You are currently viewing হেলিকপ্টার ও সোনার তলোয়ার >  খালেদ হামিদী

হেলিকপ্টার ও সোনার তলোয়ার > খালেদ হামিদী

হেলিকপ্টার সোনার তলোয়ার

খালেদ হামিদী

কিস্তি: ছয়

 

১১

খোকনের বন্ধু হয়ে-ওঠা সন্ত্রস্ত অলিভ কিভাবে ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করে? মাঝেমধ্যে ভেবে পায় না কাজল। এই স্নাতক রুমমেটের সাথেই বেশি সখ্য গড়ে ওঠে অলিভের। প্রকল্প ব্যবস্থাপকের সচিব হিসেবে মিনিটে আশিটি শব্দ কম্পোজ করার দক্ষতা অর্জনের সাধনায়, তাও ল্যাপটপে, প্রায়ই আঙুল নাচায় চব্বিশ বছরের যুবক কাজল। ফাঁকে ফাঁকে বাসায় নানা বিষয়ে রসিকতায় সে সপ্রতিভ হলে অলিভ প্রাণবন্ত বোধ করে। মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি  পেরুতে না-পারা বাকি তিনজন ক্লিনার হলেও কাজলের ল্যাপটপে সকলে মিলে ওরা বাংলা গান শুনে, হিন্দ ফিল্ম এবং এমনকি নীল ছবি দেখেও উইক এন্ড ও হলিডের রাতগুলো আমোদে-বিনোদনে টইটম্বুর করে তোলে। ওদের ভিলার উত্তরে, লাগোয়া তিনটি বাসার পরেই, কিং ওয়াহিদ টাওয়ারের পায়ে গিয়ে শেষ হয় এলাকার ছোট্ট, পিচের রাস্তাটি। ভিলার সারির বিপরীতে এক তলা দোকানের সারি। ফলে যান চলাচলের কোলাহলমুক্ত বাসার এই সম্মুখ ভাগটা কখনো হঠাৎ দেশের বাড়ির উঠান হয়ে ওঠে অলিভের চোখে। টাওয়ার সংলগ্ন বিশাল সবুজ ডাস্টবিনটা কখনও দেশের বাড়ির পূর্ব পাশের দুর্বাঘাসময় টিলায় রূপান্তরিত হলে এই ভিলার সামনেই সে শুয়ে পড়তে চায়। কিন্তু স্মৃতি থেকে বাস্তবে পতিত হতেই বাসার দরজার পাশে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে পড়ে সে, কোনও দ্বাদশী চাঁদের রাতে।

 

ছুটির দিনে স্মৃতির উঠোনটায় পিঁড়ি পেতে বসে নেইল কাটারে নখ কাটে অলিভ। আর, ওর বাবার দুই কাকাতো ভাই কলিম ও জমির এসে আগের রাতে দেখা আলোকরেখার বর্ণনায় মুখর হন। তাহাজ্জদের নামাজের সময় আকাশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে আলোর আশ্চর্য এক রশ্মি তেরছা হয়ে অলিভের বাবার দাদীর ঘরে ঢুকতে দেখেন তারা। কিন্তু অলিভের সত্তরোর্ধ্ব ওই বড় মা, হালিমা খাতুন, কারোরই সে-সংক্রান্ত কৌত‚হলের জবাব দেন না। তিনি নিরবে এবাদত সারলেও পড়া পানি, তেল ও গামছায় গ্রামবাসীদের নানা বিপদ থেকে উদ্ধার করেন এবং তাঁর এই কৃতির খ্যাতি পাশের গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। পড়া গামছার বিষয়টিতে এখনও বেশ মজা পায় অলিভ। কারো ছেলে বা মেয়ে হারিয়ে গেলে দোয়া পড়ে ফু-দেয়া হালিমার গামছা বায়ুপ্রবাহের অনুকূলে কোনো গাছের ডালে বেঁধে দিতে হয়। বস্ত্রখন্ডটিতে উৎকীর্ণ অদৃশ্য দোয়া বাতাসে ভেসে শেষে হারানো সন্তানটিকে স্পর্শ করলেই সে খুঁজে পায় বাড়ি ফেরার পথ। না-দেখা এসব ঘটনাও অলিভের স্মৃতির অংশ হয়ে যায় কেবল নয়, সেই আলোকরশ্মিপাতের বিবরণে সে এখনো মুগ্ধ না হয়েও পারে না।

 

এদিকে কক্ষসঙ্গীরা এক সন্ধ্যায় ওর শঙ্কাগ্রস্ততার হেতু উপর্যুপরি জানতে চাইলে প্রেমিক মোহাইমেনের সংক্ষিপ্ত গল্পটা এই প্রথম বলতে শুরু করে অলিভ। কিন্তু হেলিকপ্টারের প্রসঙ্গ আসার আগেই আনিস ফোড়ন কাটে:

প্রিন্সের কল্লা কাটা হয় সোনার তলোয়ার দিয়া।

শুনে বয়সে সবার ছোট শিহাব বিস্মিত হলে আনিস আরো বলে:

হেরা অনেক অনেক বড় মানুষ। হেগো মরণও অসম্ভব দামী।

এ কথার পরে আড্ডায় প্রসঙ্গান্তর ঘটলে উড়ন্ত লাশের কথাটা আর বলা হয় না অলিভের। তাছাড়া এই মুল্লুকে ওর ঢের আগে ভিলার সঙ্গীদের আগমন ঘটায় কেচ্ছাটা শেষ করারও তাগিদ আর বোধ করে না সে। কেবল আসমান থেকে সেই রশ্মি আসার ঘটনায় সবাই থমকে যায়। এরপর থেকে কখনও হঠাৎ তাদের ভাড়াকৃত বাসাটির ছাদ থেকে কিংবা বাইরের কোনো উচ্চ দালানের জানালা ঘেঁষে স্বর্ণের তরবারির তির্যক পতন লক্ষ করে অলিভ। কিন্তু এতে সে ভীত না হওয়ায় নিজেই কিছুটা বিস্মিত হয়। তবে আনিস, সোহেল এবং শিহাবের সাথে অলিভের সখ্য ক্রমশ বাড়ে। তাদের সঙ্গে পালা করে ঘরের সব কাজ করা সংক্রান্ত ওর অনেক দিনের দ্বিধাও কাটতে শুরু করে। পাঁচ অবিবাহিত তরুণ মিলে পর্নো মুভি দেখলেও ওরা যে-যার সম্মান অক্ষত রেখেই চলে।

 

অনেকদিন পর, আরেক শুক্রবারে, অলিভের এক আত্মীয়ের বাসায়, মধ্যাহ্ন ভোজের দাওয়াত মিললে অলিভ ও কাজল জুমার পরপরই লিমোজিনে রওনা হয়। তারা শুমেসি এলাকার দিকে যাত্রা করে ধিরা মসজিদের কাছ থেকে আনিস, সোহেল ও শিহাবকে পিক করবে বলে। চল্লিশ তলা টাওয়ারটি ক্রস করার সময় সপ্রতিভ কাজল হঠাৎ বলে:

ভাগ্যিস দুবাইয়ের বার্জ খলিফার সমান উঁচা টাওয়ার এই দেশে নাই। থাকলে এখানকার মালিকেরা দড়িতে ঝুইলা জানলার কাচ মুছতে বাঙালিদেরকেই উপরে তুইলা দিতো।

অলিভ বলে আরেক কথা:

বার্জ খলিফার ছাদে খাড়াইলে ফিলিপিনো সুপারভাইজরের নাকি নিজেকে রাজা মনে হয়। এখানে তো ফিলিপিনস্-এর ক্লিনার নাই। বার্জ খলিফার জন্য কিছু ফিলিপিনো হয়তো স্পেশাল ট্রেনিং নিছে।

কাজল অলিভের প্রথম কথাটা ধরেই টান দেয়:

সুপারভাইজর বইলাই নিজেরে ওর ঈশ্বর মনে হয় নাই। ম্যানেজার কেউ হইলে তা-ই ভেবে বসতো।

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে কাজলের কথায় চলে আসে আরেক সোহেলের প্রসঙ্গ, ভিলায় যে অলিভেরই খাটে ঘুমাতো। চাপ দাড়িমন্ডিত একুশ-বাইশ বছরের প্রাণবন্ত তরুণ সোহেল গার্ডেনার পদে কনট্রাক্ট ভিসার চাকরি মেনে নিতে না পারায়, কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে, একদিন হঠাৎ হারিয়ে যায়। একবার শুধু সে মুচকি হেসে ঠাট্টার ছলে ইয়োরোপে পাড়ি জমানোর ইঙ্গিত দেয়। সেই মহাদেশে প্রবেশের সামর্থ্য ভিলার কারোরই না থাকায় পরে বিষয়টি সকলেই ভুলে যায়। অথচ নিরাপোষ কঠোর পুলিশ ও অসম্ভব সতর্ক সীমান্তসেনার নিরন্তর সক্রিয়তার এই ভূখন্ড থেকে কারো পক্ষেই কিছুতেই পালানো সম্ভব নয়। সোহেলের কোনো আত্মীয়স্বজনও এ দেশে না থাকায় কেউ পুলিশকে বিষয়টি জানানোরও সাহস করেনি, খুঁজে পেলে প্রশাসনিক বাহিনী তাকে রেহাই দেবে না বলে। তার কর্মস্থলে গিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। এসব শুনে অলিভ নিথর হয়ে পড়লেও চকিতে ওর মনে হয়, সোহেলের জন্যে অপেক্ষমাণ তারই দাদী কিংবা মা দোয়া পড়ে আমাদের পতাকাখানা দেশের সবচেয়ে উঁচু গাছটার মগডালে বেঁধে দিয়েছে। এখনো তা ওড়ার আর্ত শব্দ অলিভের কানে আসে। ওর এমন নিমগ্নতার এক পর্যায়ে তিন সঙ্গী লিমোজিনে ওঠে। ওদের আজকের উপার্জন নিয়ে কথা হয়। কিন্তু অল্প কিছুদূর এগিয়েই বাঙালি ড্রাইভার গাড়ির গতি কমালে সামনের সিটে বসা শিহাব ভয়ার্ত চিৎকারের আকস্মিকতায় বাকি চারজনকে প্রকম্পিত করে। সঙ্গে সঙ্গে সকলে একযোগে গাড়ি থেকে নেমে যে-যার ঢঙে সামনে তাকায়। নিচে পুলিশি প্রহরার তিন দিকে দর্শনার্থীর ভিড়। সমগ্র জটলার অনেক ওপরে ক্রেনে ঝুলছে মুন্ডচ্ছেদের পরে ডাক্তারি স্টিচিঙে জোড়া-দেয়া একটি মরদেহ। ধিরা মসজিদের সামনের মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণে এই ক্রেনটি দু’ঘণ্টার জন্যে রাখা হয় বলে জানায় মাইকে প্রচারিত ঘোষণার সফল অনুবাদক আনিস। শুধু নরহত্যা নয়, বলাৎকারের পর দুই নারীকেও হত্যা করে এই পাকিস্তানি আসামী। তাই আজ চার অপরাধীকে কাটা হলেও ক্রেনে তোলা হয় কেবল এই কুলাঙ্গারকেই। আনিস মাঠের মাঝখান থেকে নিহতদের রক্ত দ্রুত পরিষ্করণেরও প্রশংসা করে। এদিকে অলিভের হাত চেপে ধরে কাজল এই প্রথম নিজ প্রকৃতির বিপরীতে বলে:

অলিভ ভাই, আমারও খুব ভয় হয় এই দেশে।

শুমেসির দিকে লিমোজিন ফের রওনা দিলে চালক বলে ওঠে:

হগলের সামনে কাটার পরে মাঝে মাঝে এরকম ঝোলানো হয়। হুনছি প্রিন্স মোহাইমেনরে অন্যগো মতো লোহার কিরিচের কোপে না, সোনার তলোয়ার দিয়া কাইট্যাই এমন কইরা ঝুলাইছিল।

শুনে অলিভের ভীতির প্রথম হেতুটি হঠাৎ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু সে পুরোনো ঘটনা আর অংশত পুরাণ হয়ে-ওঠা জনশ্রুতির পার্থক্য বিষয়ে একদমই মুখ খোলে না।

 

১২

ফরহাদ তার প্রতি করুণাপ্রবণ নাকি তাকে সাহায্য করে পুণ্যতা কামায় নওরীন কখনো কখনো ঠিক বুঝতে পারে না। ফরহাদ খোকনের মামা মন্টুর সম্বন্ধি। স্বামী হিসেবে স্বল্পবাক লোকটার প্রায়-নৈমিত্তিক গাম্ভীর্যে কখনো বা অপ্রস্তুতও বোধ করে নওরীন। আল খোবারের কিং ফুয়াদ টাওয়ারের চতুর্দশ তলার অ্যাপার্টমেন্টে রান্না সেরে প্রায়ই খুব নিঃসঙ্গ বোধ করে সে। বিশাল কাচের দালানটির প্রতি ইউনিটে সক্রিয় সেন্ট্রাল এসির বদান্যতায় আরাম মেলে। কিন্তু প্রায়ই লিভিং রুমের কার্টেন সরিয়ে অনেক নিচে দৃষ্টি ঢেলে রাস্তায় ধাবমান বহুবর্ণিল গাড়ির সংখ্যাহীনতায় হারিয়ে যায় চব্বিশ বছরের এই তরুণী। অসংখ্য স্মৃতি পরস্পরকে বিদ্ধ করে। কালিয়াকৈরের প্রধান সড়ক আর অলিগলি জুুড়ে রিকশায় রিফাতের সাথে ওর বেড়ানোর অসংখ্য দৃশ্য একেবারে নাগালের মধ্যে চলে আসে। এভাবে হঠাৎ নওরীন কিং ফুয়াদ টাওয়ারেরই অদূরে ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে-পড়া রিকশায় রিফাতের সাথেই অপেক্ষমাণ দেখতে পায় নিজেকে। এদিকে ঠিক তখনই ল্যান্ড ফোন বেজে উঠলে ভুল ভাঙে, এ দেশে তো তিন চাকার কোনো যানবাহনই নেই! ফরহাদ ফোনে জানায় আজ দুপুরে সে লা  খেতে আসবে না। এতে নওরীন বিগত কয়েকবারের মতো ঠিক অসহায় বোধ করে না। কেননা ঢাকা থেকে এই আল খোবারে আসার দু’মাসের মধ্যেই সে জানতে পারে, এখানে স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সাথে যে-কোনো পুরুষের পক্ষে মেলামেশা দূরে থাক, সরাসরি কথা বলা পর্যন্ত অসম্ভব। তাছাড়া সহশিক্ষা যেমন নেই তেমনি কোনো নারী, বোরকাবৃত হয়েও, পুরুষের সহকর্মী হতে পারে না। উপরন্তু ঘরের বাহির হলে স্বামী-স্ত্রীকেও পরিচয়পত্র সাথে রাখতে হয়। তাই এই দফায় একা লা  সেরে এলিয়ে পড়ে নওরীন। কিন্তু তন্দ্রার নামে ধেয়ে আসে অতীতের ঘটনাপুঞ্জ। স্মৃতি স্বপ্ন হয়ে হানা দেয় ঘুমের মধ্যেও।

