আনিসুর রহমান অপু’র কবিতা
একদিনের প্রেম
একদিনের প্রেম , প্রেম দিওয়ানা
প্রেম জোয়ারে ভাসছে আজ ফের , নট
তাইরে নাইরের নাগর তুমি , ভুলেছ
নগরমুখি ব্যস্ততা যার, খুঁজতে সু
অজগাঁয়ের মাটির গন্ধে , প্রতিপল
সে-ই কিনা এই পান্তা মগ্ন , বলছো , ‘ সুপার ফাইন ‘
একদিনের প্রেম—বাঙালিত্ব , পান্তা ইলিশ খাওয়া ,
বাকি দিন -মাস উথাল পিরীত, বাজা
ভাতেরে কও অন্ন তুমি , আড়াই দি
কৃষক চেনে ফড়িয়া-দালাল , মধ্যস্বত্ব ভোগী !
দায় ঠেকে খায় পান্তা ওরা , ইলিশ
সে বুঝ তোমার মগজ-মেধায় , হবে
দু’চার পংক্তি রবীন্দ্র গান , পা
একদিনের বাঙালি এলিট, আলগা প্রে
পাস্তা-চিকেন , পিৎজা-বার্গার ,
নুনপান্তার জীবন যাদের , নিত্য-
সানডে-মানডে , থার্টি ফার্স্ট আ
বোশেখ এলেই এরাই খোঁজেন , ললিত
প্রগতির দৌড় শেখান ‘ জ্ঞানী ‘ , অপকর্মের হোতা
আমজনতার মুখে কুলুপ , অনুভূতি ভোঁ
চেতনার চাঁদ , মঙলালোক — জ্বালা
অবশিষ্ট তিন চৌষট্টি , ধান্ধার
ইচ্ছে মতো ভাঙো গড়ো , ধর্ম-দেশ
জাতি সত্তার স্মারক ভেঙে , মু
মুখোশপরা বর্ণচোরা , তোমার বুকে
অর্বাচীনের আদিখ্যেতায়- নামছে ক
গাঁও গেরামের গরীব গুর্বা , লা
অষ্টপ্রহর জীবন যুদ্ধ , স্বপ্ন
নেই প্রযুক্তি , উন্নত বীজ—জল বা সারের যোগান ,
রক্তচোষা মহাজনেও, সুযোগ মতো ভো
সম্বল তাদের কায়িক শ্রম , মনে ধ
দাও খোঁজে তাও এলিট শ্রেনী , যা
সত্যি যে চায় বোশেখ বরণ- সর্বজনীন খুশি
মন মাঠে তার ফলাক ব্যাপক, নতুন
সবার দুঃখে বুক পেতে দিক , সবার
মাটি-মানুষ আপন করে , বলুক , ‘ভালোবাসি ।
উদয়াস্ত খেটে যেজন , দেয় তোমা
তাকে নিয়েই মস্করাই এই – প্রাপ্য কি আর তাহার ?
না দাও সম্মান দিও না তায় , আদি
মানুষ ছুঁয়ে থাকো পারলে , মানু
অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ছে
অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ছে,
ভেঙে যাচ্ছে প্রান্তিক বিশ্বাস
শেকড়সন্ধানী ইচ্ছেদের উচ্ছেদে
কাছের মানুষ ,
আশা ছেড়ে দেওয়া মানুষের সংখ্যা
অথচ গা করছে না কেউ–
ভাবছে, এ তো আমার একার সমস্যা ন
আপাতত গা বাঁচিয়ে, নিজের লাভটা
যেনতেন করে অঙ্ক মিলিয়ে নিলেই হ
তারপর যথাসময় আরশ হতে নেমে
আসবে গোলাপ ছড়ানো সুদিন ।
ছড়িয়ে পড়ছে ঘোর অমানিশা
দাহকালের আতঙ্ক আগাগোড়া ,
শিরদাঁড়ার সংকটে আমরা সবাই ।
অথচ তোমার ক্ষমাহীন নির্লিপ্ততা
নির্বিকার লিখে যাচ্ছ সুদিনের মু
একবারও ভাবছো না, আগামীর ভিত যে
গিলোটিনে দিন
এমনই হয়—হবে এমনই, গিলোটিনে দিন
অনুভবে তৃণ থাকবেই ব্যেপে! অথবা
চেপে নিঃশ্বাস, পিষে বিশ্বাস ফা
গোছাবে গল্প, মোহরের ঘড়া! ধরা
বানিয়ে ধূর্ত এমন করেই বাজাবে ব
ভূগোল-গুগল করবে কী তার?
মিলবে অনেক বাক্য বণিক জিতবে কথা
মনের ব্যথায় যতোই ফুলেরা থাকুক
মিথ্যে জিইয়ে লুটবে বাজার, লক্ষ
কোটির খেলায় গুম বা গায়েব সত্যে
নটি বিনোদিনী সাজবেন সতী, দ্রৌ
থাকুক না যতো পতি-উপপতি ! অগতির
আঁকড়ে তাদের আমাদের দিন , আহা
বাদ্য বাজাই , বাসর সাজাই ; রসে
বংশী বাজাক তমাল তলায় ! গলায় গলা
মিলেমিশে থাক ভিটামিন ভোগী , যো
কথা নয় কাজে লেখে পরিচয়!
নন্দ ঘোষের ঘাড়েই ঘোড়েল রেখে
গোছাক কাহিনী, লুটেরা বাহিনী করু
হাতি-গণ্ডার, মিঠা-মণ্ডার মহা
চলতে থাকুক, কী বা প্রয়োজন জবা
ত্রাহির শাসন সয়ে সাধারণ শিখে নি
কিংবা ভাঙুক অপনিয়মের অসুরের খাঁ
পাবে কিছু লোক নিজেকে যে ভাবে এ
তোমাকে নিয়ত বানাতে ভোদাই সদা ত
কীসের যুক্তি ! ধার ধারে কার —
ঘাড়ে কটা মাথা, চাও যদি ফের তথ্য-প্রমাণ ,
তুমি কি দামান ! ভোলো এই সুর, হ
অন্ধ বধির, কোন স্পর্ধায় ভাগ নি
মাখন-দধির ?
থাকবে কতক চতুর গোয়াল, সরাবেন আ
বিনা দুধে দই বানাবেন সই ! বিনা
গদি সমাচার, দেখবে-শুনবে বলবে না কেউ
শ্বাপদ ও ফেউ, দল বেঁধে রোজ দে
যদি কিছু কই থাকবে না ছাল চামড়া পিঠের
তারচে আমরা চুপ থাকি সবে , যেন
শুনি নাই কিছু , উঁচু-নিচু পথ ভা
হই আগে পার !
***************************