You are currently viewing মন্দিরা এষ: তিনটি কবিতা

মন্দিরা এষ: তিনটি কবিতা

মন্দিরা এষ// তিনটি কবিতা

 

প্রেম 

তুমি আলগোছে চলে যেতে চাইলে

পরম মমতা বিছিয়ে

আমি পথ করে দিতাম।

তুমি থেকে যেতে চাইলে

আফসোস ও অমীমাংসায়।

তাই তোমাকে রেখে দিলাম

অনাহূত রৌরবে।

 

তুমি চলে যেতে পারতে

যেকোন আর্দ্র বিকেলে।

আমি ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতাম

সেই হিরণ্ময় ক্ষণকাল।

 

তুমি থেকে যেতে চাইলে

আমৃত্যু আরোগ্য হয়ে।

তাই তোমাকে রেখে দিলাম

ক্লেদ ও কলঙ্কে।

 

ঈশ্বর!  

বৃষ্টি থেমে গেছে

ভেতর ও বাহিরে…

ছোটো সাদাফুল!

ফুটেছে হাওয়ায়,

আমি কাঁপছি শৈশবে দাঁড়িয়ে;

আর মনে পড়ে গেল

যে বার অতি বৃষ্টিতে

ধসে গেল সমস্ত প্রার্থনা ঘর,

কেবল নট ও নটীর দল

খুব করে কেঁদেছিলো কেন যেন।

আর সবাই জানতো,

‘খিদে’ পৃথিবীর সবচেয়ে মৌলিক ঈশ্বর!

যার কাছে শিশুও নয় অপাপবিদ্ধ।

 

শুনছি হার্ডরক

বালকের টেনিস বলের সাথে গড়িয়ে এসেছে রোদ

আমার জানালায়;

গোঁত্তা খেয়ে ছড়িয়ে পড়লো পাড়ায়।

পাড়াময় রিক্সার ঝনঝনে গতি।

গতিই জীবন-

এমন অমিমাংসা নিয়ে কারো গেটের মাধবীরা ঝরছে টুপটাপ।

আমি বাজারের ফর্দ হাতে শুনছি হার্ডরক।

এই দিন, দিনমান,

টেনিস বলের মতোই গড়িয়ে ছেঁড়া-খোঁড়া ম্রিয়মান,

হারাবে এবং হারায়ই, এঁদো অন্ধকারে।

বাজারের ফর্দ হাতে-

অস্থির বালকের মতোই আমি খুঁজে যাই তারে।