You are currently viewing যুগল কবিতা/ এইচ বি রিতা

যুগল কবিতা/ এইচ বি রিতা

বেদান্ত
চোখের সামনে সব কেমন বদলে যায়
হুটহাট না বলেই সব কেমন
বিস্মৃতির দখলে চলে যায়
কৃষ্ণাকার মানুষ ধবধবে সাদা
গ্রাম্য অবুঝ ললনার রুক্ষ্ম এলোচুল
সরলতা ভেঙ্গে বিদ্বেষের পদার্পনে,
চির সবুজ গাঢ় নীলে
এমনই করে একদিন সব কেমন বদলে যায়।
যে পোকা বিকলাঙ্গ, সেও একদিন উড়তে শিখে
গলির বাঁক হারিয়ে ফেলা মানুষ হাঁটে শহুরে পথে
কাজল টানা লাজুক চোখে ভীষণ কাম
একদিন ঘোমটা টানা বধূ বুকের কাপর সরিয়ে দেয়
ব্যভিচারে।
এভাবেই একদিন
মহল্লার তিনচোখা মাতার দাপটে কফ ফেলে
অনিয়ম-উগ্রতায় ঔরশজাত সেলফি গার্ল
বেলাল্লাপনায় নিয়ম ভাঙ্গে, নিয়ম গড়ে
সময়ের দাপটে উর্ধ্ব গগনে বিপরীতমূখী বায়ু;
বিস্মৃতির অতলে মানুষকে পুতে দেয় স্বীয় দর্পে।
এভাবেই ঘটনা বদলে যায়।
দৃষ্টিপাত
আড়মোড়া দিতেই রোজ চেয়ে দেখি
কীট-পতঙ্গ আহারের খোঁজে নব সাজে
ইদুর বিড়াল দৌড়ে কে কার আগে, হুমড়ি খেয়ে দিনের শুরু;
টেনে নিয়ে যায় দুপুর, মধ্যরাত্রি; কপালের ভাঁজে।
মরণ বাবু পা টেনে রোজকার মত
মাছের দরদামে  খতিয়ে দেখে জীবন, ফুলতোলা রুমাল
বুকের ভাঁজে গুঁজে দেখি শুভ্র আকাশে খন্ড মেঘ
উড়ে গেলে গাঙচিল বিরহী শোকে
বন্য শূকর নিত্য অভ্যাসে;
লোলুপ দৃষ্টি মেলে, হাড় ভাসা শিল্পীর খোঁজে।
বিছানা ছাড়তেই নড়ে উঠে খাট, বৈরী নিঃশ্বাসে
একদল ছাড়পোকা সঙ্গমে বিভোর
অনাহারী কুকুর প্রভূ বিস্মরণে ব্যাকুল
ঠকঠক হাতুরী চলে সকাল হতে সন্ধ্যা
ভেঙ্গে চলে ইট-পাথর, ইমারত, নিঃশব্দে ভাঙ্গন ছুঁয়ে যায় ভিতর
দুটি প্রাণ পাশাপাশি বিমূখ রথযাত্রায়
কি ভয়ানক আফসোসে শিকর গজায়; ভীত পাকা বাড়ীর উঠোনে।
ঘর ছেড়ে বাহির হতেই চিৎকার-চেচামেচি
কল চেপে স্বচ্ছ জলে প্রতিবিম্বিত দাদীমা
জল রহস্যের অন্তরাল খুটিয়ে দেখে জীবন।
বিছানায় পাশ ফিরে শুয়ে থাকে প্রতিটি সকাল
অসম্পূর্ণ মানুষের ভিরে
এভাবেই ক্রমশ ক্ষয় হয় আয়ু; মুখবন্ধ জীবনচক্রে।