আজিজ কাজলের কবিতা
নতুন ধানে ॥
নব চালের ভ্রুণ মেখেছি বেটে রেখেছি গন্ধ ভাদালি পাতা।
জরা দিনকে ফেলে খুলি সম ছন্দের ধান মাখা বড় খাতা
অসাম্প্রদায়িক পাতায় ঝুলে রাখি নব-যত চুলের খাঁটি
ভাটির মাচানে তুলে রাখি মূল্যবোধের শত-মসৃণ বাটি।
ভাটির নামে মাটি-খামে নব ধান্য করি তোমাকে প্রার্থনায়
নিজের নামে জশ করি আশা ধরি ভাটির ভুল যাতনায়
মুক্তিযুদ্ধ-চেতনারে ভজি নবফুলে শত গুণপাখি ছই
এক মানচিত্র সবুজ স্নানে করি সুর পান সুগন্ধ জুঁই
নাগরিক পত্র নাও ॥
মাঠের খনিজ পানি আলপথ কবে গেছে ভেঙে
আছে অবশিষ্ট কঙ্কাল অথবা মানসিক ক্ষতি।
ভাটির পুতুল ভেবে প্রতিদিন হয়েছো ধর্ষকামী—
আপনা মাংশে, মা দেবতারা এখনো বাড়ি খায়
নহর ভরা পাশে তার ফুলে ওঠা দুধের নদী।
প্রযুক্তিকালের মানুষ-পাখি স্বরে ও স্বভাবে
এখনো পোষে রাখে কোটি কোটি অন্ধকার—
অসহায় মানবিক পাখি দ্বিধা ও সন্দেহে
প্রতিদিন লুকিয়ে রাখে সুবোধ পাখির বোল।
মমতাজ নিম সাবান ॥
দলা সাবানের ফেনা-বাষ্প মেঘ থেকে রোদ কিনি প্রতিদিন; আমার হাজার বছরের
পুকুর ঘাটের গল্প;
দিঘি-রাণির লবঙ্গ সুন্দর চেহারায় লেগেছে কোভিড-ভুল
অথচ এখনো ভরসা করি আলমের দোকানের মমতাজ নিম সাবান— দানব নখরে ধাওনি মারার
ব্যগ্র নিয়ে,
রাজ-দীঘির বড় স্বপ্ন নিয়ে সে হাঁটছে— আমিও আলাঝালা রোদ গায়ে মাখি;
কীর্তিনাশা বমন শরীরে ধরেছি !