You are currently viewing সমতার পৃথিবী/ মনজুরুল ইসলাম

সমতার পৃথিবী/ মনজুরুল ইসলাম

সমতার পৃথিবী/ মনজুরুল ইসলাম

প্রেরণা এবং ঝরনা। দৌড়ুচ্ছে দুজনই। আনন্দনগর সরকারি কলেজ মাঠে। দৌড়ুচ্ছে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায়। শিশির ভেজা ঘন সবুজ ঘাস। সে ঘাসেই লেপ্টে যাচ্ছে ওদের কোমল পা। শীতের সকালে নিস্তব্ধ মাঠটি। মাঠের চারিদিকে সারি সারি বৃক্ষ। বৃক্ষের মাঝখানে গাঁদা ও গোলাপের ছোট ছোট বাগান। সূর্য়ের মিষ্টি আলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ফুল ও বৃক্ষময় সবুজাভ মাঠে। কিছুদিন পর এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে বার্ষিক ক্রীড়া। প্রতিবছরই হয়। তাই এত কঠোর অনুশীলন ওদের। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করবে শিক্ষক, কর্মচারী এবং তাদের সন্তানরা। খেলা শুরুর পূর্বে প্রবল আগ্রহ কাজ করে ওদের মাঝে। দুজনই ভালো দৌড়ুলেও প্রতিবারই প্রথম হচ্ছে ঝরণা। ঈর্ষা না করে বিষয়টিকে আনন্দের সাথেই মেনে নিচ্ছে প্রেরণা।

‘তুই ফার্স্ট হবি আর আমি হবো সেকেন্ড।’ অনুশীলনে যখনই পরাজিত হয় তখনই গোলাপের পাঁপড়ির মতো ঝরে পড়ে কথাগুলি প্রেরণার হাসোজ্জ্বল মুখ থেকে।

‘তাই যেন হয়। শুধু দৌড়ে কেন, আমরা যেন সব কিছুতেই জয়ী হতে পারি। কি বলিস? আর চেষ্টা করলে তো তুইও প্রথম হতে পারিস।’ প্রত্যুত্তরে এমন প্রত্যয়ী উচ্চারণ ধ্বনিত হয় ঝরণার কোমল কণ্ঠে।

ওদের এই কথাগুলি যেন শুনতে পায় প্রকৃতি। মানুষে মানুষে হিংসের পরিবর্তে হৃদ্যতার মনোভাব প্রত্যক্ষ করে প্রকৃতিও প্রশান্তি অনুভব করে কিনা তা উপলব্ধি করা দুরূহ। দুজনের মাঝে গভীর বন্ধুত্ব। পড়াশুনা করে আনন্দনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্কুল এটি। সবে সপ্তম শ্রেণীতে উঠেছে ওরা। এখনও ক্লাস শুরু হয় নি। প্রেরণার বাবা-মা আনন্দনগর সরকারি কলেজের শিক্ষক। ঝরণার বাবা ওই কলেজেরই কর্মচারী। কর্মচারীর সন্তান বলে ঝরণাকে কখনই অবজ্ঞা করেন না প্রেরণার বাবা-মা। মেয়ের বান্ধবী হিসেবে প্রাপ্য  স্নেহটুকুই প্রদান করেন। কলেজ কোয়াটারেই থাকেন তারা। ঝরনারা থাকে পাশের কর্মচারী কোয়াটারে।

মাঠের পাশেই প্রেরণাদের কোয়াটার। তাই অনুশীলন শেষে বান্ধবীর কাছ থেকে বিদায় নিলো ঝরণা। যাত্রা করলো বাসার উদ্দেশ্যে। বাবার আদেশের বাইরে যায় না ঝরণা। পড়াশুনা করে রুটিন মেনে। মেয়েকে নিয়ে বাবার প্রত্যাশা হিমালয়সম। কর্মচারী হলেও পড়াশুনার ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক তিনি। ঝরণার মাঝে সে সম্ভাবনাও দেখতে পান। ক্লাসের ফার্স্ট গার্লের সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব সে প্রত্যাশাটিকে আরো জীবন্ত করে তোলে। প্রেরণাদের বাসা গেলে কখনই আপত্তি করেন না।

যখনই ওদের বাসায় যায় ঝরণা, দুজন মিলে বুঝে বুঝে পড়ে । কোনো বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে সংকোচ না করে প্রেরণার কাছ থেকেও বুঝে নেয়। তাছাড়া প্রেরণার মা প্রায়ই তুলনামূলক কঠিন বিষয়গুলো সহজভাবে বুঝিয়ে দেন। যথাসম্ভব ভালোবাসেন মেয়ের বান্ধবীকে।  বাসায় কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেই আমন্ত্রণ জানান। কর্মচারী বলে কর্তৃত্বসুলভ আচরণটি প্রত্যক্ষ করা যায় না তাদের মাঝে । শ্রদ্ধার জায়াগাটিতে তারা থাকেন অত্যন্ত স্বচ্ছ। আন্তরিকতার এই সুযোগটিকে কখনই ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করেন না ঝরনার বাবা। কর্মকর্তা হিসেবে যতটুকু সম্মান প্রাপ্যতা ততটুকুই সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রদানের চেষ্টা করেন তিনি। নমনীয় ভাবটি ধরে রাখেন যে কোনো মূল্যে।

২।

প্রায় পনের দিন ধরে অনুশীলন করে আসছে ওরা। আজ কাঙ্ক্ষিত প্রতিযোগীতা। বর্ণিল সাজে সেজেছে আনন্দনগর সরকারি কলেজ। দক্ষিণ প্রান্তে মূল মঞ্চ। লাল গালিচা দিয়ে আবৃত করা হয়েছে মঞ্চটিকে। বসবার আয়োজন করা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের। মঞ্চের সামনেই পতাকা স্ট্যান্ড। পতপত করে উড়ছে জাতীয় পতাকার সাথে অলিম্পিক পতাকা। উত্তর প্রান্তে সাধারণ দর্শকদের জন্য তৈরী করা হয়েছে আর একটি মঞ্চ। মাঠের কেন্দ্রে স্থাপিত হয়েছে বিজয় স্তম্ভ। বিজয় স্তম্ভের পাশেই লাল-সবুজ রঙের কাগজে মোড়ানো দীর্ঘাকৃতির একটি বাঁশ ও দণ্ড। সেই দণ্ডটি থেকে প্রলম্বিত রশি টেনে বিস্তৃত করা হয়েছে চারিদিক। রশিতে জড়ানো হয়েছে কাগজের ফুল। এবং মাঠের চারিদিকে সাদা রং দিয়ে সাজানো হয়েছে মাটির খুটি। কাগুজে ফুল ও সারিবদ্ধ খুটি বৈচিত্র্য এনেছে পুরো আয়োজনে। মাইক থেকে অনবরত ধ্বনিত হতে থাকা দেশাত্মবোধক গান সবার মননে সৃষ্টি করছে বিপুল উচ্ছ্বাস।

ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠিত হয়েছে কলেজ শিক্ষার্থীদের কিছু ইভেন্ট। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে প্রেরণা ও ঝরণা। বসে আছে মূল মঞ্চের পেছনে খেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্ধারিত আসনে। ‘এবার অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষক ও কর্মচারীর সন্তানদের একশত মিটার দৌড়, বালিকা প্রতিযোগীদের প্রথমেই ট্র্যাকে গিয়ে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’ মাইক থেকে ঘোষণাটি শুনে দ্রুত  ট্র্যাকে গিয়ে দাঁড়ালো দুজনই। পূর্বদিকের শেষ প্রান্তের ট্র্যাকটি বেছে নিলো ঝরণা। পাশেই বান্ধবী প্রেরণা।

দুজনের গায়ে লালসবুজ বর্ণের ট্র্যাকস্যুট। খেলা উপলক্ষে উপহার দিয়েছেন প্রেরণার বাবা-মা।এই পোশাকে পেশাদার খেলোয়াড়দের মতোই মনে হচ্ছে ওদের। লম্বা হওয়ায় চুলগুলি বেনী করে রাবারটি সাবধানে লাগালো ঝরণা। চুল ছোট হওয়ায় বেনী করবার প্রয়োজন হলো না প্রেরণার। দুজনের লক্ষ্যই এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার। তাদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সেটিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মোট দশজন দাঁড়িয়েছে ট্র্যাকে। গুনে দেখলো অনুসন্ধিৎসু ঝরণা। মনের ভেতর উদ্বিগ্নতা কাজ করলেও প্রচুর আত্মবিশ্বাসী ও। প্রথম তাকে হতেই হবে। এমন একটি দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ের সুর ওর মননে।

