You are currently viewing সিঁড়ির অন্ধকার জলঘরে কয়েকটি পা/ হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

সিঁড়ির অন্ধকার জলঘরে কয়েকটি পা/ হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

সিঁড়ির অন্ধকার জলঘরে কয়েকটি পা
—————————————————-
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

এক একদিন এমন হয় সারারাত রাস্তা পরিষ্কার করি। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় দেখতে পাই নিজের শরীর। খাঁজে খাঁজে ময়লা। সকালে উঠে দেখি রাস্তায় ধুলো উড়ছে।

 

আগে মুখ খুললেই মহাভারত হয়ে যেত। এখন একটা বাক্যেই জীবন শেষ করে ফেলি ।

 

বাঁশিসুরের যে পথ ধরে নদী বয়ে গেছে তার ডানদিকে ছিল আমাদের বাড়ি। আগে একছুটে পৌঁছে যেতাম। এখন দিক ভুল নিয়ে বড় হাঁপিয়ে যাই। দেখি দুটো বটগাছ অনেকখানি ঝুঁকে প্রায় ধুলোয় মিশে গেছে।

 

অনেকটা পথ পার হয়ে এসে, অনেকগুলো জামা বদল করে, বেশ কিছু খাতার পাতা শেষ করে এখনও বেশ অস্থির।

 

বুধবার খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ো। বুধবার কি রোদের তেজ বেশি থাকে? পাশাপাশি দাঁড়াবার জায়গাগুলো কি ছোটো হয়ে আসে? অথবা দিনের সেই বিশেষ চলাচল যার জানলাগুলো খুব ছোটো ছোটো, নয়তো বা অনেক অনেক উঁচুতে। হাত উপুড় করতেও অনেক সময় লাগে, মনের সায় পাওয়া যায় না কিছুতেই। তাছাড়া বিপরীতে হেঁটে গেলে ঘাম হয় খুব।

 

শ্রাবণের বৃষ্টিতে সাদা কালো শাড়ির কথা মনে পড়ে। ছবিঘরে একা বসে থাকি। পায়ে পায়ে বারান্দায় এলে বৃষ্টি ধরে আসে। মাটির গন্ধ পাই। সাদা কালো শাড়ি তখন দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ।