You are currently viewing হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা 

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা 

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা 
সাদা কালো মা
 

ভূগোলের পাতা আর ম্যাপের

অনেক অনেক বাইরে দিয়ে

সাদা কালোয় তুমি নদী

আলো আলো সাদা পায়ে

হাঁটি হাঁটি পা পা করলেই বৃষ্টি নামে

তারপর ভরা শরীরে সোজা রান্নাচালায়

আগুনপারে জল চালের সংসারে

কালো মুখের রঙ ফেরাতে মুখর

আগুন তাপে

সাদা ভাতের সংসারের থালায়

সাদা কালো মা

ছাদ থেকে যতটুকু প্রদেশ দেখা যায় 

ছাদ থেকে যতটুকু প্রদেশ দেখা যায়

তার থেকেও কোনো গভীরতর প্রদেশে

আমাদের সকালের যাবতীয় আলো মজুত

আমরা জানলার গর্ত দিয়ে একটি বায়স্কোপ দেখছি

যেখানে নায়ক একাই একটা ফুটবল নিয়ে

সারা মাঠ জুড়ে কোমর নাচিয়ে বেড়াচ্ছে

কে যেন আলোর কথা বললো আর

সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলের বেলুন চুপসে গিয়ে নায়ক

গোলপোস্টের নীচে এসে দাঁড়ালো

কালবৈশাখীকে যেন বলা ছিল

টিনের চাল উড়ে যাওয়ার মতো একে একে উড়ে গেল

নায়কের ছাল চামড়া আর চোখের লাল রঙ

জানলা থাকুক, বায়স্কোপ থাকুক,

মাঠ থাকুক, নায়ক থাকুক, কোমর নাচানো থাকুক

শুধুমাত্র জল খাওয়ার না চান করার না ডুবে মরার

সেটা নিজেরাই ঠিক করে নিক।

ঘন্টা বাজলে

ঘন্টা বাজলেই মনে হয়

কোথাও যেন দৌড় শুরু হল

পর্দা সরে গেল

বেরিয়ে এলো সূর্যের আগুন শরীর

গলে গলে পড়ছে কালো রস

রাস্তার ধুলোর মতো জেগেছিল

যে সব ধূসর পোকা

আগুনে তাদের খোলা পুড়ে যাচ্ছে

গুটিয়ে যাচ্ছে যাবতীয় সাজানো দোকান

একটু পরেই শুরু হবে রঙ খেলা

আগুনের রঙ

গায়ের চামড়ায় ধরা পড়ে যাবে

কত গভীরে লুকিয়ে গান ।