রাশিদুল হৃদয়
দুটি খুড়মা খেজুর দেখে
আমার অবশিষ্ট জ্বলন্ত সিগারেট খানা
তোমার স্ট্রেটে ঘসতেই ছাই হয়ে যায়।
সুখেই থাকি তখন।
হাত পা গুটিয়ে নিয়ে ভাবি এবার ঘুমাবো।
খানিক বাদেই চরমপন্থীরা মাথার ভেতর আন্দোলন সাধে।
জ্বালাও,পোড়াও মিছিল।
আর আমি কেবল আগুন জ্বালানোর চেষ্টায় কেঁপে কেঁপে নিভে যাই,জ্বলি না।!
ঝিনুকের ঋষি
এক শহরের অসার দেবদারু
মানুষের প্রিয়তম আশ্রয় আর পাখিদেরও।
নাখান্দা নাবালক শহরের আদি ঠিকানা চামড়ায় পোঁতা—
বুকে বিদ্ধ বিজ্ঞাপনের ভীড়।
এসময় কাল বড় অস্থির
রাস্তাঘাট, ইজ্ঞিন,মোটরের পাখা,নাবিকের বৈমানিক সাইরেন
অস্থির সময়ের ঘড়ির কাঁটার মত হৃৎপিণ্ডের নাচন আর অপেরায় বেহুলার হাপিত্যেশ
অস্থির অস্থির কেবলই অস্থিরতা।
দেখো,
তাকালেই দেখা যায় সুস্থির সময়ের প্রতিনিধি দেবদারু আমি— দৈবাৎ তো কিছু নই?
নই মরে গিয়ে বেঁচে থাকা প্রেমিকের পাঁজর।
নিয়মের তোয়াক্কার নই ত্রাস
ফসিল নই,পূর্ব পুরুষের প্রমাণ নই।
আশার ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি
ফল,পাতা,প্রতিবেশী
তবু তো নাই বিদ্বেষী ব্যকুল চিত্তের অস্থিরতা।
আমার অঙ্কুরদম শহরের ভ্রুণের আগে
বেঁচে আছি এখনো সুস্থির লাগে
এই ভেবে ; কত কেউ গিয়েছে চলে— কত বহু আগে!
===================