You are currently viewing বইমেলার খোলাচত্বর: কথোপকথন/ লায়লা ফারজানা

বইমেলার খোলাচত্বর: কথোপকথন/ লায়লা ফারজানা

বইমেলার খোলাচত্বর: কথোপকথন/ লায়লা ফারজানা

অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে মন-মানচিত্র সাহিত্যকর্মের বার্তা সাহিত্যের পাঠকদের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য কবিসাহিত্যিকদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে। আজ আমরা কথা বলেছি কবি লায়লা ফারজানার সাথে। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ ঝরা পাতার র‍্যাপসোডি প্রকাশিত হয়েছে মাওলা ব্রাদার্স থেকে। বইটি  অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ২৯ নম্বর মাওলা ব্রাদার্সের প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ধ্রুব সাদিক
মন-মানচিত্র : গ্রন্থ মূলত দীর্ঘ একটা সময়ের সাধনার ফসল। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে আপনার প্রকাশিত গ্রন্থের ব্যাপারে জানতে চাই। গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ায় আপনার অনুভূতিও যদি শেয়ার করতেন।
লায়লা ফারজানা: ‘গ্রন্থ মূলত দীর্ঘ একটা সময়ের সাধনার ফসল’—এটা অন্য কারও ক্ষেত্রে কতটুকু জানি না, তবে আমার ক্ষেত্রে শতভাগ সত্য। আমি সময় নিয়ে বই করার পক্ষপাতী। যে কারণে প্রথম বই বের করতে একটু বেশি সময় নিলাম, যদিও অনেক বছর থেকেই কবিতা লিখি। বলা বাহুল্য, প্রথম বই বের হওয়ার অনুভূতি অসামান্য। যে কারণে শত ব্যস্ততা, শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও মেলায় যাচ্ছি।
মন-মানচিত্র : অমর একুশে গ্রন্থমেলা লেখক-পাঠকদের মধ্যে শুধু সেতুবন্ধনের কাজটিই যে করে তাই নয়, এই সময়টিতে গ্রন্থপ্রেমিকদের মধ্যে খুশির আমেজও পরিলক্ষিত হয়। গ্রন্থমেলাটিকে প্রাণবন্ত করার ব্যাপারে আপনার অভিমত জানতে চাই।
লায়লা ফারজানা: আমার ধারণা বাংলা একাডেমি সে কাজটি যথাসাধ্য করে। মেলার পরিসর বড় হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে, এটা খুব ভালো। তবে মেলায় ঢোকার একাধিক প্রবেশপথ থাকলে আরো ভালো হয়, খোলা মঞ্চ,ওপেন অ্যাম্ফিথিয়েটার, কিছু গ্যালারি এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ ইনফরমেশন কাউন্টার গ্রন্থমেলাটিকে আরও প্রাণবন্ত আর সতেজ করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
মন-মানচিত্র : গ্রন্থমেলার সাথে প্রকাশনার সাথে জড়িত মানুষের রুটিরুজির সংস্থানের ব্যাপারটিও জড়িত। এই ব্যাপারে আপনি যদি আপনার মতামত শেয়ার করতেন।
লায়লা ফারজানা: আমি মনে করি সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে সারাদেশে আরও বেশি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার। প্রকাশনা পেশার সাথে যারা জড়িত, তাদের আয়ের বড় অংশ যদি শুধুই একুশে বইমেলা থেকে আসে, তাহলে সেটা শুভ লক্ষণ না। তাতে পেশাদারিত্ব ক্ষতিগ্রস্থ হয়, হুমকির মুখে পড়ে।
মন-মানচিত্র : বইমেলার পর প্রকাশিত বইয়ের আর খোঁজ বিশেষ থাকে না। আমাদের দেশে বইয়ের দোকানও স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে বই পাঠকের কাছে পৌঁছাতে আপনার ভাবনা যদি জানাতেন।
লায়লা ফারজানা: দেশে রকমারি সহ বেশ কিছু অনলাইন সাইট আছে, যারা বই বিপণনের কাজ করে। তাছাড়া আমার বই এবার যে প্রকাশনী থেকে এসেছে, সেই মাওলা ব্রাদার্সেরও নিজস্ব বিপণন-সাইট আছে। প্রকাশনীগুলোকে বিপণনের ক্ষেত্রে আরও বেশি চিন্তা-ভাবনা  করতে হবে। আমার ধারণা যুগপোযোগী বিপণনকৌশল খুব একটা ব্যায়সাপেক্ষ নয়। লাভের পরিমাণই বেশি হবে।

ঝরা পাতার র‍্যাপসোডি

ধরণ: কবিতা (প্রথম)

প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স। 

প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ। 

মাওলা ব্রাদার্স, প্যাভেলিয়ন ২৯

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা।

পাওয়া যাবে: রকমারি ডট কম ও মাওলা ব্রাদার্সের ওয়েব সাইট

 দীপ্র বায়ান্ন 

( প্রকাশিতব্য ফেব্রুয়ারি ২০২২, জলধি প্রকাশনী)

মন-মানচিত্র :  কোভিড পরিস্থিতিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, পাঠকদের প্রতি আপনার বার্তা যদি শেয়ার করতেন।
লায়লা ফারজানা: কোভিডের সময়টা বেশ দীর্ঘ। সবাই সাফোকেশনে পড়ে গেছে। আমি পাঠকদের বলবো মেলায় এসে একটু শ্বাস নিতে, তবে অবশ্যই মাস্ক পরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে।