এইচ বি রিতা’র কবিতা
আজ বৃষ্টি নামুক
ফ্লাশিং এর বৃষ্টিতে আমার প্রেম
প্রতিটি মুহূর্ত, থামছে না
এখানে জড়িয়ে আছে একটি স্পর্শ,
দুটি হৃদয় ভিজেছিল কোন একদিন-ঠি
এই বৃষ্টিতে
সেদিন বৃষ্টির ফোঁটা উম্মাদ ছিল
আমাদের মূকাভিনয়-দৃশ্যপটে
হাতটি ছিল হাতে, উষ্ণতার শক্তি
একটি চুম্বন, বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দি
যত ভয়
একটি হাসির প্রতিধ্বনি, একটি স্
যা আমি কোনদিন ভুলব না।
তাই আজ বৃষ্টি নামুক আমার উপর তু
বৃষ্টি ধরে রাখুক রাতের অন্ধকা
একটি সুন্দর দৃশ্য।
কবিতার সংজ্ঞা জানা নেই
কবিতার সংজ্ঞা জানা নেই
নির্বোধ আমি তাকিয়ে থাকি নগ্ন গা
শুনি চড়ুইদের আলাপন
ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে তারা গান
রোদ পোড়ায় মাটি, পাথর
হুঙ্কারে বাতাস
আগমনী বার্তা দেয়
ছলায় কৌশলে
কাঠবিড়ালি তাকিয়ে থাকে আমার দি
অস্থিরতা নিয়ে
বলি, ভয় নেই ভয় নেই
আমি মানুষ নই
তুমি নিরাপদ
তাকিয়ে থাকি বৃদ্ধটির দিকে
লাঠি হাতে সংসার টানে সে
বাজারের ব্যাগ হাতে
ক্লান্তির দিন
তাকে থামায় না কোথাও
গাড়িগুলো ছুটছে
গন্তব্য কি জানা আছে চাকার?
কবিতার সংজ্ঞা জানা নেই
তাই বোকার মতো বসে থাকি পারসন্
উপলদ্ধি
হুইসেল বাজিয়েছি ট্রেনটি ছুটছে
আমি বসে আছি জানালার পাশে
দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে
ব্যাপ্তি সহ বইয়ের পাতার মতো আ
বাইরের পৃথিবী, পাহাড়, মাঠ, শহ
ট্রেনটি স্টেশনে থেমেছে
লোকেরা উঠা-নামা করছে
কেউ লাগেজ নিয়ে, কেউ দুঃখ নিয়ে
আমি হারিয়ে যাচ্ছি নিজের ভাবনা
রোজ কত শত গল্প বহন করে ট্রেনটি
প্রেম, বিষাদ, হারানো, লড়াই
একটি সূর্যাস্তের পর ফিরে আসা সূ
মনে করিয়ে দিচ্ছে জীবনের প্রকৃত
গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি
ট্রেনটি যে কোন সময় থেকে যাবে
যাত্রার স্মৃতি নিয়ে ফিরে যেতে
আবারও পুনরাবৃত্তিতে নতুন যাত্
ফ্লাশিং এর পথে আজ কোন গৃহহীন নে
বাতাসের চিৎকারে সামনে এগোও সে
অভিযোগ-অনুযোগ ছাড়াই
তার গতি ধীর-স্থির
রোদের তাপ বাড়ছে
ফ্লাশিং এর পথে আজ কোন গৃহহীন নে
একজন মানুষ
লাঠি হাতে বসে আছে রাস্তায়
ছায়া ও পাতা
পরস্পর আলিঙ্গনে
ওদিকে কেউ মরার মতো পড়ে আছে ঘরে
স্টেলা চেন
বেপরোয়া হয়ে উঠছে
তার-ছড়ির ঘর্ষণে শব্দরা মাথা না
দুটো চড়ুই সুর তুলেছে নগ্ন গা
ট্রেন যাত্রা-আমার প্রেমের অনু
ম্যানহাটন যাত্রাপথে তার সাথে দে
সেভেন ট্রেনে
অপরিচিত একটি মুখ আমায় ভীষণ টে
পাশাপাশি বসেছিলাম,
তার হাসিমাখা মুখ, শীতল নীল চোখ
আমাকে ভাবনায় ফেলেছিল।
ট্রেনটি ছুটতেই আমরা কথা বলতে শু
বিনিময়ে নাম, কে কোথায় থাকি, কি
নানান কথোপকথনে আমরা হারিয়ে গে
সে তার লড়াই আর ভয়ের গল্পগুলো
আমি শুনছিলাম,
কুইনস ব্যুরো প্লাজাতে ট্রেনটি
এতটাই কাছাকাছি পৌছে গেলাম যে,
চোখের জল মুছে দিলাম
ট্রেনের শেষ অবধি এভাবেই চলছিল।
বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই আমরা নম্
যোগাযোগ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
ট্রেন থেকে নামার আগে তাকে বলছি
সে কেবল হেসেছিল
আনন্দের অনুভূতি নিয়ে অতঃপর বি
দিন গেল, সপ্তাহে শেষে মাস গেল
রোজ কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে
কথা বললাম, আরো কাছাকাছি গেলাম
শহর ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে, সু
তারপর একদিন, বিশ্বাস নিযে জড়ি
একে অপরকে
আমাদের বন্ধুত্ব, মহান প্রেমে প
হ্যাঁ! প্রেমে পড়েছিলাম, সেই ট্রে
সেই থেকে আজও একই বিছানায়, একই
আমাদের কথোপকথন চলে।
কী আশ্চর্য! একটি ট্রেনে যাত্রা
আমাদের জীবনের গতিপথ বদলে দিয়ে
জোয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে
সেই ট্রেন যাত্রা-আমার এক প্রে
=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=*=