 

প্রায় দ্বিগুণ বয়সী ফরহাদ এখনো হঠাৎ ইংরেজিতে কথা বললে আগের মতো আর ভয় পায় না নওরীন। বরং এতে কিছুটা অহংকারও হয় তার, স্বামী দ্য সাউদি এমেরিকান ব্যাংকের অন্যতম কর্মকর্তা বলে। ওদিকে রিফাত কল্পনাকেও হার মানিয়ে বদলে গেলে নওরীনের পড়াশোনা ভেস্তে যায়। রিফাতের বিয়ের প্রস্তাব নওরীনের প্রকৌশলী পিতা সরাসরি নাকচ করে। প্রত্যাখ্যানের অনতি পরেই মা-বাবাকে ত্যাগ করার সেই বিরাট ভুলটি যথাসময়ে বুঝতে না  নওরীন। কিন্তু অনুতাপে সে একাকী কান্নায় ভেঙে পড়ে আজও। পালিয়ে বিয়ে করার পরপরই বাবা তাকে ত্যাজ্য করলে গৃহশিক্ষক রিফাত হার্মাদে রূপান্তরিত হয়। ‘তোর বাপের এতো সম্পত্তির কিছুই তো আর তুই পাবি না। তোকে মাগনা কেন খাওয়াবো!’ ব’লে নওরীনকে প্রহার করতে শুরু করে সে। নিপীড়িত হতে হতে এক পর্যায়ে সাতাশ বছরের হতদরিদ্র গ্রাম্য যুবক রিফাতের পায়ে মাথা কোটে নওরীন। এতে মুষ্টিতে সজোরে চুল চেপে ওকে টেনে তোলে রিফাত আর টিন শেডের এক রুমের ভাড়াকৃত বাসার চালা ফাটিয়ে হুকুম দেয়: ‘মুখ ধুয়ে সেজেগুজে রেডি হ! দেরি করবি না!’ কিন্তু যাত্রার গন্তব্য জানতে চাইলে নওরীনকে ইলেকট্রিক শক দেয়ার উদ্যোগ নেয় রিফাত। তৎক্ষণাৎ করজোড়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে রেহাই মেলে তখন। কিন্তু এর পরের অধ্যায় জেনেও ফরহাদ এখনো ওকে কোনও প্রশ্ন না করায় বিস্মিতই হয় নওরীন। ওর সব অভিজ্ঞতার বিবরণ ঘটক ও সংশ্লিষ্ট কতিপয় লোকের মুখেই শোনে ফরহাদ। বিয়ের পরে, গেলো দুই বছরে, ওসব বিষয়ে ফরহাদের কোনো কৌত‚হলই না দেখে তার প্রতি ক্রমাগত বেশি নির্ভরশীলতা বোধ করে নওরীন। বিয়ের প্রথম ছয় মাসেও পুরুষ নামের নৃশংসতা থেকে তার মনস্তাত্তি¡ক মুক্তি মেলেনি। এদিকে বিবাহের প্রথম আড়াই মাসেও প্রকৃত বাসর বা ফুলশয্যা না জুটলেও ক্ষুব্ধ হয়নি ফরহাদ। নওরীনের আশ্চর্য লাগে, এরকম সম্মানিত-সুযোগ্য পুরুষ কিভাবে এমন সহনশীল হতে পারে!

=============

~~~~~~~~~