবৈজ্ঞানিক চিন্তা-ভাবনায় আচ্ছন্ন হয় সমাজ। তাই অবরুদ্ধ মন ও সমাজের বিরুদ্ধে আমাদের কিছু না কিছু কথা বলতেই হয়।

তাহলে বলি- সেদিন কী বলেছিলেন ওই ভদ্রলোক। সূত্রধর বা মূলবক্তার কথা তখন শেষ, স¦ভাবসুলভ- জানতে চাইলেন, তাঁর আলোচনা থেকে যদি কারও কোনও প্রশ্ন থাকে, যতটা সম্ভব তিনি তা বলার চেষ্টা করবেন। এখানে সেদিন সেভাবে কেউ আগ্রহী মনে না হলেও প্রচেষ্টার অংশরূপে দাঁড়িয়েছিলেন চারজন, এর মধ্যে দুজন মঞ্চে এসে বলতে চাইলে বক্তা তাঁদের সে সুযোগ করে দেন। এখানে তারা কারা ও কী তাদের পরিচয়- সেটা আর উল্লেখ করছি না, তবে কোনও প্রশ্ন না করে তাদের দীর্ঘ বক্তব্য একটু দৃষ্টিকটু ঠেকেছিলো বৈকি। এতোটুকু হলেও অবশ্য কথা ছিলো না, কিন্তু তাদের একজন, ধরে নেই, তিনি হলেন ‘ক’, মনস্বী বললেও হতো, সেদিন এমন কিছু বলেছিলেন যা চিন্তার দিক থেকে ছিলো বিচার্য এবং এই অধমের জন্য ভুলে যাওয়া কঠিন! লক্ষণীয় হলো এর জন্য এক বা দু মিনিট নয়- তিনি নিয়েছিলেন পুরো এগার মিনিট, দ্বিতীয়জন- খ, বলা যাক, তিনিও লোকমান্য বটে, শেষ করেছিলেন আটের মিনিটের মধ্যে। ভাবা যায়- বিষয়হীন ভাবে এসব ছিলো পুরোটাই ক্লান্তিকর!

এখানে কেউ বলতে পারেন, তাদের উদ্দেশ্যে ছিলো- বিষয়ের তাৎপর্যকে আঘাত করা; বলা বাহুল্য সেদিন উপস্থিত কজনের বিচারও ছিলো অনেকটা এরকম। তবে আমার কথা বলতে গেলে আমি ততটা নিশ্চিত ছিলাম না, এছাড়া এতোটুকু জানতাম, শুভাকাঙ্খীর পৃথিবীতে আমাদের উদার ও বিনীত হতেই হয়। তাই আমি তাঁদের কথা বরাবরের মতো মনোযোগ দিয়েই শুনি, কিন্তু খেয়াল করি- প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগের জায়গায় এখানে আমার মন হয়ে উঠে বিচারশীল এবং এটা হলো চরম- দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যার এক পৃথিবী। সত্য হলো অর্থহীন কিছুর প্রচার আমাদের দিকভ্রান্ত করার সুযোগ থাকে বেশি, এর সাংস্কৃতিক তাৎপর্যও হয় এমন- চলতে থাকে বংশ-পরম্পরায়। ঠিক এখানে এসে ঠেকে দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এবং সৌখিনতার বিষয় হিসেবে জ্ঞানবিদ্যা কেমন- তা একটা শব্দে বলে দেওয়া যায়- সেটা প্রতিক্রিয়াশীল। এখানে ক হচ্ছেন সে-ই ব্যক্তি আমি, যিনি তার কথাটা শুরু করেছিলেন এভাবে- বিষয়টা তো পুরোপুরি আমি যেভাবে চিন্তা করি, এভাবে এসে গেছে।’ অবস্থাভাষ্যে এই একটা বাক্যই ছিলো আসলে তার মাথা- আর আত্মরম্ভিতার ভারে আমরা শুনছিলাম তার নুইয়ে পড়া- সান্ধ্য বিরক্তির উৎপাদন!

কিন্তু দীর্ঘ পঞ্চাশ মিনিট ধরে চলা বিষয়ভূক্ত একটা আলোচনার পর যখন আমরা এরকম কোনও কথা শুনি, যা ক বলেছিলেন, ‘এভাবে এসে গেছে’, তখন উপলব্ধির দরোজা আমাদের কেমন মনে হয়? সেটা খুব সহজ যে, সুত্রধর বা মূলবক্তা যা বলছিলেন, এখানে তিনি ছিলেন কেবল তার একটা মাধ্যম, মূল কথাটা ছিলো- তাঁর মনে, আর তিনি কেবল সেটা যন্ত্ররূপে ব্যক্ত করে চলছিলেন- এই তো! সৃষ্টিতত্ত্বের নিয়মের দিক থেকে দেখলে তিনি যেনো এক কেন্দ্রীয় সত্তা এবং সূত্রধর বা মূলবক্তা হচ্ছেন এখানে তার ক্রীড়নক। প্রশ্ন হলো- এই যে তার দৃরোক্তি, ক- এর কথা, সেটা একটা স্বতঃসিদ্ধ বা দর্শন- যাইহোক, সেটা কি তার অসচেতন ভাবে বলা? না, কথাটা হলো- এখানেই এবং সেটা হলো তার সচেতন চিন্তারূপ এক বিশ্ব ও মনের প্রকাশ। তাহলে এই হলেন ক ও তার উন্মোচিত রূপে- তিনি এক চোরাকারবারী বটে।

কেন- সেটাই এবার বলি। কথা হলো কারও চিন্তা যদি তার ব্যক্তিত্বের প্রচলিত মূর্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়, তাহলে বিবেকী দায়বদ্ধতার কাজ হবে সেটা অন্যদের দেখিয়ে দেওয়া- বিচারিক দিক থেকে সেটা হবে সে-ই মানুষটারই মুখোশ উন্মোচন। আমরা দেখবো ক- এর মানস বা চিন্তা এই সময়কার নয়, যদি ষোড়শ শতকের দিকে তাকাই, তবে সেটা দেকার্ত ও তাঁর আত্মগত ভাবের সঙ্গে কেমন স্বচ্ছন্দ- মিলে যায়। আমরা দেখবো- এই একুশ শতকেও তার চিন্তা খুব এগোয়নি, রয়ে গেছে পেছনে, অনড়; বিকাশ- পরিবর্তনের স্থলে এ যেনো স্থির হয়ে থাকা এক বিশ্ব। তাহলে বর্তমানটা যদি অতীত দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়, তবে পাঠকদের বলবো, ক-এর এই পাটাতন তত অপরিচিত নয়। প্রশ্ন হলো- তার মস্তিষ্ক এখানে কী বহন করছে, সেটা। আমরা দেখবো- উপায় হিসেবে সেটা কোনও অনুভূতি নয়, সেটা হলো তার গভীর ও প্রবল আত্মগত বিশ্বাস। এখানে অতীতের সঙ্গে তার মিলটা শাস্ত্রগত- যা বাস্তব জগতের বিপরীত এবং এমনটাও লক্ষণীয় যে, এটা হলো ‘অন্তরাত্মার নির্দেশনা অনুসরণ’-এর বিশ্ব ও হেগেলের ‘নৈতিকতা’র মধ্যেই স্থির। এখানে দেখা যাচ্ছে, ‘আমি যেভাবে চিন্তা করি’, ক এর এই চিন্তা পদ্ধতি আসলে তার দৃষ্টিভঙ্গিগত একটা ব্যাপার; আর সন্দেহাতীত- ভাষিক আচ্ছাদনে এখানে লুকিয়ে আছে তার ভাববাদী মানস জগৎটাই।

ভাববাদিতার অর্থ হলো চেতনা নির্ভর বিশ্ব, বস্তুনিচয় হলো এখানে গৌন; মনে করা হয় কোনো বস্তু নয়, চেতনা থেকে উদ্ভব এই বিশ্বের। বাস্তবতা হলো ‘শ্রেণি বিভক্ত সমাজে জ্ঞান ও কর্মের বিচ্ছেদ থেকেই মানব চেতনায় অধ্যাত্মবাদী ও ভাববাদী ধ্যান-ধারণার উদ্ভব হয়।’ (দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অগ্রন্থিত বিতর্ক, পৃ- ১৪০) এখানে ব্যক্তি আমি’র মানসিক অভিযোজন হয় কীভাবে এবং এর উৎস কী তা সহজে বোধগম্য। বস্তুত কোনও কথা বাস্তব তথ্যভিত্তিক না হলে সেটা অলীক বিশ্বাস বা কল্পনার ব্যাপার হবারই কথা। এর মধ্যে যদি কারও বিশ্বাস থাকে অলৌকিকে, তাহলে আর কথা নেই, সে হবে এই অলৌকিক চিন্তা বা বাক্যবিন্যাসের ফ্যাক্টরি। আমাদের সে-ই চিন্তাকারী, এভাবে সব হয় বা ঘটে- এমন চিন্তা বয়ানকারী মন- এর দূরবর্তী কেউ নয়। তান্ত্রিক ও ভাববাদী বিশ্বে আমাদের ভারতবর্ষের উত্তরাধিকার অনেকটা এরকম তা বলাই বাহুল্য। আমরা এখানে দেখতে পাই- অনেকান্তে তারা হন সাধু; কোথাও পীর বা দরবেশ।

এখানেও ক- বাইরের কেউ মনে হয় না, তাই বলে তিনি একা বা উত্তরাধিকারহীন- তাও নয়। একটি বিকাশমান পৃথিবীর পথে সেটা বড় সমস্যাই বটে। আমরা এখানে দেখি ক ও তার পৃথিবীতে আছে বেশ স্বার্থের দহরম-মহরম, অতএব তার সঙ্গে গাঁটছড়ায় আসে অন্যরা; বিচ্ছিন্নতার এই বিষয়ী মন্ত্রণা পায় ঈর্ষণীয় উত্তাপ। এখানে ক-রা ফেরি করে তমসাচ্ছন্নতা, লোকেদের কাছে হয় সে বা তারা জবর উদ্ধারকারী; তৈরি হয় একটা বলয়। এবার একটা এলাকা বা স্থানীয় পর্যায়ে দেখা যায় কামেল প্রগতিশীলদের, কজন ছদ্ম-প্রগতিশীল হন এই উদ্ধারকারী ক-এর খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত। মূলত তখন তাদের ধারণাটাই হয়ে যায় সমাজের ধারণা, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সেটা হয় তাদের চিন্তারূপ ভাবাদর্শ বা সংস্কৃতি। এরকম একটা অবস্থায় তাদের আর বিচার করে কে? তাই মানুষের পৃথিবী থেকে ভুলগুলি দূর হয় না, বেশ টিকে থাকে; রসদ পায় সমাজ থেকে, অগ্রসর- স্বার্থপর সুবিধাবাদী একটা শ্রেণি হয় এই ভুল- ধারণা তথা শব্দের ধর্মীয় ব্যঞ্জনার কর্তৃপক্ষ। এভাবে সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি হয় ভুল ধারণার পরম্পরা।

ভারতের প্রথিতযশা একজন লেখক হচ্ছেন রঙ্গনায়াকামা, তিনি এমন ভুল ধারণা টিকে থাকা নিয়ে দেখাচ্ছেন দুটি কারণ-

‘১. প্রকৃত ঘটনা বা তথ্য অজানা। সবাই ভুল ধারণা নিয়েই সন্তুষ্ট আছেন।

২. প্রকৃত ঘটনা বা তথ্য জানা। যা-ই হোক এই ধারণা থেকে কতিপয় ব্যক্তি সুবিধা ভোগ করছেন। এই সুবিধাভোগীরা ভুল ধারণাকে চিরস্থায়ী                             করতে চান।’

(দর্শনঃএকটি সংক্ষিপ্ত প্রাথমিকপাঠ, পৃ-২১০)

সমস্যা হলো মি. ক ও তার উত্তরাধিকারও এখানে আলাদা কিছু নয়। যদি আমরা এখানে তার সমর্থক বা বলয়নিষ্ঠদের দেখা না পেতাম, তবে দেখা যেত এমন অনেক ঘটনা বা তথ্য, নতুন চিন্তা বা বয়ানের ফলে দূর হয়ে যেত; বলা বাহুল্য তখন অপনোদন হতো পশ্চাদপদ চিন্তা বা মতাদর্শগত অনেক অন্ধকার। কিন্তু আমরা যা দেখি, তা হলো এমনটা আর হয় না; তাই শ্রেণিস্বার্থ- সুবিধাবাদের দিক এসবকে টিকিয়ে রাখে, টিকে থাকে মুৎসুদ্দি তথা দালালচক্র, বছরের পর বছর- সহশ্রাব্দেও। এবার এখানে ভিন্নতর এক নজরদারির কথা উল্লেখ করতে হয়, বলা বাহুল্য সৃষ্টিতত্ত্ব হলো এর একটি এবং লক্ষণীয় হলো এই তত্ত্ব একসময় নিয়ে যায় পরমসত্তার দিকে। এখানে বিশ্বজগতের পরিবর্তে ব্যক্তিগত আমি’ র সম্পর্কই অত্যধিক এবং সত্য বলে স্বীকৃত। তাই মৌল নীতি বলতে যা বুঝায় এবং দর্শন হবার কথা, এখানে সেটা হলো আত্মগত এক দর্শনে উত্তীর্ণ- ভাববাদ।