‘এত চিন্তা করছিস কেন ঝরণা, তুই ফার্স্ট হবি, দেখে নিস?’ শ্যামলা রঙের মায়াভরা মুখখানির দিকে তাকিয়ে বললো প্রেরণা।

বান্ধবীর কথায় পূর্ণ আস্থা পেল ঝরণা। এবং মৃদু স্বরে তাকেও বললো, ‘তুইও ভালো করে দৌড়াবি।’

এবার টিভিতে দেখা এ্যাথলেটদের মতো করে চর্চা করতে থাকলো বিভিন্ন কৌশল।মাথা নিচু করে সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়ে একটু দৌঁড়ে আবার পেছনে আসতে থাকলো। বেশ কয়েকবার এরকম করলো। এরই মাঝে রেফারি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শরীর চর্চা শিক্ষক এসে দাঁড়ালেন। পাশে দাঁড়ালেন খেলা পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দীর্ঘদেহী একজন কর্মকর্তা। তাদের দেখে দুজন দুজনার কাঁধে হাত দিলো। দাঁড়াবার চেষ্টা করলো ঘনিষ্ঠ হয়ে। মাঝারি গড়নের মধ্যবয়সী শরীরচর্চা শিক্ষকের মধ্যে প্রতিভাত হচ্ছে প্রবল আন্তরিকতা। তার বাম হাতে একটি ছোট্ট নোটবুক। সেখানেই টুকে নিলেন তিনি খেলোয়াড়দের নাম। এবং পরক্ষণেই সবাইকে বলতে থাকলেন খেলার নিয়মকানুন। খেলোয়াড়দের পেছনে দাঁড়িয়ে নামগুলি পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা।

‘সবাই রেডি।’

‘জি রেডি? ’  হাত উঁচিয়ে দশজনই ইঙ্গিত দিলো।

‘ওকে, একবার বাঁশি বাজাবো। বাঁশি বাজালেই দৌড় দেবে। বুঝতে পারলে।’ বাঁশিটি দেখিয়ে বললেন রেফারি। এবার বাঁশি বাজাবেন এমন সময় পেছন থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থামালেন তাকে।

‘দাঁড়ান। একটু সমস্যা হয়ে গেছে। ঝরনা, সাধনা, শ্যামলী! এরা তো সবাই কর্মচারীর মেয়ে! এরা এখানে কেন? এই ঝরনা, তোমার বাবা কেরানী না, আর তোদের মা ঝাড়–দার না? বলেই অগ্নিশর্মা দৃষ্টিতে তাকালেন রেফারির দিকে। ‘এদের জন্য তো এবার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবার শেষে দৌড়ুবে এরা। এদের সরিয়ে দিন।’ ক্রদ্ধ স্বরে রেফারিকে বললেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

‘‘কিন্তু স্যার, ঘোষণায় তো একসাথেই হবার কথা বললো।’সংকোচ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতাকে বলামাত্রই তিনি আবারো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন- ’’ঘোষণা ভুল হয়েছে, কলেজের নতুন সিদ্ধান্ত। আপনি শুরু করুন। আমি দেখছি।”বলার পরপরই আবারও পেছনে এসে দাঁড়ালেন তিনি। ঝরণা, সাধনা এবং শ্যামলীর একদম কাছে আসলেন রেফারি। অনুভব করতে পারলেন ওদের মানসিক অবস্থা। উপায় না পেয়ে জড়িয়ে আসা কন্ঠে ওদেরকে বললেন, ‘মামনি, তোমাদের যে সরে যেতে হয়।’ কতকটা নিরুপায় হয়েই ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে ট্র্যাক থেকে সরিয়ে দিলেন তিনি।

অপ্রত্যাশিত হতাশা নিয়েই হয়েই ধীরে ধীরে মাঠ ত্যাগ করতে শুরু করলো ওরা। চোখগুলি ধূসর হয়ে উঠলো সবার। মুখগুলি হয়ে উঠলো রক্তের মতো লাল। এমন পাশবিক আচরণের মুখোমুখি হতে হবে ওদের, ভাবতে পারে নি কখনো। বিষয়টির তাৎক্ষণিক ঘোষণা হৃদয় বিদীর্ণ করলো ওদের। মাঠ ত্যাগের এমন অস্বাভাবিক দৃশ্যটি চোখেও পড়লো সবার। একটি মর্মান্তিক বেদনাবিধূর পরিবেশের আবহ যেন ফুটে উঠলো মাঠে থাকা দর্শক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে।‘ খেলার মাঠ তো আর অফিস না, এখানে এত বিভাজন কেন?’ বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা গেল এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। সাহসী কিছু শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিকতায় সিদ্ধান্ত হলো প্রতিবাদের। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেরণার বাবাসহ দু’একজন শিক্ষক। শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা যাই হোক না কেন- তাদের কাজ যে সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি না করে বরং তা নির্মূল করা সেটিও বোঝালেন দ্রুততার সাথে।

স্যারদের কথায় দারুণভাবে উদ্দীপ্ত হলো সবাই। ‘যাই ঘটুক, বৈষম্যের শেকল ভাঙতেই হবে।’এমন একটি প্রত্যয় নিয়ে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে গেলো ওরা। আসলো প্রধান অতিথির একদম কাছে। ‘কোনো সমস্যা?’ পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বুদ্ধিমত্তার সাথে ওদের জিজ্ঞেস  করলেন প্রধান অতিথি।

‘স্যার, ঝাড়ুদার হোক আর অফিসারের মেয়েই হোক, ওরা তো শিশু। ওদেরকে একসাথে দৌড়ানোর ব্যবস্থা করুন। এটি আপনার কাছে আমাদের দাবী।’ অত্যন্ত বিনয়ের সাথেই বললো শিক্ষার্থীরা। এরই মাঝে ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে এসেছে প্রেরণাসহ আরো কয়েকজন। দাঁড়িয়েছে প্রধান অতিথির সামনে। দৌড়ুলে একসাথেই দৌড়ুবে, আলাদা নয়- এমন একটি মনোভঙ্গি প্রতিভাত হলো এই মুহূর্তে। উপায় না পেয়ে দৌড় স্থগিত রেখেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

‘তোমরা কি ওদের সাথে দৌড়ুবে নাকি আালাদা?’’ ওদের দিকে তাকিয়ে কোমল গলায় প্রধান অতিথি জিজ্ঞেস করলেন প্রেরণাদের।

‘‘না স্যার, দৌড়ুলে আমরা একসাথেই দৌড়ুবো, এত উচুঁ নিচু আমরা বুঝি না।’বিদ্রোহের সুর  বেজে উঠলো প্রেরণাদের কণ্ঠে। পাশ থেকে শিক্ষার্থীরাও করতালির পাশাপাশি প্রেরণাদের বলা কথাগুলিই উচ্চারণ করতে থাকলো। পরিস্থিতি অনুমান করে প্রধান অতিথির নির্দেশে সবাইকে একসাথে দৌড়ানোর ব্যবস্থা করলেন প্রিন্সিপাল। এবং একই সাথে ঘোষণা দিলেন-এর পর থেকে সকল প্রতিযোগিতায় একসাথেই দৌড়ুবে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তান।

মুহূর্তেই ঘোষণা আসলো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মেয়েদের ট্র্যাকের কাছে যাবার। ঝরণা, প্রার্থনাসহ সবাই এসে দাঁড়ালো। সবার মাঝেই উৎফুল্ল ভাব। শরীর চর্চা শিক্ষকও হাসিমুখে পুনরাবৃত্তি করলেন দৌড়ের নিয়মকানুন। পূর্বের মতোই কসরত করলো ঝরণা। এবার বান্ধবীকে অনুসরণ করলো প্রেরণাও। এখনই দৌড় শুরু হবে। দর্শক মঞ্চ হতে ধ্বনিত থাকলো উৎসাহব্যঞ্জক করতালি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশেই হুইসেল দিলেন শরীরচর্চা শিক্ষক। প্রবল গতিতে দৌড়াতে থাকলো প্রতিযোগীরা। সবার দৃষ্টি এখন প্রতিযোগীদের দিকে। দূর থেকে বোঝা গেল সবার আগে ঝরণা ও প্রেরণা। কিন্তু কে প্রথম, কে দ্বিতীয় নিশ্চিত হওয়া গেল না। শুধু দেখা গেল দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেছে নিবিড়ভাবে।