ইউসুফ মুহম্মদ
তিথিকৃত্য-৭
চড়ুই পাখির কান্না অনুবাদ করে
বন পোড়ার দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম।
দূরে কোথাও তিনটি কাক
চড়ুই পাখির ডিম নিয়ে খেলছিলো,
খেতলে খেলতে ভেঙে যায় নিশ্চিহ্ন হয় পাখির সংসার।
গলা বাড়িয়ে দেখলাম ছিন্নভিন্ন ডিম থেকে
বেরিয়ে আসছে ভ্রুণেরই মতো কিছু…
পঁচা, গন্ধময় মানবতার গলিত লাশ
দেখে লাল হয়ে য়ায়
তিথি বুঝে ফুটে উঠা শিমুলের গাল
যত দূর চোখ যায় শুধুই মাকাল, শুধুই মাকাল
মাকালের বুকে অস্পষ্ট আক্ষরে লেখা ছিলো ‘স্বাধীনতা’।
তিথিকৃত্য-১৫
একদিন শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি
কপালের ঘাম মুছে বলেছে, তোমার সঙ্গে কথা আছে
তোমারও তো একই ব্যাকুলতা ছিল
যা শুনে ভ্রমর, দ্বিধাহীন বাতাসে চঞ্চল হয়
বলবো বলবো করে কিছুই না বলে
যার হাত ধরে সমুদ্রের ওপারে গিয়েছো
তোমার ঝিণুক ফুঁড়ে
জুঁইফুল মুক্তো ফলায় সে, কী একান্ত ভালোবেসে?
ঝিনুকেরও দহন আছে,
আছে বুক ভরা জ্বালা ও যন্ত্রণার দাগ
তিথি না মেনেই
পেনিস ফ্লাই ট্র্যাপ দিলো কোন সে মন্ত্রণা!
ভাতঘুমে রাধারমনের দিস্তানে পাতিয়া কান
কে যেনো ব্যাকুল নকশি কাঁথায়
পুরাতন নয়ন ও শিবের বিচিত্র বুনে।
*****************