আজিজ কাজলের কবিতা
প্রোটিন বাহাদুর
সাপ। পৃথিবীর অপ্রতিরোধ্য শক্তিশালী প্রোটিন তারাও
শরীরে গেঁথে নিয়েছে; তুমিও কাগজে-ধরেছো মগজে বিষ,
ক্ষতিকর মারণাস্ত্র।
পুরো পৃথিবীটাই এখন অবিষ্ফোরিত বোমা
দেখো তোমার লালা থেকে ঝরে পড়ছে শ্লেষ
প্রতিদিন খাও বনজপাতা, অবিমিশ্র পাহাড় জঙ্গল,
পরিপার্শ্ব বাও-প্রেম—এই অবেলা কুলঘাটে দাঁড়িয়ে
আছি ভেষজ-স্রোতস্বতী।
এই যাতনা শিসে
তোমরা যারা চিরল পাতার চাঁদোয়া দিয়ে ধুয়েছিলে প্রতিটি
জোছনা। নাগরিক রুচিবোধ গড়া ওঠার দিনে নিজেকে আরোকিছু ভাবতে পারো।
আমি তো ধনেশ পাখির ঠোঁট থেকে
ধরেছি এলো-পায়ের সুর; বুঝতে পারলাম আসলে তুমি
পাখি নও! এই অবোধ-সবুজমরমগুলা তোমার গায়ে
লাগে না এখন।
এরই মাঝে বিশ্বরম্ভার আরো যতো রহস্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে
গেলো—তুমি চিরকাল আহাম্মকের মতো এখানেই পড়ে
রইলে।
শরশয্যা
মোহের মোড়ল তুমি, মস্তিষ্কের আলোয় আলোয়, ধুম-করে
লাগাও ফনা
ধরিয়ে দাও আগুন, পৃথিবীর ভাতের থালায়; বাড়াও অস্ত্র
বেচা, খুন; প্রত্যেক মানবিক পাখির ডানায় লাগিয়ে দাও
শজারু-শলাকা
কোটি কোটি নিরীহ প্রাণ মরছে, স্বাদের জলাধার বিল-ঝিল,
সন্তান সম্ভাবা-মাটিগুলো হয়ে গেছে অক্ষমের পুত
মানব ধ্যান, খাবার-দাবার সবকিছু বিশাল বিশাল
খামার বাড়িতে আটকে যাচ্ছে। নাই কোন বোধ,
আমিও হই পাগলিওয়ালা, পুতুল নাচের নট।
ঈশ্বরের তীর্থে মারো ছুরি আরও, লাল অক্ষর-দানায়
ঝাঁঝরা করো নরম বাতাস। তোমার আত্মার পাখি
কান্নারক্রুশ হয়ে ওড়ে ওড়ে কোথায় হারায় তব জঙ্গল-বন্ধু—জানো কী?