কিন্তু এই আমি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে নেই, দর্শনেও তত প্রবল নয় যতটা না নৈতিক অবস্থার বয়ানকৃত বিশ্ব নিয়ে সে কথা বলে; কিন্তু এই আত্মরম্ভী আমি’র ভার আমরা কোথায় দেখতে পাই? বলা বাহুল্য সেটা দেখি ‘চিন্তার এক পথ-পদ্ধতি’তে- এর বাইরে নয়। কিন্তু চিন্তা ও ব্যক্তি জীবন প্রায়ই এক হবে না, ব্যক্তিজীবনে কারও যা পরিচিতি, চিন্তার ক্ষেত্রে দেখা যাবে তিনি তত কৌতুহলী বা অনুসন্ধিৎসু নন- বদ্ধ এক মাজা পুকুর। আবার এমনও সম্ভব- চিন্তা প্রকাশে যিনি পুঙ্গব, যাপিত জীবন এর ধারে কাছেও নেই, বরং বিপরীত- পুরো বাস্তবতা-বর্জিত। বিচার্য কথা হলো তাদের এই জগতে নেই বাস্তব জগৎ ও এর প্রতিফলন। তাহলে এই হলো ভাববাদীর পৃথিবী, যদি ভাবা থেকে এসব তার মনে আকার পেয়ে থাকে, হয়ে থাকে বিশ্বাসের সত্য ও বাস্তব, তবে এসবের আর্বিভাব বা অস্তিত্বের কারণ হলো তিনিই হচ্ছেন এর নির্মাতা বা স্রষ্টা। এখানে দেখা যাবে তার মনরূপ বিশ্ব কী চমৎ’কার ভাবেই না সৃষ্টিতত্ত্বের আমি’র সঙ্গে বেশ সম্পর্কিত- সত্য। এভাবে ব্যক্তি এই আমি ভাববাদের চরম উৎকর্ষের সঙ্গে প্রতিভাত হন, বাস্তব বিশ্বে অপ্রমাণ- অপ্রাকৃতিক কিছু হয়ে ওঠে সারগ্রাহী ও পুরোপুরি প্রবল। ভাষিক বিশ্বে দেখা দেয় পরিবর্তন, সৃষ্টিতত্ত্বের জায়গায় আমরা পাঠ করি পরমাত্মা। এর মানে হলো আর কেউ নয়- মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে আসলে এই আমি- আত্মাই।

আমরা দেখবো- ভাববাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে যা মান্য করা হয়, তা হলো পরমাত্মা তথা পরম চেতনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ব। ক শুধু এখানে তা ব্যাখ্যা করেন না, কিন্তু যা বলার তা বলে দেন, ‘আত্মা অনুধাবনের ওপর’ যেমন ‘সবার অস্তিত্ব নির্ভরশীল,’ তেমনই এখানে তিনি এর বাইরে কিছু বলছেন না, যা বলছেন, সেটা হলো তার মনেরই এক পূর্বাবস্থা। এখানে যাদুশক্তির কথা নিয়ে এলে খারাপ হতো না, প্রাসঙ্গিক আলোচনায় হতো সেটা বেশ সাযুজ্যপূর্ণ। যে কোনো আশ্চর্য ঘটনা বা কথার বয়ান আর আমরা কোথায় পাই!

এবার চিন্তার অভিঘাতের কথা বলে এই আলোচনা শেষ করি। কে না জানে এটা আসে বাইর- বর্হিজগৎ থেকে, অভিঘাতস্বরূপ- চেতনা হলো এর প্রতিফলন এবং এর ভিত্তিতে আমরা ব্যাখ্যা করি জগৎকে। প্রকৃতি সম্পর্কে লাভ করি জ্ঞান, শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি সাপেক্ষে সে চেতনা বদলে দেয় পরিস্থিতিকে। কিন্তু এখানে ‘এভাবে এসে গেছে’, ক- এর এই মানসভূমি মোহাচ্ছন্ন এক জগৎকেই কেবল নির্দেশ করে; তাই আমাদের দায়িত্ব হলো তার এমন সব ধ্যান-ধারণা ও চিন্তার চোরাকারবার সম্পর্কে অন্যদের অবহিত করা।

১২/৭/২১