আজিজুল রমিজ
আগুন শরাব
কী আগুন খেলে জীবন ভুলা যায়?
তেমন কোনো নেশা নেই, ফুল নেই-
নেই কবিতা জীবনের অনল নেভানো যায়।
নেই কোনো দেবালয়,পূজো নেই, রাজমহল নেই,নেই কোনো আম্রপালি
নৃত্য দেখে যার নিভে কিছুটা আগুন
শুধু কুলকাঠ হয়ে নরকের আগুনে
জ্বলতে থাকাই কি জীবন?
এই-যে অনন্ত তৃষার্ত জীবন
কেউ বলেনি এই নাও পথিক এক আজলা জল
না প্রেমিকা,না কোনো ঈশ্বর।
শৈশব-কৈশোরে সেজদা দিতে দিতে দুই হাঁটুতে ধারণ করেছি দাসত্বের চিহ্ন
একজনই মেহবুবার নামে
তারপর –
আরও কত মেহবুবার পায়ে করেছি সেজদা
কেউ গুছিয়ে দিতে পারেনি এই মানুষ জীবনের অনন্ত তৃষার্ত অন্ধকার।
না কোনো মেহবুবা,না কোনো মহান মেহেবুব।
মানুষের ভালোবাসা
ফুলেরা বাগানে ফুটে হেসে
মালি জল দেয়,নিয়মিত যত্ন নেয়
ফুলেরা ভাবে মানুষ কত সুন্দর!
একদিন-
ভালোবাসতে বাসতে মানুষ
ফুলেদের গলা কাটে
আমলা মন ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখে বিপণীবিতান।
কৌরাল পাখি
আম্মা,তুমি মনে করো না আমি মরে গ্যাছি
কবরের উপর ঘাস গজিয়েছে
আমি মরে গেলেও কবরের ঘাসে
তোমাকে কাছে পাওয়ায় দীর্ঘশ্বাস থাকবে
আমার পীঠে হিমালয় পর্বত
হাঁটতে পারছি না আম্মা
হামাগুড়ি দিয়ে শৈশবের মতো
তোমার কাছে আসতে পারছি না।
আমাদের বাড়ির পেছনের গাবগাছটিতে
প্রতিরাতে একটি কৌরাল পাখি কাঁদে
আমার জন্মের আগে পাখিটি
জন্মেছে
আমি মরে গেলেও পাখিটি
জানবে না- আমি হারিয়ে গ্যাছি
পাখিটি তখনও কেঁদে কেঁদে রাত্রি ভাঙবে।
======================